মুহাম্মদ রিয়াজ
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তৌকির। বাবা সরকারি কর্মকর্তা। শৈশব গ্রামে কাটলেও ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকায় স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে। বাবা-মা আর বোনকে নিয়ে সুখের সংসার। সবকিছু ভালোই চলছিল। তৌকির মাস্টার্স পাস করায় পরিবার বিয়ের জন্য জোর করছিল। কারণ হিসেবে দেখালো মায়ের অসুস্থতা। তৌকির কোনো বাঁধা দিলো না। বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তানের মতো রাজী হয়ে গেল।
একটি বেসরকারি কলেজে ইংরেজি প্রভাষক পদে চাকরি পেলো তৌকির। কলেজ থেকে একা ফিরছিল। কোত্থেকে যেন তার এক পুরোনো বন্ধু এসে যোগ দেয়। কুশল বিনিময় শেষে পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে অনেক কথা বলে ফেলে। যাওয়ার সময় বন্ধু স্বাধীনের অর্বাচীন প্রশ্ন, ‘কিরে দোস্ত, এখনো বিয়ে করিসনি?’ তৌকিরের না সূচক উত্তরে চমকায় না সে। একটি অচেনা মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলে, ‘ট্রাই করে দেখিস, ভাগ্য ভালো হলে কপাল খুলবে।’ তৌকির কোনো জবাব দেয় না। নীরবে বাসায় চলে আসে।
নিজের টেবিলে বসে পরীক্ষার খাতা কাঁটছিল। এ সময় তার মা মমতাজ বেগম এসে পাশে বসেন। নিজ থেকে গড়গড় করে বলে যাচ্ছেন। পুরান ঢাকার দিকে মেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। তার বাবার পুরোনো বন্ধুর মেয়ে। দেখে বেশ পছন্দ হয়েছে- ‘দেখতে সুন্দর, আচার-আচরণ বেশ মর্জিত। বাংলা সাহিত্যে অনার্স পড়ছে। বংশ ভালো, ধর্ম-কর্ম জানে। আমরা তাকে তোর বউ করবো বলে ঠিক করেছি। তুই কী বলিস?’ মায়ের উপমা আর শেষ হয় না- ‘তোমাদের যেই মেয়ে পছন্দ, তোমরা সেই মেয়েকে ছেলের বউ করে আনো। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ ছেলের সহজ-সরল জবাব শুনে মন ভরে যায় মমতাজ বেগমের। হাসিমুখে চলে যান তিনি।
পরীক্ষার খাতা কাঁটতে কাঁটতে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় পিঠ রাখতে মনে পড়ল অচেনা নাম্বারের কথা। বিনা আদেশে কারো মোবাইলে কল দিতে নিজেকে অপরাধী লাগে। আবার ভাবে, কত মানুষই তো কত জনকে কল দেয়। সাহস করে কল দিয়ে বসলো তৌকির। রিং হচ্ছে আপনগতিতে। ধরার কোনো সম্ভাবনা নেই। নিরাশ হয়ে আবার খাতা কাঁটতে বসে। ক্ষাণিকবাদে একই নাম্বার থেকে মিসড কল আসে। সে কিছু বুঝে উঠতে পারে না। তবে এটা জানে, নারীর স্বভাবের সাথে কিছতা মিলে গেছে। ভয় লাগলেও আবার কল দেয়। অপর প্রান্ত থেকে একটি সুরেলা কণ্ঠ ভেসে আসে- ‘কে আপনি? অচেনা নাম্বারে কল দেন কেন?’
মোবাইল ফোনে অনেকর সঙ্গে কথা বলেছে সে। তবে সুন্দর করে কেউ তাকে এ প্রশ্ন করেছে বলে মনে হয় না। সে কী বলবে, কিছু ভেবে পায় না।
‘কথা বলছেন না কেন? আজব মানুষ তো আপনি!’
‘কী বলবো? কিছু ভেবে পাচ্ছি না।’
‘তাহলে কল করেছেন কেন?’
‘ভালো লেগেছে তাই।’
‘শুধু এটুকুই!’
‘হ্যাঁ।’
তৌকিরের বোকা উত্তরে অপর প্রান্ত থেকে কল কেটে দেয়। তখন তার হদিস মেলে। সে ভেবে পায় না, এত সুন্দর কণ্ঠে কেউ কাউকে বকতে পারে। এরকম আশ্চর্য ভঙ্গিমায় কথা বলার ক্ষমতা কার বা থাকতে পারে? তার চোখে ঘুম আসে না। সারারাত অচেনা এক রানীর কাল্পনিক ছবি আঁকতে আঁকতে কেটে যায়।
পরদিন কলেজে যাওয়া হয়েছে ঠিক। তবে পড়ানোয় তেমন মন ছিল না। কল্পনা-বাস্তবতার মাঝে কেটে গেলে সারাবেলা। দিনটা কেমন যেন উসখুস লাগে। একই সময় আবার অচেনা নাম্বারে কল দেয় তৌকির। সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে সাড়া পায়। আজকের কণ্ঠটা আরও সমধুর লাগে।
‘আপনি আবার কল দিয়েছেন কেন?’
‘এমনিই। আপনার নামটা কি বলা যাবে?’
‘আমার নাম আনিকা। আপনি কি আমার পরিচিত কেউ?’
‘এখন পরিচিত হলে কি কোনো সমস্যা হবে?’
‘তা হবে না। তবে বিদায় বেলায় এসে কী লাভ?’
‘বুঝলাম না ব্যাপারটা?’
‘আপনার বুুঝে কেনো লাভ নেই। তেমন কিছু করতেও পারবেন না।’
তৌকির আর কথা বলতে পারে না। আনিকা মোবাইল রেখে দেয়।
এভাবেই শুরু। দু’জনার নিয়মিত ফোনালাপে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে সম্পর্ক। তৌকিরের প্রতি দুর্বল হতে থাকে আনিকা। তৌকিরের বেলায়ও তাই। এমএমএস যোগে একজন আরেকজনকে ছবি পাঠায়। তৌকির ভাবতে পারে না, কথা বলা আনিকার চেয়ে ছবির আনিকা এত সুন্দর হতে পারে! সঠিক সময়ে ভালোবাসার ঢেউ কেউ না দেখলে পরে তা সামলাতে পারে না। আনিকাকে কাছে পাওয়ার নতুন নেশা জাগে তার। সময় যত যায়, সম্পর্ক তত গাঢ় হয়। তবে দু’জন দু’জনার কাছে কিছু কথা গোপন রেখে দেয়।
নিজের ঘরে বসে টিভি দেখছিল তৌকির। নিয়মমতো কল আসে আনিকার।
‘তুমি কি এখন বেশি ব্যস্ত?’ অস্থির কণ্ঠে আনিকার প্রশ্ন।
‘না, তোমার জন্য আমি সব সময় ফ্রি।’
‘তোমাকে একটা সিরিয়াস কথা বলতে চাই।’
Ñ ‘কী বলতে চাও, বলো।’
‘আমি পালাতে চাই।’
‘পাগল হলে নাকি? আর হঠাৎ পালাবে কেন?’
‘হ্যাঁ, আমাদের পালাতে হবে। এটি না করলে তুমি আমাকে কোনোদিন পাবে না। আমিও তোমাকে পাবো না।’
‘এটা কী রকম!’
‘সেটা পরে বলবো, আগে তুমি পালাবে কি না বলো?’
ক্ষণিকের জন্য নিশ্চুপ হয়ে যায় তৌকির। কী সিদ্ধান্ত নেবে ভেবে পায় না।
‘কী হলো, কথা বলছো না কেন?’
‘এমনিই। তোমার পরিবারে কি বেশি সমস্যা যে পালাতে হবে। এটা না করলে কি হয় না?’
‘দেখো, ঘটনাটা যদি একবার ঘটে যায়। তাহলে আমি তোমাকে হারাবো। তোমাকে হারালে আমার সুইসাইড করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
‘প্লিজ আনিকা, তুমি এসব করো না। তোমার কথাই রইল। কিন্তু আমার এদিকে তো সমস্যা।’
‘আমি এসব শুনতে চাই না। আমি জানি তুমি পালাচ্ছ।’
‘ঠিক আছে, তুমি যা বলো।’
তৌকির নিস্তব্ধ হয়ে যায় নতুন ভাবনায়। সামনের সপ্তাহে আনিকার হাত ধরে অচেনা রাস্তায় পাড়ি দিতে হবে। চারদিনের মতো সময় আছে। জীবনের যেন কঠিন এক মুহূর্তে পড়েছে সে। নিজেকে অপ্রস্তুত মনে হচ্ছে। তারপরও পারতে হবে। অনেক দেরিতে হলেও তার প্রথম ভালোবাসা। অত সহজে কিভাবে হারাবে? তৌকির মনে মনে নিজেকে গোছাতে থাকে। তার ভালোবাসার পূর্ণতার মিশন এখন থেকেই শুরু করতে হবে। মেয়েটি কিসের চাপে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? তার কি বিয়ে ঠিক করেছে তার পরিবার। নাকি অন্য কোনো কারণে তার ওপর জোর খাটাতে চাইছে। কিছুই মাথায় ঢুকছে না। এসব ভাবছে আর সারাঘর পায়চারি করছে।
এরই মধ্যে মা এসে জানান আগামী সপ্তাহে তার বিয়ে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। এসব কী হতে চলেছে তার সাথে। প্রথমে মেনে নিলেও এখন আর মন থেকে মেনে নিতে পারে না। মাকে জানিয়ে দেয়, এ বিয়ে সে করতে পারবে না। মায়ের মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা। তার সহজ-সরল ছেলের মুখে এমন কিছু শুনবেন, তা কল্পনা করেননি। যে ছেলে পাত্রী না দেখে বিয়েতে রাজী হয়ে গেল; শেষ মুহূর্তে এসে ছেলে কী বলছে? মমতাজ বেগম সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেছি। শেষ মুহূর্তে এসে এই কাজ করার কেনো প্রশ্ন ওঠে না। এটি করলে তোর বাবার মান-সম্মান বলতে আর কিছুই থাকবে না। সব ধূলোয় মিশে যাবে। মেয়েটার কী হবে তাহলে? এতদিন যারা জানতো, তার বিয়ে হচ্ছে প্রভাষকের সাথে। সেখানে যদি না হয়; তখন তো পাড়া-পড়শি তাকে মন্দ বলবে। তাকে অলক্ষ্মী বলবে। কথাগুলো কি মেয়েটি সহ্য করতে পারবে? পারবে না। তখন তার নিজেকে শেষ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না। তুই কি চাস তোর একটা সিদ্ধান্তে এতগুলো ঘটনা ঘটুক।’
তৌকির মায়ের মুখের ওপর আর কিছু বলতে পারে না। বিছানায় ধপাস করে বসে পড়ে। প্রেমে পড়লে মানুষের মাঝে এক অসম্ভব শক্তি উদয় হয়। তবে তা প্রত্যেকে প্রকাশ করতে পারে না। তৌকিরের বেলায়ও তা-ই হয়েছে। মমতাজ বেগম চলে যান। সারাক্ষণ তাকে পাহারায় রাখেন। তিনি বুঝেছেন, ছেলের মতিগতি ভালো নয়। যে কেনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাই তিনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। ছাব্বিশ বছরের জীবনে এই প্রথম নিজেকে বড় অসহায় লাগছে তৌকিরের। পরিবারের দিকে তাকিয়ে কিছু করতে পারলো না নিজের ভালোবাসার জন্য। তাকে সঠিক সময়ে না পেয়ে কী ভাববে আনিকা? নিশ্চয়ই প্রতারক বলে ডাকবে। নয়তোবা ভন্ড, স্বার্থপর নামে আখ্যায়িত করবে। ভাবনাগুলো বার বার মাথায় আসে। তবে কিছু করার থাকে না।
যথাসময়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে তৌকিরের যেখানে আনিকার হাত ধরে পালানোর কথা, সেখানে তাকে বাড়ির অনেকের সাথে বর সেজে কনে বাড়ি যেতে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, এ কোনো বিয়ে বাড়ি নয়। তার পরিবারের লোকেরা তাকে কোনো নরকে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে একটা ভালোবাসা এলো, তা-ও আবার হারাতে বাধ্য হলো।
গাড়ি এসে কনের বাড়িতে থামল। এর ভেতর কথা রটে গেছে চারদিকে- ‘বিয়ের আসর থেকে কনে পালিয়েছে।’ বরপক্ষের কানেও যায় এ সুর। তবুও তারা অপেক্ষায় ছিল। অপেক্ষা শেষ হয় না। গভীর থেকে গভীর হতে থাকে। কনে ফেরার কোনো হদিস নেই। ভাগ্যটা বড় নিষ্ঠুর, কপালে ভালোবাসা লেখা ছিল না। এখন সামাজিক বন্ধনটাও হলো না। সবাই ভাঙা মন নিয়ে বাড়ি চলে এলো। কেবল তৌকির ছাড়া। সে হতাশাগ্রস্ত মন নিয়ে কনে বাড়ির উল্টো পথে গভীর রাতে হাঁটতে থাকে। হালকা কুয়াশা পড়েছে চারদিকে। নিশি রাত। ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনা যায় মাঝে মাঝে। এসব কিছু ভাবনায় নেই তার। বিয়েটা হলো না, আফসোস নেই। আনিকার সাথে এ রকম আচরণ করাটা কি ঠিক হয়েছে? একদম না। বিবেকের কাছে নিখুঁত অপরাধী ভাবে নিজেকে। এই জীবনটা রাখার চেয়ে না রাখাই ভালো। এটাই শেষ সিদ্ধান্ত তার।
মাঝরাতে রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের লাইটের নিচে অনেক লোকের জটলা দেখে তার চোখ আটকে যায়। এত রাতে এখানে এত মানুষ? প্রথমবার আগ্রহ জাগে। পরে নিজের মানসিক অবস্থায় আর কিছু ভালো লাগে না। হাঁটতে গিয়ে হাঁটতে পারে না। মনের ভেতর কোথাও একটা টান অনুভব করে তৌকির। আবার ফিরে যায় মানুষের জটলায়। কাছে ঘেঁষতে চোখ পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরানো এক নববধূর দিকে। যাকে দেখতে ঠিক তার আনিকার মতো। লুটিয়ে পড়ে তৌকির। তার আকাশ-পাতালে ফাটল ধরেছে। সেটি সে অকপটে স্বীকার করে। কিছু করতে পারলো না কেবল আবেগী কান্না ছাড়া।
আনিকার হাতে একখণ্ড কাগজ ছিল। হয়তোবা তার লেখা হবে। হাতে নিয়ে পড়ে তৌকির- ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম, তুমি যদি না আসো। তাহলে আমি সুইসাইড করবো। তুমি কী ভেবে এলে না, আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা আমি রেখেছি। তুমি ভেবেছিলে, তুমি না এলে আমি আবার ফিরে যাবো? আসলে এটা ভুল। বাড়ি ফেরা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কেননা আমি তোমার ভালোবাসার জন্য বাবা-মায়ের মান-সম্মানের চিন্তা না করে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছি। যেটা ছিল একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় বোকামি। এক কলেজ শিক্ষককে বিয়ে করে সংসার করতে পারতাম। কিন্তু ভালোবাসি তো তোমাকে। তাই পারলাম না। পাড়ি দিলাম না ফেরার দেশে। ক্ষমা করে দিও। আনিকা।’
অবাস্তব স্বপ্নটা ভেঙে যায় রাতের বেলার টহল পুলিশের ডাকে। ল্যাম্পপোস্টের বেঞ্চে বসে বোকা বোকা লাগে নিজেকে- ‘এত রাতে বর বেশে এখানে বসে কী করছ? বউ পছন্দ হয়নি, নাকি প্রথম দিন থেকে পেদানি শুরু করেছে?’ এসব কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে তৌকির। হতাশার মাঝেও নিজের ওপর লজ্জা ভর করে। কী সব বলছে পুলিশরা! ঝুপড়ি দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে আকাশে ধোঁয়া ছেড়ে হাঁটতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর মায়ের কল। ভেবেছে রিসিভ করবে না। শেষে বাধ্য হয়ে ধরে। নিজে কিছু বলতে পারে না। মা একনাগাড়ে বলে যাচ্ছেন- ‘বাবা তুই কোথায়? তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয়। আমরা সবাই তৈরি হচ্ছি। কনে ফিরে এসেছে। মেয়েপক্ষ যেতে বলেছে। দেখ বিয়েটা না হলে পাড়া-প্রতিবেশীরা আমাদের খারাপ বলবে। শোন, মেয়ে কিন্তু খারাপ না। সত্যিই ভালো মেয়ে। আগে যে পার্লারে সাজাতে গিয়েছিল; সেখানে কাজ ভালো না হওয়ায় দূরে এক পার্লারে গেছে। ভাগ্য খারাপ। তাড়াহুড়া করে একে তো মোবাইল নেয়নি; তার ওপর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় মাঝপথে। এ কারণেই এত কিছু হয়েছে বাবা। ওরা আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এর জন্য। তুই চলে আয়। আমরা বিয়েটা শেষরাতেই দেবো। তাড়াতাড়ি আয়।’
এবারও স্বপ্ন মনে হয়েছিল তার কাছে। কিন্তু না, এটা যে পুরোটা বাস্তব। মোবাইলে কল লিস্টে তার প্রমাণ লেগে আছে। কী করবে? সে বাসায় ফিরে যাবে? নাকি এখানেই কাটিয়ে দিবে সারারাত। মোবাইলে একের পর এক দমকা হাওয়ার মতো মেসেজ আসতে থাকে। নিজের বোন তানিশা লিখেছে- ‘ভাইয়া অনেক বিয়ে দেখেছি। তবে শেষ রাতের বিয়ে ছাড়া। এবার সেটিও দেখবো।’ ঠোঁটে কিঞ্চিৎ হাসি ফিরে আসে তৌকিরের। কেমন হবে তার জীবনের শেষরাতের বিয়ে!
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ