ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা কাটিয়ে মহাকাশ স্টেশনে বোয়িং স্টারলাইনার

  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে কিছু সমস্যা তৈরি হলেও সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভিড়েছে উড়োজাহান নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের মহাকাশযান স্টারলাইনার।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় কোম্পানির প্রথম মানববাহী পরীক্ষামূলক মহাকাশযানটি। এর আগে রকেটের থ্রাস্টারে ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকবার উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দিতে হয়েছে। নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফেরার আগে ৮ দিন আইএসএস-এ কাটানোর কথা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরের প্রায় ৪১৮ কিলোমিটার ওপরের কক্ষপথে আইএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখন ঘণ্টায় প্রায় তিরিশ হাজার কিলোমিটার বা শব্দের প্রায় ২৩ গুন গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এ জুটি। “আকাশের বড় শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।” – সফলভাবে আইএসএস-র যুক্ত হওয়ার পর হিউস্টনের কন্ট্রোল রুমকে রেডিওর মাধ্যমে বলেছেন উইলমোর। মহাকাশযানটি অন্তত ৩৪৫ কেজি মালামাল বহন করছে, যার মধ্য খাবারের ভর অন্তত ১৩৬ কেজি। পাশাপাশি, মহাকাশ স্টেশনে থাকা চার মার্কিন ও তিন রাশিয়ান নভোচারীর অনুরোধ করা অন্যান্য জিনিসপত্রও রয়েছে এতে। স্টারলাইনারের ২৮টি থ্রাস্টারের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক উৎক্ষেপণে দেরি হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ বন্ধ হয় হিলিয়াম প্রপালশন লিকের কারণে। তবে, সমস্যার ফলে মিশন থেমে থাকবে না, নাসা ও বোয়িং এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। এ ছাড়া, উইলমোর ও উইলিয়ামস এদের মধ্যে তিনটি থ্রাস্টার পুনরায় চালু করেতে সক্ষম হন, যা এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলও বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। এসব সমস্যা বোয়িংয়ের পোড়া কপালের প্রতীকের মতো হয়ে গিয়েছে বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। অরবিটাল ফ্লাইট পরীক্ষার সমস্যা, ভাল্ভের সমস্যা, সফটওয়্যারের ত্রুটি, প্যারাসুট সিস্টেমের বিভিন্ন ত্রুটি স্টারলাইনার মহাকাশযানটির কোম্পানিটিকে জর্জরিত করেছে।
এদিকে, বোয়িংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেসএক্স, ২০২০ সালে প্রথম আইএসএস-এ পৌঁছে যায়। সে সময়ে বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মিশনটি শুরু করার কথা থাকলেও, উল্লিখিত নানা সমস্যায় তারিখ ঠিক করতে বিলম্ব হয়েছে। বোয়িং আইএসএস-এ নিয়মিত যাত্রায় স্পেসএক্সের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য নাসার সার্টিফিকেশন চাইছে। নিয়মিত মহাকাশ স্টেশনের ভ্রমণের জন্য, একাধিক বেসরকারি খাতের মহাকাশযান ব্যবহার করতে চায় মার্কিন সরকারের সংস্থাটি। বোয়িংয়ের এত সমস্যা সত্ত্বেও, নাসার সার্টিফিকেট পেতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা কাটিয়ে মহাকাশ স্টেশনে বোয়িং স্টারলাইনার

আপডেট সময় : ১০:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে কিছু সমস্যা তৈরি হলেও সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভিড়েছে উড়োজাহান নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের মহাকাশযান স্টারলাইনার।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় কোম্পানির প্রথম মানববাহী পরীক্ষামূলক মহাকাশযানটি। এর আগে রকেটের থ্রাস্টারে ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকবার উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দিতে হয়েছে। নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফেরার আগে ৮ দিন আইএসএস-এ কাটানোর কথা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরের প্রায় ৪১৮ কিলোমিটার ওপরের কক্ষপথে আইএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখন ঘণ্টায় প্রায় তিরিশ হাজার কিলোমিটার বা শব্দের প্রায় ২৩ গুন গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এ জুটি। “আকাশের বড় শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।” – সফলভাবে আইএসএস-র যুক্ত হওয়ার পর হিউস্টনের কন্ট্রোল রুমকে রেডিওর মাধ্যমে বলেছেন উইলমোর। মহাকাশযানটি অন্তত ৩৪৫ কেজি মালামাল বহন করছে, যার মধ্য খাবারের ভর অন্তত ১৩৬ কেজি। পাশাপাশি, মহাকাশ স্টেশনে থাকা চার মার্কিন ও তিন রাশিয়ান নভোচারীর অনুরোধ করা অন্যান্য জিনিসপত্রও রয়েছে এতে। স্টারলাইনারের ২৮টি থ্রাস্টারের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক উৎক্ষেপণে দেরি হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ বন্ধ হয় হিলিয়াম প্রপালশন লিকের কারণে। তবে, সমস্যার ফলে মিশন থেমে থাকবে না, নাসা ও বোয়িং এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। এ ছাড়া, উইলমোর ও উইলিয়ামস এদের মধ্যে তিনটি থ্রাস্টার পুনরায় চালু করেতে সক্ষম হন, যা এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলও বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। এসব সমস্যা বোয়িংয়ের পোড়া কপালের প্রতীকের মতো হয়ে গিয়েছে বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। অরবিটাল ফ্লাইট পরীক্ষার সমস্যা, ভাল্ভের সমস্যা, সফটওয়্যারের ত্রুটি, প্যারাসুট সিস্টেমের বিভিন্ন ত্রুটি স্টারলাইনার মহাকাশযানটির কোম্পানিটিকে জর্জরিত করেছে।
এদিকে, বোয়িংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেসএক্স, ২০২০ সালে প্রথম আইএসএস-এ পৌঁছে যায়। সে সময়ে বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মিশনটি শুরু করার কথা থাকলেও, উল্লিখিত নানা সমস্যায় তারিখ ঠিক করতে বিলম্ব হয়েছে। বোয়িং আইএসএস-এ নিয়মিত যাত্রায় স্পেসএক্সের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য নাসার সার্টিফিকেশন চাইছে। নিয়মিত মহাকাশ স্টেশনের ভ্রমণের জন্য, একাধিক বেসরকারি খাতের মহাকাশযান ব্যবহার করতে চায় মার্কিন সরকারের সংস্থাটি। বোয়িংয়ের এত সমস্যা সত্ত্বেও, নাসার সার্টিফিকেট পেতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।