ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান

  • আপডেট সময় : ০৬:২২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ম্যাচের শেষ অবধি থাকলো রোমাঞ্চ। ভালো ভিতে দাঁড়িয়ে বড় রানই করেছিল ফরচুন বরিশাল। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে অনেকটা সময় চাপেই ছিল রংপুর। শেষ ওভারেও মনে হচ্ছিল রান তাড়া কঠিন। কিন্তু নুরুল হাসান সোহানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে বরিশাল। তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চার মেরে রংপুরকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বরিশাল। ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলে। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ব্যাটার এদিন অবশ্য রান করেন।

৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করার পর খুশদিলের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। ওই ওভারের প্রথম বলে শান্তকে আউট করার পর শেষ বলে তামিমকে ফেরান কামরুল রাব্বি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। ৩৫ বলে ৫৯ রানের এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ২৩ রান করে আউট হন তিনি।

৪ বলে ২ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এরপরই মেয়ার্সের সঙ্গী হন ফাহিম আশরাফ। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। ৬ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ২৯ বলে ৬১ রান করেন মেয়ার্স। রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ৩ বলে ১ রান করে তানভীর ইসলামের বলে স্টাম্পিং হন হেলস। এরপর কিছুটা ধরে খেলেন সাইফ হাসান ও তৌফিক খান তুষার। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে ফাহিম আশরাফ ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভাঙে। ৩৫ বলে ৩৭ রান করেছিলেন তুষার ও সাইফ। তাদের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ২৮ বলে ৩৮ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তুষারও।
তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর রংপুর কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দলকে সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমদ। অনেকটা পথ টেনে নেন তারা।

৫৩ বলে ৯১ রানের এই জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করা ইফতিখার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তার বলে। তার বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে শুরু হয় খুশদিলের চেষ্টা। তিনিও অবশ্য শেষ করতে পারেননি।

২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন খুশদিল। তার বিদায়ের ওভারে মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও আউট হন। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার হয় ২৬ রান। বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল তখন। তবে কাজটি করে দেখান অধিনায়ক সোহান। কাইল মেয়ার্সের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুটিতে আসে চার।

চতুর্থ বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরেরটিতে চার মারেন সোহান। শেষ বলে দরকার হয় স্রেফ ২ রান। কিন্তু ওই বলেও ছক্কা হাঁকান সোহান। ৭ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

এদিকে ৬ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে প্লে-অফের পথে আরও এগিয়ে গেল রংপুর। ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান

আপডেট সময় : ০৬:২২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ম্যাচের শেষ অবধি থাকলো রোমাঞ্চ। ভালো ভিতে দাঁড়িয়ে বড় রানই করেছিল ফরচুন বরিশাল। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে অনেকটা সময় চাপেই ছিল রংপুর। শেষ ওভারেও মনে হচ্ছিল রান তাড়া কঠিন। কিন্তু নুরুল হাসান সোহানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে বরিশাল। তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চার মেরে রংপুরকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বরিশাল। ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলে। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ব্যাটার এদিন অবশ্য রান করেন।

৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করার পর খুশদিলের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। ওই ওভারের প্রথম বলে শান্তকে আউট করার পর শেষ বলে তামিমকে ফেরান কামরুল রাব্বি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। ৩৫ বলে ৫৯ রানের এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ২৩ রান করে আউট হন তিনি।

৪ বলে ২ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এরপরই মেয়ার্সের সঙ্গী হন ফাহিম আশরাফ। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। ৬ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ২৯ বলে ৬১ রান করেন মেয়ার্স। রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ৩ বলে ১ রান করে তানভীর ইসলামের বলে স্টাম্পিং হন হেলস। এরপর কিছুটা ধরে খেলেন সাইফ হাসান ও তৌফিক খান তুষার। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে ফাহিম আশরাফ ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভাঙে। ৩৫ বলে ৩৭ রান করেছিলেন তুষার ও সাইফ। তাদের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ২৮ বলে ৩৮ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তুষারও।
তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর রংপুর কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দলকে সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমদ। অনেকটা পথ টেনে নেন তারা।

৫৩ বলে ৯১ রানের এই জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করা ইফতিখার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তার বলে। তার বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে শুরু হয় খুশদিলের চেষ্টা। তিনিও অবশ্য শেষ করতে পারেননি।

২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন খুশদিল। তার বিদায়ের ওভারে মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও আউট হন। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার হয় ২৬ রান। বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল তখন। তবে কাজটি করে দেখান অধিনায়ক সোহান। কাইল মেয়ার্সের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুটিতে আসে চার।

চতুর্থ বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরেরটিতে চার মারেন সোহান। শেষ বলে দরকার হয় স্রেফ ২ রান। কিন্তু ওই বলেও ছক্কা হাঁকান সোহান। ৭ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

এদিকে ৬ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে প্লে-অফের পথে আরও এগিয়ে গেল রংপুর। ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে তারা।