ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে কোহলিদের জয়

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দারুণ এক জয়ের আশা জাগালেন শিমরন হেটমায়ার ও রিশাভ পান্ত। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও পারলেন না তারা। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। আইপিএলের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে ১ রানে জিতেছে বিরাট কোহলির দল। ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দিল্লি থামে ১৭০ রানে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। হেটমায়ার ৫২ ও পান্ত ৪৭ রানে তখন ব্যাটিংয়ে। মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই বলে এক রান করে নেন দুই ব্যাটসম্যান। খুনে ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা হেটমায়ার শেষ ওভারে খেলতে পারেন কেবল ওই এক বল। শেষ ৪ বলে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি পান্ত। যদিও বল পেয়েছিলেন মারার মতোই। তৃতীয় বলে কোনো রান নিতে পারেননি দিল্লি অধিনায়ক। পরের বলে ডাবল নিয়ে পূর্ণ করেন ফিফটি। ২ বলে চাই ১০।
পঞ্চম বলটা সিরাজ করেন ফুলটস। ঠিকমতো খেলতে না পারলেও বাউন্ডারি পেয়ে যান পান্ত। শেষ বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে নিচু ফুলটস, পান্ত পয়েন্ট দিয়ে খেলে পান কেবল চার। উল্লাসে মাতেন বেঙ্গালোরের খেলোয়াড়রা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির রান ১৭০ ছাড়ায় মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্সের সৌজন্যে। পাঁচ নম্বরে নেমে ৪২ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৭৫ রান করেন তিনি। ইনিংসটির পথে আইপিএলে বলের হিসাবে দ্রুততম পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তারকা এই ব্যাটসম্যান। ত্রিশ ছাড়াতে পারেন আর কেবল একজন- রজত পাতিদার (২২ বলে ৩১)। রান তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই শিখর ধাওয়ান ও স্টিভেন স্মিথকে হারায় দিল্লি। থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি পৃথ্বী শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পান্ত ও হেটমায়ার বাঁচিয়ে রাখেন আশা। শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৬ রান। ১৮তম ওভারে কাইল জেমিসনকে হেটমায়ারের তিন ছক্কায় আসে ২১ রান। পরের ওভারে ১১। কিন্তু শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারলেন না তারা। ২৫ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫৩ রান করেন হেটমায়ার। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫৮ রান পান্তের। অবাক করা হলেও সত্যি, আসরে পান্তের দুই ফিফটির একটিতেও নেই কোনো ছক্কা। অথচ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর : ২০ ওভারে ১৭১/৫ (কোহলি ১২, পাডিক্কাল ১৭, রজত ৩১, ম্যাক্সওয়েল ২৫, ডি ভিলিয়ার্স ৭৫, সুন্দর ৬, স্যামস ৩; ইশান্ত ৪-০-২৬-১, রাবাদা ৪-০-৩৮-১, আভেশ ৪-০-২৪-১, অমিত ৩-০-২৭-১, আকসার ৪-০-৩৩-১, স্টয়নিস ১-০-২৩-০)
দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ১৭০/৪ (পৃথ্বী ২১, ধাওয়ান ৬, স্মিথ ৪ আসরের আগে পেশাদার ক্রিকেটে সব সংস্করণ মিলিয়ে তার ৫১ হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসের মধ্যে কেবল একটিতে ছিল না কোনো ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :, পান্ত ৫৮, স্টয়নিস ২২, হেটমায়ার ৫৩, স্যামস ২-০-১৫-০, সিরাজ ৪-০-৪৪-১, জেমিসন ৪-০-৩২-১, সুন্দর ৪-০-২৮-০, হার্শাল ৪-০-৩৭-২, চেহেল ২-০-১০-০)
ফল : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ১ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : এবি ডি ভিলিয়ার্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে কোহলিদের জয়

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : দারুণ এক জয়ের আশা জাগালেন শিমরন হেটমায়ার ও রিশাভ পান্ত। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও পারলেন না তারা। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। আইপিএলের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে ১ রানে জিতেছে বিরাট কোহলির দল। ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দিল্লি থামে ১৭০ রানে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। হেটমায়ার ৫২ ও পান্ত ৪৭ রানে তখন ব্যাটিংয়ে। মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই বলে এক রান করে নেন দুই ব্যাটসম্যান। খুনে ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা হেটমায়ার শেষ ওভারে খেলতে পারেন কেবল ওই এক বল। শেষ ৪ বলে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি পান্ত। যদিও বল পেয়েছিলেন মারার মতোই। তৃতীয় বলে কোনো রান নিতে পারেননি দিল্লি অধিনায়ক। পরের বলে ডাবল নিয়ে পূর্ণ করেন ফিফটি। ২ বলে চাই ১০।
পঞ্চম বলটা সিরাজ করেন ফুলটস। ঠিকমতো খেলতে না পারলেও বাউন্ডারি পেয়ে যান পান্ত। শেষ বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে নিচু ফুলটস, পান্ত পয়েন্ট দিয়ে খেলে পান কেবল চার। উল্লাসে মাতেন বেঙ্গালোরের খেলোয়াড়রা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির রান ১৭০ ছাড়ায় মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্সের সৌজন্যে। পাঁচ নম্বরে নেমে ৪২ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৭৫ রান করেন তিনি। ইনিংসটির পথে আইপিএলে বলের হিসাবে দ্রুততম পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তারকা এই ব্যাটসম্যান। ত্রিশ ছাড়াতে পারেন আর কেবল একজন- রজত পাতিদার (২২ বলে ৩১)। রান তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই শিখর ধাওয়ান ও স্টিভেন স্মিথকে হারায় দিল্লি। থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি পৃথ্বী শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পান্ত ও হেটমায়ার বাঁচিয়ে রাখেন আশা। শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৬ রান। ১৮তম ওভারে কাইল জেমিসনকে হেটমায়ারের তিন ছক্কায় আসে ২১ রান। পরের ওভারে ১১। কিন্তু শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারলেন না তারা। ২৫ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫৩ রান করেন হেটমায়ার। ৪৮ বলে ৬ চারে ৫৮ রান পান্তের। অবাক করা হলেও সত্যি, আসরে পান্তের দুই ফিফটির একটিতেও নেই কোনো ছক্কা। অথচ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর : ২০ ওভারে ১৭১/৫ (কোহলি ১২, পাডিক্কাল ১৭, রজত ৩১, ম্যাক্সওয়েল ২৫, ডি ভিলিয়ার্স ৭৫, সুন্দর ৬, স্যামস ৩; ইশান্ত ৪-০-২৬-১, রাবাদা ৪-০-৩৮-১, আভেশ ৪-০-২৪-১, অমিত ৩-০-২৭-১, আকসার ৪-০-৩৩-১, স্টয়নিস ১-০-২৩-০)
দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ১৭০/৪ (পৃথ্বী ২১, ধাওয়ান ৬, স্মিথ ৪ আসরের আগে পেশাদার ক্রিকেটে সব সংস্করণ মিলিয়ে তার ৫১ হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসের মধ্যে কেবল একটিতে ছিল না কোনো ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :, পান্ত ৫৮, স্টয়নিস ২২, হেটমায়ার ৫৩, স্যামস ২-০-১৫-০, সিরাজ ৪-০-৪৪-১, জেমিসন ৪-০-৩২-১, সুন্দর ৪-০-২৮-০, হার্শাল ৪-০-৩৭-২, চেহেল ২-০-১০-০)
ফল : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ১ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : এবি ডি ভিলিয়ার্স।