ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

শেষ মুহূর্তেও গুলিস্তানের ফুটপাতে ক্রেতাখরা

  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ এসে গেছে। পরিবার-স্বজনদের জন্য সামর্থ্যবানরা শপিংমলে ছুটলেও, নিম্নআয়ের মানুষের কেনাকাটার ‘ভরসার স্থান’ ফুটপাতে সেই অর্থে এখনও তেমন ব্যস্ততা দেখা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে পছন্দের পোশাক, গয়না, জুতা, স্যান্ডেলসহ প্রসাধনী কিনতে ফুটপাতে ভিড় দেখা যায়নি ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলেছেন, শেষ মুহূর্তেও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

শনিবার (২৯ মার্চ) গুলিস্তানের ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট ও গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাতে পোশাক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। এখানে প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, বেল্ট, শিশুদের পোশাক, লুঙ্গি, মেয়েদের পোশাক, ট্রাউজার, পায়জামা, টি-শার্ট, ঘড়ি, শাড়ি, মানিব্যাগ, চশমা সবকিছুই পাওয়া যায়।

এখানে দোকান ও মানভেদে ছেলেদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স প্যান্ট ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায়, গ্যাবাডিন প্যান্ট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, টি-শার্ট ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায়, লুঙ্গি ২০০ থেকে ৬০০ টাকায়, ফ্রগ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে আশানুরূপ ক্রেতা মিলছে না।

স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনের সড়কে একটি অস্থায়ী কাঠের চৌকিতে বড়দের পাঞ্জাবি বিক্রি করছিলেন ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, এখন শেষ সময়, কিন্তু সেই অর্থে ক্রেতা নেই। ঈদের ছুটিতে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গেছে।

রাজধানীর পরিবাগ এলাকার বাসিন্দা মারুফ মিয়া ছেলেকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। একটি সংবাদসংস্থাকে মারুফ বলেন, এবার গ্রামের বাড়িতে যাব না। পরিবারের সবাইকে ঈদে কিছু না কিছু দিতে হয়। ছেলের জন্য শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি কিনলাম।

আরেক বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, সদরঘাট হয়ে বাড়ি যাওয়া কিছু লোকজন কিছু কেনাকাটা করছে। যারা ঢাকায় ঈদ করবে তাদের মধ্যে যারা এখনো কিনেনি তাদের অপেক্ষায় আছি। ফুটপাতে ভালো জিনিস বিক্রি হয়। এখান থেকে শুধু গরিবরা কিনে না, বড় লোকরাও কিনে।

আবদুল মতিন নামের ক্রেতা বলেন, মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে কম দামে পাওয়া যায়। আমাদের মতো যারা নিম্নআয়ের তারা তো আর বড় বড় মার্কেট থেকে কিনতে পারি না। আমাদের ভরসা এই ফুটপাতই। এখন ফুটপাতেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনলাম। এখন নিজের জন্য মনমতো পাঞ্জাবি পছন্দ হচ্ছে না।

ঢাকার একটি হোটেলে কাজ করেন মো. হিরন। তার বাড়ি বরিশাল। হিরন বলেন, কাজকর্মের জন্য সময় পাই না। মালিক ছুটি দিছে। বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আসছি। বাবা-মা-ভাই-বোনদের জন্য কিছু কেনাকাটা হয়ে গেলে রওনা করব। গুলিস্তানের বিক্রেতারা জানান, এবার আশানুরূপ বিক্রি হয়নি

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেষ মুহূর্তেও গুলিস্তানের ফুটপাতে ক্রেতাখরা

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ এসে গেছে। পরিবার-স্বজনদের জন্য সামর্থ্যবানরা শপিংমলে ছুটলেও, নিম্নআয়ের মানুষের কেনাকাটার ‘ভরসার স্থান’ ফুটপাতে সেই অর্থে এখনও তেমন ব্যস্ততা দেখা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে পছন্দের পোশাক, গয়না, জুতা, স্যান্ডেলসহ প্রসাধনী কিনতে ফুটপাতে ভিড় দেখা যায়নি ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলেছেন, শেষ মুহূর্তেও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

শনিবার (২৯ মার্চ) গুলিস্তানের ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট ও গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাতে পোশাক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। এখানে প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, বেল্ট, শিশুদের পোশাক, লুঙ্গি, মেয়েদের পোশাক, ট্রাউজার, পায়জামা, টি-শার্ট, ঘড়ি, শাড়ি, মানিব্যাগ, চশমা সবকিছুই পাওয়া যায়।

এখানে দোকান ও মানভেদে ছেলেদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স প্যান্ট ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায়, গ্যাবাডিন প্যান্ট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, টি-শার্ট ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায়, লুঙ্গি ২০০ থেকে ৬০০ টাকায়, ফ্রগ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে আশানুরূপ ক্রেতা মিলছে না।

স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনের সড়কে একটি অস্থায়ী কাঠের চৌকিতে বড়দের পাঞ্জাবি বিক্রি করছিলেন ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, এখন শেষ সময়, কিন্তু সেই অর্থে ক্রেতা নেই। ঈদের ছুটিতে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গেছে।

রাজধানীর পরিবাগ এলাকার বাসিন্দা মারুফ মিয়া ছেলেকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। একটি সংবাদসংস্থাকে মারুফ বলেন, এবার গ্রামের বাড়িতে যাব না। পরিবারের সবাইকে ঈদে কিছু না কিছু দিতে হয়। ছেলের জন্য শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি কিনলাম।

আরেক বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, সদরঘাট হয়ে বাড়ি যাওয়া কিছু লোকজন কিছু কেনাকাটা করছে। যারা ঢাকায় ঈদ করবে তাদের মধ্যে যারা এখনো কিনেনি তাদের অপেক্ষায় আছি। ফুটপাতে ভালো জিনিস বিক্রি হয়। এখান থেকে শুধু গরিবরা কিনে না, বড় লোকরাও কিনে।

আবদুল মতিন নামের ক্রেতা বলেন, মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে কম দামে পাওয়া যায়। আমাদের মতো যারা নিম্নআয়ের তারা তো আর বড় বড় মার্কেট থেকে কিনতে পারি না। আমাদের ভরসা এই ফুটপাতই। এখন ফুটপাতেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনলাম। এখন নিজের জন্য মনমতো পাঞ্জাবি পছন্দ হচ্ছে না।

ঢাকার একটি হোটেলে কাজ করেন মো. হিরন। তার বাড়ি বরিশাল। হিরন বলেন, কাজকর্মের জন্য সময় পাই না। মালিক ছুটি দিছে। বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আসছি। বাবা-মা-ভাই-বোনদের জন্য কিছু কেনাকাটা হয়ে গেলে রওনা করব। গুলিস্তানের বিক্রেতারা জানান, এবার আশানুরূপ বিক্রি হয়নি