ক্রীড়া প্রতিবেদক : একই সময়ে গোল হজমের পাশাপাশি ডিফেন্ডার সাদউদ্দিনকে হারাল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানও ১০ জনের দলে পরিণত হলে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেল তারা। শেষ দিকের গোলে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল সাইফুল বারী টিটুর দল। টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে শনিবার দুই দল ১-১ ড্র করেছে। প্রথমার্ধে সুলেমান দিয়াবাতে মোহামেডানকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে সমতা ফেরান আইজার আখমেতভ।
গত লিগেও প্রথম লেগে দুই দলের ম্যাচটি একই স্কোরলাইনে ড্র হয়েছিল। দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল সাদা-কালো জার্সিধারী মোহামেডান। শুরু থেকে মোহামেডান আধিপত্য করলেও রক্ষণ জমাট রেখেছিল শেখ রাসেল। কিন্তু ২৩তম মিনিটে গোল হজমের সঙ্গে ১০ জনে নেমে আসে তারা। জটলার ভেতর দিয়াবাতের হেড গোললাইন থেকে সাদউদ্দিন হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বল তার হাতে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল আটকাতে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সাদউদ্দিন। গত লিগে মোহামেডানের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৩টি) ছিলেন দিয়াবাতে। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মালির এই ফরোয়ার্ড ছিলেন ষষ্ঠ স্থানে। মোহামেডানও লিগ শেষ করেছিল ষষ্ঠ স্থানে থেকে। ২৬তম মিনিটে দিয়াবাতের শট আটকান আশরাফুল ইসলাম রানা। ৩৩তম মিনিটে খুব কাছাকাছি থেকে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার অ্যারন জন রিয়ারডনের হেডও ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি শেখ রাসেল গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর শেখ রাসেলের গোলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ সুজন। বক্সে একজনকে কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড থিয়াগো এদুয়ার্দো দো আমারালের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরান তিনি। এরপর দলটির পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমায়েল রুতি তাবারেজের ফিরতি শট বাইরে যায়।
৬৭তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে মাসুদ রানার অনেক উঁচুতে তোলা পা রহমত মিয়ার মাথা ছুঁলে সরাসরি লাল কার্ড দেন রেফারি। এরপরই ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ী শেখ রাসেল রক্ষণের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। দুই ডিফেন্ডারের অবদানে ৮৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। রহমতের কর্নারে কিরগিজস্তানের আখমেতভের হেড চোখের পলকে ঠিকানা খুঁজে নেয়। দিনের অন্য ম্যাচ জিতে লিগে শুভসূচনা করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে মারুফুল হকের দল। চতুর্থ মিনিটে ফিলিপ আজাহর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রহমতগঞ্জ। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ খুঁজে পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৫২তম মিনিটে পিটার থ্যাঙ্কগড সমতা ফেরানোর পর ৭২তম মিনিটে রুবেল মিয়া দলকে এগিয়ে নেন। বাকিটা সময় ব্যবধান ধরে রেখে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রামের দলটি। নতুন লিগে বড় দলগুলোর মধ্যে আবাহনী, শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফ স্পোর্টিং পেয়েছে জয়ের স্বাদ। হার দিয়ে শুরু করেছে শিরোপাধারী বসুন্ধরা কিংস। মোহামেডান ও শেখ রাসেল যাত্রা শুরু করেছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।
শেষ দিকের গোলে মোহামেডানকে রুখে দিল শেখ রাসেল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ