ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : এটি প্রতিষ্ঠিত সত্যÑ যে কোনো ক্রান্তিকালে পর্যুদস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দেশকে নানামুখী প্রয়াসে গতিশীল করতে হয়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান প্রণিধানযোগ্য উপজীব্য। অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে শেয়ারবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ারবাজারের অবদান অনস্বীকার্য। শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ, সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ শেয়ারবাজার অপরিহার্য। শেয়ারবাজারকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম সূচক বা জাতীয় অর্থনীতির প্রতিবিম্ব হিসেবেও গণ্য করা হয়। প্রতিটি উন্নত-উন্নয়নশীল-অনুন্নত দেশের অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের অবস্থান অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে নির্ধারিত।
সাধারণত শেয়ার হলো কোনো কোম্পানির মূল মালিকানার অংশ এবং শেয়ারবাজার হচ্ছে এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শেয়ার, স্টক, ঋণপত্র, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
মূলত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন বৃদ্ধি বা মুনাফা অর্জন করার জন্য প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি দুই পদ্ধতিতে শেয়ার বিক্রি করে থাকে। স্টক এক্সচেঞ্জে রেজিস্টারের মাধ্যমে কোম্পানি বা ব্যবসার শেয়ার বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ জারির মাধ্যমে শেয়ার বা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ-বাজারের উন্নয়ন এবং এতদ-সংক্রান্ত বিষয়াবলি বা প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালের ৮ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
দেশের বৃহত্তম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) ১৯৫৪ সালে ২৮ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হলেও এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৬ সালে এবং দ্বিতীয় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত সেন্ট্রাল ডিপজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠালাভ করে। দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার বেচা-কেনার কর্ম সম্পাদিত হয়।
আমাদের সবার জানা, ১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম আনুষ্ঠানিক স্টক এক্সচেঞ্জ আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জের যাত্রা হয়েছিল। পরে কয়েক শতকে বিশ্বব্যাপী স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিপতিদের কারবার হওয়ার কারণে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশসমূহের স্টক এক্সচেঞ্জগুলো শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেসের (ডব্লিউএফই) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বাজার মূলধনের আকার বিবেচনায় আমেরিকার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জ বিশ্বের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ। বর্তমানে তাদের বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৫০ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। এর বাজার মূলধন ১০ দশমিক ০৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ৬ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ডলারের পুঁজিবাজার নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ, যার আকার ৫ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া পঞ্চম থেকে দশম স্থানে অধিষ্ঠিত দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে হংকং, ফ্রান্স, কানাডা, সৌদি আরব, ব্রিটেন ও জার্মানি। গ্লোবাল ইকোনমি ডটকমের পরিসংখ্যান অনুসারে বাজার মূলধনের দিক দিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৮তম।
অন্তর্বর্তী সরকার শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভালো ভালো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বাজারের গভীরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য করের সুবিধাসহ সরকারি যেসব নীতি-সহায়তার প্রয়োজন, সেসব বিষয় সরকারের বিবেচনাধীন। এছাড়া কিছু সরকারি কোম্পানিকেও বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। সামগ্রিক বিবেচনায় এটুকু প্রত্যাশিত যে, বিগত সরকারের সময়ে চিহ্নিত শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে দেশের পুঁজিবাজার। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র পরিলক্ষিত। চলতি মাসের ৮ তারিখ দিনশেষে ডিএসইর লেনদেনকৃত মোট কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২১৪টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৬৪টির। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৮৫তে নেমে যায়।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২১ পয়েন্টে ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। আগের কার্যদিবসের ৪২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দেলদেনের বিপরীতে ঐ দিনে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩০৭ কোটি ১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পক্ষান্তরে সিএসইতে লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। এতে এই বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২ পয়েন্ট। একই সঙ্গে লেনদেন কমে ২ কোটি ৬২ লাখ।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশ কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে বিবিধ কূটকৌশলে অধিকাংশ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এমনকি বাজারের প্রতি তাদের আস্থার সংকটও সৃষ্টি হয়। হারিয়ে যায় তাদের কষ্টার্জিত মূলধন। ৯ জানুয়ারি ২০২৫ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, বিগত ৮ বছরে পুঁজিবাজার থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
২০১৬ সাল থেকে লগ্নিকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৯টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫২টি। উল্লেখ্য হিসাবমতে, আট বছরে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী হারিয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৭ জন।
২০২৩ সালের ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪ বিও হিসাবের তুলনায় এক বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯০ হাজারের বেশি। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণে তারা বাজারে বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন। অনেকে মার্জিন ঋণের খপ্পরে ফোর্স সেলের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে বাজার ছেড়েছেন। প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা টাকা হারাচ্ছেন।
অতি সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই নেতারা জানান, দেশের পুঁজিবাজার ভীষণভাবে সংকুচিত বিধায় অর্থনীতিতে এই খাত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে তারা ১০ বছরে সংঘটিত অনিয়ম শনাক্ত করতে একটি নিরপেক্ষ ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান জনাব মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অতীতে অনেক কিছু রেগুলেটরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি করতে গিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে।
অনেক সময় বাজারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা বাজারে হস্তক্ষেপ করছি না। আগামী দিনেও করব না। বাজার বাজারের মতো চলবে। বিনিয়োগকারীদের আচরণের সঙ্গে বাজার চলবে। গত দেড় দশকে পুঁজিবাজারে সুশাসনের অবনতি সর্বনিম্ন স্তরে গিয়েছে। বাজারের বেসিক অবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এত পরিমাণ অনিয়ম হয়েছে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। দ্রত সমস্যার সমাধান করবÑএত সক্ষমতা এখন আমাদের নেই। আশা করি, ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে ডিএসইর পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দেওয়া যাবে।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের দাবি, বাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও বিনিয়োগযোগ্য সিকিউরিটিজের অভাব। এখানে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ থেকে ২০টার বেশি সিকিউরিটিজ পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, প্রয়োজনের বেশি বাজার মধ্যস্থতাকারী। গত ১৫ বছর স্টক এক্সচেঞ্জকে অকার্যকর করা হয়েছে।
যার হাতিয়ার হিসেবে ছিল ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম ও ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট। যখন এটা করা হয় তখন বলা হয়েছিল ৫ বছর পর এটা রিভিউ করা হবে। কিন্তু এখন ১০ বছরের ওপরে হয়ে গেছে এই আইনের কোনো রিভিউ করা হয়নি। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন আইনটা রিভিউ করার জন্য। তারা বিএসইসিকে একটা উচ্চপর্যায়ের পলিসি মেকার হিসেবে দেখতে চান।
তারা আরও জানান যে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজার মূলধন হয়েছে সাপ্লাই চেইনের কারণে। দেশটি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিকে তাদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে তালিকাভুক্ত করতে পেরেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার একটা সুযোগ রয়েছে।
যা কোনো রাজনৈতিক সরকার দ্বারা আদায় করা প্রায় অসম্ভব। তাই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ সরকারের কাছে যে শেয়ারগুলো রয়েছে, তা পুঁজিবাজারে আনার এখনই উপযুক্ত সময়। যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আশা জাগানিয়া বিষয় হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভালো ভালো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বাজারের গভীরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য করের সুবিধাসহ সরকারি যেসব নীতি-সহায়তার প্রয়োজন, সেসব বিষয় সরকারের বিবেচনাধীন।
তা ছাড়া কিছু কিছু সরকারি কোম্পানিকেও বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। সামগ্রিক বিবেচনায় এটুকু প্রত্যাশিত যে, বিগত সরকারের সময়ে চিহ্নিত শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে। শেয়ারবাজার তার গতিপথ খুঁজে পাবে।
এজন্য সকল প্রকার অপকৌশল অবলম্বনে সিদ্ধ কথিত বিনিয়োগকারীদের যথাযথ পন্থায় অশুভ উদ্যোগ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। কলুষমুক্ত শেয়ারবাজার প্রতিষ্ঠায় সরকার, ব্যবসা সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ রাজনৈতিক দলগুলোরও বিবেকপ্রসূত সমর্থন অপরিহার্য। লেখক: শিক্ষাবিদ ও সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী