ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের সময় ১০ মিনিট পার হওয়ার আগেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। শেষ দিকে এসে বাজারে রীতিমতো ধস নামে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। বাজারটিতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৪টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়াও ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এনআরবিসি ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার, ন্যাশনাল ফিড, জিনেক্স ইনফোসিস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং জিবিবি পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯টির এবং ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এখন সেটার মূল্য সংশোধন হয়েছে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। সূচক কমে গেলে চিন্তার কিছু নেই। দেখতে হবে লেনদেনের গতি কেমন। আজও ১৬ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ। ডিএসইর এক সদস্য বলেন, গত কয়েক দিনে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এ সময়ে অনেক দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন সেসব প্রতিষ্ঠানের দরপতন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দাম তেমন কমেনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

আপডেট সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের সময় ১০ মিনিট পার হওয়ার আগেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। শেষ দিকে এসে বাজারে রীতিমতো ধস নামে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। বাজারটিতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৪টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়াও ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এনআরবিসি ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার, ন্যাশনাল ফিড, জিনেক্স ইনফোসিস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং জিবিবি পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯টির এবং ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এখন সেটার মূল্য সংশোধন হয়েছে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। সূচক কমে গেলে চিন্তার কিছু নেই। দেখতে হবে লেনদেনের গতি কেমন। আজও ১৬ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ। ডিএসইর এক সদস্য বলেন, গত কয়েক দিনে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এ সময়ে অনেক দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন সেসব প্রতিষ্ঠানের দরপতন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দাম তেমন কমেনি।