ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

শেষ ওভারের দুই ছক্কায় শ্বাসরুদ্ধকর জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম বলে এক রান নিয়ে ডেভিড মিলারকে স্ট্রাইকে আনেন কাগিসো রাবাদা। পরের দুই বলে বিশাল দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন মিলার। পরে চার মেরে জয় এনে দেন রাবাদা নিজেই।
চলতি বিশ্বকাপে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪০ রানের আশপাশের সংগ্রহই হয়ে যাচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। যার প্রমাণ মিললো আরও একবার। আগে ব্যাট করে ১৪২ রানের সংগ্রহ নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদার শেষের ঝড়ে এক বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে ১৫ রানের চাহিদায় পাঁচ বলে ১৮ রান নিয়েছেন মিলার ও রাবাদা। আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় জয়। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই দুই ওপেনার রেজা হেন্ডরিকস (১১) ও কুইন্টন ডি ককের (১২) উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৫০ হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরে যান রসি ফন ডার ডুসেনও (১৬)। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৪৭ রান যোগ করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মারক্রাম। হাসারাঙ্গা ডি সিলভার ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে ২০ বলে ১৯ রান করেন মারক্রাম। দলের সংগ্রহ তখন ৯৬ রান। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল আরও ৪৭ রান। প্রোটিয়াদের কাজ আরও কঠিন হয় ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে টেম্বা বাভুমা (৪৬) ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের (০) উইকেটে। এ দুজনকে ফেরানোর মাধ্যমে হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন হাসারাঙ্গা। তবে তার এই হ্যাটট্রিক শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি লাহিরু কুমারার আলগা বোলিংয়ের কারণে। শেষ ওভারের প্রথম তিনটি বলই পায়ের ওপর করেন কুমারা। প্রথম বলে রাবাদা ব্যর্থ হলেও পরের দুই বলে সহজেই ছক্কা মারেন মিলার। আর পঞ্চম বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন রাবাদা। শেষ পর্যন্ত মিলার অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৩ রান করে। রাবাদার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৩ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও। যা দলকে এনে দেয় ৪ উইকেটের জয়। এর আগে টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। বাঁহাতি ওপেনার কুশন পেরেরা করেন ৭ রান, ফর্মে থাকা চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ডানহাতি ওপেনার নিসাঙ্কা। কিন্তু কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। হতাশ করেন ভানুকা রাজাপাকশে (০), আভিশকা ফার্নান্দো (৩) ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গারা (৪)। অধিনায়ক দাসুন শানাকা দুই অঙ্কে পৌঁছলেও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংসের ১৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০১ রান। সেখান থেকে মূলত নিসাঙ্কার একার চেষ্টায়ই শেষ ৪ ওভারে আসে আরও ৪১ রান। যার সুবাদে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। নিসাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৭২ রান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেষ ওভারের দুই ছক্কায় শ্বাসরুদ্ধকর জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

আপডেট সময় : ০২:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম বলে এক রান নিয়ে ডেভিড মিলারকে স্ট্রাইকে আনেন কাগিসো রাবাদা। পরের দুই বলে বিশাল দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন মিলার। পরে চার মেরে জয় এনে দেন রাবাদা নিজেই।
চলতি বিশ্বকাপে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪০ রানের আশপাশের সংগ্রহই হয়ে যাচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। যার প্রমাণ মিললো আরও একবার। আগে ব্যাট করে ১৪২ রানের সংগ্রহ নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদার শেষের ঝড়ে এক বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে ১৫ রানের চাহিদায় পাঁচ বলে ১৮ রান নিয়েছেন মিলার ও রাবাদা। আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় জয়। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই দুই ওপেনার রেজা হেন্ডরিকস (১১) ও কুইন্টন ডি ককের (১২) উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৫০ হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরে যান রসি ফন ডার ডুসেনও (১৬)। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৪৭ রান যোগ করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মারক্রাম। হাসারাঙ্গা ডি সিলভার ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে ২০ বলে ১৯ রান করেন মারক্রাম। দলের সংগ্রহ তখন ৯৬ রান। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল আরও ৪৭ রান। প্রোটিয়াদের কাজ আরও কঠিন হয় ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে টেম্বা বাভুমা (৪৬) ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের (০) উইকেটে। এ দুজনকে ফেরানোর মাধ্যমে হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন হাসারাঙ্গা। তবে তার এই হ্যাটট্রিক শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি লাহিরু কুমারার আলগা বোলিংয়ের কারণে। শেষ ওভারের প্রথম তিনটি বলই পায়ের ওপর করেন কুমারা। প্রথম বলে রাবাদা ব্যর্থ হলেও পরের দুই বলে সহজেই ছক্কা মারেন মিলার। আর পঞ্চম বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন রাবাদা। শেষ পর্যন্ত মিলার অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৩ রান করে। রাবাদার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৩ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও। যা দলকে এনে দেয় ৪ উইকেটের জয়। এর আগে টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। বাঁহাতি ওপেনার কুশন পেরেরা করেন ৭ রান, ফর্মে থাকা চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ডানহাতি ওপেনার নিসাঙ্কা। কিন্তু কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। হতাশ করেন ভানুকা রাজাপাকশে (০), আভিশকা ফার্নান্দো (৩) ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গারা (৪)। অধিনায়ক দাসুন শানাকা দুই অঙ্কে পৌঁছলেও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংসের ১৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০১ রান। সেখান থেকে মূলত নিসাঙ্কার একার চেষ্টায়ই শেষ ৪ ওভারে আসে আরও ৪১ রান। যার সুবাদে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। নিসাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৭২ রান।