ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই: শিবলী রুবাইয়াত

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমা স্বাভাবিক। তাই বিনিয়োগকারীদের অল্পতেই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ তার। গতকাল শনিবার ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে শেয়ারবাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পুনারাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদের দোষারোপ করেন, লাভ করলে কিছু বলেন না।’ শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে, এটা স্বাভাবিক বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজার উঠে যাবে। শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা স্বাভাবিক। বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নি¤œমুখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরণ উল্টো।’ তিনি বলেন, ‘যেকোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের দরকার পড়ে। এজন্য আমাদেরও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। এটা করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন সব তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।’ ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দিতে বিএসইসি বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচার ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এ ক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই।’ দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব জানিয়ে শিবলী বলেন, ‘আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফিরবে না। একইসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে প্রথম দুই বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান, ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই: শিবলী রুবাইয়াত

আপডেট সময় : ১২:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমা স্বাভাবিক। তাই বিনিয়োগকারীদের অল্পতেই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ তার। গতকাল শনিবার ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে শেয়ারবাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পুনারাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদের দোষারোপ করেন, লাভ করলে কিছু বলেন না।’ শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে, এটা স্বাভাবিক বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজার উঠে যাবে। শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা স্বাভাবিক। বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নি¤œমুখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরণ উল্টো।’ তিনি বলেন, ‘যেকোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের দরকার পড়ে। এজন্য আমাদেরও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। এটা করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন সব তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।’ ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দিতে বিএসইসি বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচার ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এ ক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই।’ দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব জানিয়ে শিবলী বলেন, ‘আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফিরবে না। একইসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে প্রথম দুই বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান, ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।