ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

শেষ বিকেলে বাংলাদেশের দাপট

  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সকাল থেকেই সাগরিকায় তীব্র রোদে তপ্ত চারপাশ। কিন্তু শেষ সেশনে হঠাৎ বইতে শুরু করল ঝড়ো বাতাস। কালো মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ। দমকা হওয়ায় উল্টে গেল সীমানার বাইরের ছাতা। খেলা অবশ্য বন্ধ হলো না। বরং সেই ঝড়ই যেন উড়িয়ে নিল বাংলাদেশের সব হতাশা।

দিনের শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা। দিনের প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের হতাশায় ডুবিয়ে দারুণ অবস্থানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়ে এখন অলআউট হওয়ার শঙ্কায় তারা। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। চা বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৬১ রান করা ফেলা জিম্বাবুয়ে শেষ সেশনের ২৪ ওভারে মাত্র ৬৬ রান করতে হারায় ৭ উইকেট। শেষ সেশনে টপাটপ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনের নায়ক তাইজুল।

চমৎকার বোলিংয়ে ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। ৫৩ টেস্টে তার এটি ১৬তম পাঁচ উইকেট। একাদশে ফেরার দিন নাঈমও দারুণ বোলিং করেন। টস হেরে ফিল্ডিং নেমে দিনের শুরুতে হতাশই হতে হয় স্বাগতিকদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদের চমৎকার ডেলিভারিতে অল্পের জন্য বোল্ড হননি ব্রায়ান বেনেট। পরের ওভারে তানজিম হাসানের বলে ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান বাউন্ডারি। শুরুর ওই নড়বড়ে সময় কাটিয়ে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন বেনেট। অন্য প্রান্তে বেন কারানও ছিলেন দারুণ গোছালো।

প্রথম দশ ওভারে গড়ে চারের বেশি রান করেন দুই ওপেনার। অষ্টম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে কারানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন সাদমান ইসলাম। সিলেট টেস্টেও প্রথম স্লিপে লোপ্পা একটি ক্যাচ নিতে পারেননি তিনি। পরে প্রান্ত বদলে নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানজিম। অভিষিক্ত পেসারের বাড়তি লাফানো ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হন বেনেট (৩৩ বলে ২১)। তিন নম্বরে নেমে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন নিক ওয়েলচ। তানজিমের ওভারে শর্ট বলে ছক্কার পর চার মারেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। মিরাজের পরপর দুই ওভারে একটি করে ছক্কা মারেন ওয়েলচ ও কারান। পরে তাইজুলের শর্ট বলে পুল করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন কারান। তার ব্যাট থেকেও আসে ২১ রান।

এরপর শুরু হয় ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটি। প্রথম সেশন তো বটেই, দ্বিতীয় সেশনেও তাদের বন্ধন ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। লাঞ্চের আগে ২ উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আসে উইকেটের সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি সাদমান ও জাকের আলি। তাইজুলের বল অন সাইডে খেলেন উইলিয়ামস। দ্রুত রানের জন্য ছোটেন ওয়েলচ।

শুরুতে দ্বিধায় ছিলেন উইলিয়ামস। ফলে দুজন একইপ্রান্তের কাছাকাছি চলে আসেন। নন স্ট্রাইকের বদলে কিপারের হাতে থ্রো করেন সাদমান। তখনও সুযোগ ছিল জাকেরের। রান নিতে গিয়ে কয়েকবার ক্রিজের ওপর হোঁচট খেয়ে পড়েন উইলিয়ামস। জাকের ঠিকঠাক থ্রো করতে পারেননি। সময় পেয়ে পড়িমড়ি করেন ক্রিজে ঢোকেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এরপর ধীরে ধীরে ঢুকে যান খোলসে ঢুকে যান ওয়েলচ। শুরুতে ২৯ বলে ২২ রান ব্যাটসম্যানের ফিফটি করতে লাগে ১০৭ বল। তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। চা বিরতির আগে উইলিয়ামসও ফিফটি পূর্ণ করেন, ১১৪ বলে। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান যোগ করেন ওয়েলচ ও উইলিয়ামস। আউট না হলেও প্রচ- গরমে বেশ কয়েকবার পেশির টানে শুশ্রূষা নিতে হয় দুই ব্যাটসম্যানের। শেষ সেশনে ব্যাটিং নেমে এক বল খেলার পর আবারও পেশির টান অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে যান ওয়েলচ। ছেদ পড়ে ২৩০ বলে ৯০ রানের জুটির।

এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় সেই ঝড়ো হাওয়া। সেটিই হয়তো নড়িয়ে দেয় ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ। নাঈমের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন ৫ রান করা ক্রেইগ আরভাইন। নাঈমের পরের ওভারে লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টায় ক্যাচ আউট হন উইলিয়ামস। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৭ বলে ৬৬ রান করেন উইলিয়ামস। দিনের পরের গল্পের পুরোটা জুড়ে তাইজুল। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগে দারুণ টার্ন করা ডেলিভারিতে ওয়েসলি মাধেভেরেকে কট বিহাইন্ড করেন তিনি। দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার কাছে ছক্কা হজম করেন তাইজুল। পরের বলে তিনি নিয়ে নেন প্রতিশোধ।

এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাসাকাদজা। ঠিক পরের ডেলিভারিতে বোল্ড রিচার্ড এনগারাভা। মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপদ আরও বাড়ে অভিষিক্ত ভিনসেন্ট মাসেকেসার রান আউটে। অষ্টম উইকেট পড়ার পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়েলচ। দুই বলের বেশি অবশ্য টিকতে পারেননি। তাইজুলের বলে স্লগ করার চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি। একইসঙ্গে পূর্ণ হয় তাইজুলের ৫ উইকেট। দিনের শেষ ৫ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি টাফাডজোয়া সিগা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৭/৯ (বেনেট ২১, কারান ২১, ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭, আরভাইন ৫, মাধভেরে ১৫, সিগা ১৮*, ওয়েলিংটন ৬, এনগারাভা ০, মাসেকেসা ৮, মুজারাবানি ২*; হাসান ১০-৩-২৪-০, তানজিম ১০-০-৪৯-১, মিরাজ ২১-৭-৪৪-০, তাইজুল ২৭-৬-৬০-৫, নাঈম ২০-৯-৪২-২, মুমিনুল ২-০-২-০)

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেষ বিকেলে বাংলাদেশের দাপট

আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সকাল থেকেই সাগরিকায় তীব্র রোদে তপ্ত চারপাশ। কিন্তু শেষ সেশনে হঠাৎ বইতে শুরু করল ঝড়ো বাতাস। কালো মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ। দমকা হওয়ায় উল্টে গেল সীমানার বাইরের ছাতা। খেলা অবশ্য বন্ধ হলো না। বরং সেই ঝড়ই যেন উড়িয়ে নিল বাংলাদেশের সব হতাশা।

দিনের শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা। দিনের প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের হতাশায় ডুবিয়ে দারুণ অবস্থানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়ে এখন অলআউট হওয়ার শঙ্কায় তারা। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। চা বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৬১ রান করা ফেলা জিম্বাবুয়ে শেষ সেশনের ২৪ ওভারে মাত্র ৬৬ রান করতে হারায় ৭ উইকেট। শেষ সেশনে টপাটপ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনের নায়ক তাইজুল।

চমৎকার বোলিংয়ে ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। ৫৩ টেস্টে তার এটি ১৬তম পাঁচ উইকেট। একাদশে ফেরার দিন নাঈমও দারুণ বোলিং করেন। টস হেরে ফিল্ডিং নেমে দিনের শুরুতে হতাশই হতে হয় স্বাগতিকদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদের চমৎকার ডেলিভারিতে অল্পের জন্য বোল্ড হননি ব্রায়ান বেনেট। পরের ওভারে তানজিম হাসানের বলে ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান বাউন্ডারি। শুরুর ওই নড়বড়ে সময় কাটিয়ে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন বেনেট। অন্য প্রান্তে বেন কারানও ছিলেন দারুণ গোছালো।

প্রথম দশ ওভারে গড়ে চারের বেশি রান করেন দুই ওপেনার। অষ্টম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে কারানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন সাদমান ইসলাম। সিলেট টেস্টেও প্রথম স্লিপে লোপ্পা একটি ক্যাচ নিতে পারেননি তিনি। পরে প্রান্ত বদলে নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানজিম। অভিষিক্ত পেসারের বাড়তি লাফানো ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হন বেনেট (৩৩ বলে ২১)। তিন নম্বরে নেমে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন নিক ওয়েলচ। তানজিমের ওভারে শর্ট বলে ছক্কার পর চার মারেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। মিরাজের পরপর দুই ওভারে একটি করে ছক্কা মারেন ওয়েলচ ও কারান। পরে তাইজুলের শর্ট বলে পুল করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন কারান। তার ব্যাট থেকেও আসে ২১ রান।

এরপর শুরু হয় ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটি। প্রথম সেশন তো বটেই, দ্বিতীয় সেশনেও তাদের বন্ধন ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। লাঞ্চের আগে ২ উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আসে উইকেটের সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি সাদমান ও জাকের আলি। তাইজুলের বল অন সাইডে খেলেন উইলিয়ামস। দ্রুত রানের জন্য ছোটেন ওয়েলচ।

শুরুতে দ্বিধায় ছিলেন উইলিয়ামস। ফলে দুজন একইপ্রান্তের কাছাকাছি চলে আসেন। নন স্ট্রাইকের বদলে কিপারের হাতে থ্রো করেন সাদমান। তখনও সুযোগ ছিল জাকেরের। রান নিতে গিয়ে কয়েকবার ক্রিজের ওপর হোঁচট খেয়ে পড়েন উইলিয়ামস। জাকের ঠিকঠাক থ্রো করতে পারেননি। সময় পেয়ে পড়িমড়ি করেন ক্রিজে ঢোকেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এরপর ধীরে ধীরে ঢুকে যান খোলসে ঢুকে যান ওয়েলচ। শুরুতে ২৯ বলে ২২ রান ব্যাটসম্যানের ফিফটি করতে লাগে ১০৭ বল। তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। চা বিরতির আগে উইলিয়ামসও ফিফটি পূর্ণ করেন, ১১৪ বলে। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান যোগ করেন ওয়েলচ ও উইলিয়ামস। আউট না হলেও প্রচ- গরমে বেশ কয়েকবার পেশির টানে শুশ্রূষা নিতে হয় দুই ব্যাটসম্যানের। শেষ সেশনে ব্যাটিং নেমে এক বল খেলার পর আবারও পেশির টান অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে যান ওয়েলচ। ছেদ পড়ে ২৩০ বলে ৯০ রানের জুটির।

এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় সেই ঝড়ো হাওয়া। সেটিই হয়তো নড়িয়ে দেয় ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ। নাঈমের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন ৫ রান করা ক্রেইগ আরভাইন। নাঈমের পরের ওভারে লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টায় ক্যাচ আউট হন উইলিয়ামস। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৭ বলে ৬৬ রান করেন উইলিয়ামস। দিনের পরের গল্পের পুরোটা জুড়ে তাইজুল। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগে দারুণ টার্ন করা ডেলিভারিতে ওয়েসলি মাধেভেরেকে কট বিহাইন্ড করেন তিনি। দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার কাছে ছক্কা হজম করেন তাইজুল। পরের বলে তিনি নিয়ে নেন প্রতিশোধ।

এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাসাকাদজা। ঠিক পরের ডেলিভারিতে বোল্ড রিচার্ড এনগারাভা। মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপদ আরও বাড়ে অভিষিক্ত ভিনসেন্ট মাসেকেসার রান আউটে। অষ্টম উইকেট পড়ার পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়েলচ। দুই বলের বেশি অবশ্য টিকতে পারেননি। তাইজুলের বলে স্লগ করার চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি। একইসঙ্গে পূর্ণ হয় তাইজুলের ৫ উইকেট। দিনের শেষ ৫ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি টাফাডজোয়া সিগা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৭/৯ (বেনেট ২১, কারান ২১, ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭, আরভাইন ৫, মাধভেরে ১৫, সিগা ১৮*, ওয়েলিংটন ৬, এনগারাভা ০, মাসেকেসা ৮, মুজারাবানি ২*; হাসান ১০-৩-২৪-০, তানজিম ১০-০-৪৯-১, মিরাজ ২১-৭-৪৪-০, তাইজুল ২৭-৬-৬০-৫, নাঈম ২০-৯-৪২-২, মুমিনুল ২-০-২-০)