ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

শেয়ারবাজারে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনি¤œ সীমা বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হচ্ছে। বিএসইসির আদেশে বলা হয়, আজকেরসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে উঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। তবে কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে। আদেশে বলা হয়, নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ তৎকালীন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনি¤œ দর বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪৭৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। যা করোনার কারণে ৮ মার্চ কমে দাড়াঁয় ৪২৮৭ পয়েন্ট। আর ওইদিন দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ৯ মার্চ একদিনেই ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়। যা ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ১ম রোগী মারা যাওয়ার দিন নেমে যায় ৩৬০৪ পয়েন্টে। আতঙ্কিত শেয়ারবাজারের এমন পতন ঠেকাতে ১৯ মার্চ চালু করা হয় ফ্লোর প্রাইস। এরপরে পর্যায়ক্রমে ৩ ধাপে বর্তমান কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন।
এরপরে ওই বছরের ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি। তৃতীয় ধাপে এসে ১৭ জুন শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়।
১৩ মাসের সর্বনি¤œ অবস্থানে সূচক
এদিকে পুঁজিবাজারে গতকাল বৃহষ্পতিবারও ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৫৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ জুন ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কমেছে বড় ব্যবধানে। ডিএসইতে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৩৩৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৮৬ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

শেয়ারবাজারে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ

আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনি¤œ সীমা বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হচ্ছে। বিএসইসির আদেশে বলা হয়, আজকেরসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে উঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। তবে কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে। আদেশে বলা হয়, নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ তৎকালীন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনি¤œ দর বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪৭৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। যা করোনার কারণে ৮ মার্চ কমে দাড়াঁয় ৪২৮৭ পয়েন্ট। আর ওইদিন দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ৯ মার্চ একদিনেই ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়। যা ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ১ম রোগী মারা যাওয়ার দিন নেমে যায় ৩৬০৪ পয়েন্টে। আতঙ্কিত শেয়ারবাজারের এমন পতন ঠেকাতে ১৯ মার্চ চালু করা হয় ফ্লোর প্রাইস। এরপরে পর্যায়ক্রমে ৩ ধাপে বর্তমান কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন।
এরপরে ওই বছরের ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি। তৃতীয় ধাপে এসে ১৭ জুন শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়।
১৩ মাসের সর্বনি¤œ অবস্থানে সূচক
এদিকে পুঁজিবাজারে গতকাল বৃহষ্পতিবারও ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৫৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ জুন ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কমেছে বড় ব্যবধানে। ডিএসইতে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৩৩৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৮৬ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।