ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

শেষের নাটকীয়তায় ইমরুলদের থামিয়ে নায়ক রাকিব

  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ৬ বলে প্রয়োজন ১০ রান, উইকেট বাকি ১টি। দ্বিতীয় বলে চার মারলেন মোহাম্মদ রাকিব। পরের বলে লং অন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ ছেড়ে দিলেন নাঈম হাসান। জীবন পেয়ে পরের বলে আবার চার মারলেন রাকিব। সমীকরণ চলে এলো নাগালে। বাকি দুই বলে সিঙ্গেল নিয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের জয় নিশ্চিত করলেন দুই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শনিব্রা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে শেষ বলে হারায় পারটেক্স। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে এদিন বিকেএসপির দুই মাঠের একটিতেও টস করা যায়নি। তাই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল। পরে রান তাড়ায় শেষ দিকে শঙ্কায় পড়ে গেলেও রাকিবের বীরত্বে ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পারটেক্স। সাত ম্যাচে পারটেক্সের এটি দ্বিতীয় জয়। টানা চার ম্যাচ জেতার পর এবার হারের তেতো স্বাদ পেল অগ্রণী ব্যাংক। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে তারা। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ১০৩ বলে ৮০ রান করেন বাংলাদেশের হয়ে ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা রাকিব। ৫টি করে চার-ছক্কার ইনিংসে ম্যাচের সেরা ২৬ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান। মেঘাচ্ছন্ন গুমোট দিনে টস হেরে ব্যাটিং নেমে সুবিধা করতে পারেনি ইমরুলের দল। ইনিংস জুড়ে বড় কোনো জুটিও গড়তে পারেনি তারা। ভালো শুরু করলেও ৩১ রানে থেমে যান সাদমান ইসলাম।

ইমরুল, প্রিতম কুমার, অমিত হাসানরাও হতাশ করলে চাপে পড়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। পঞ্চম উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান। ১৯ রান করে ফেরেন তাইবুর। পরে শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৮৭ বলে ৬৪ রান করেন মার্শাল। শেষ দিকে ২২ রান করেন দলকে দুইশ পার করান মেহেদি হাসান। পারটেক্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
রান তাড়ায় পারটেক্সও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। হতাশার বৃত্তেই আছেন সাব্বির রহমান (১৪)। ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস বড় হয়নি আদিল বিন সিদ্দিকের। ৩২ রান করে ফেরেন তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন রাকিব ও আহরার আমিন। যেখানে আহরারের অবদান মাত্র ২২ রান। আহরারের বিদায়ের পর জাওয়াদ রোয়েনকে নিয়ে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে যান রাকিব। জয় থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থাকতে হঠাৎ ছন্দপতন। ৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় পারটেক্স। তবে শেষ ওভারের বীরত্বে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২১৮ (সাদমান ৩১, প্রিতম ১১, ইমরুল ১৯, অমিত ৪, মার্শাল ৬৪, তাইবুর ১৯, শুভাগত ২৭, নাঈম ০, রবিউল ৭, মেহেদি ২২*, আরিফ ৫; মোহর ১০-১-৪৬-২, আলাউদ্দিন ৭-০-৩৭-২, রনি ৬-০-৩৪-০, জাওয়াদ ৮-১-১৮-২, তানভির ৭-০-২২-১, নাঈম ১০-১-৪১-৩, আহরার ২-০-১৭-০)
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২১৯/৯ (জয়রাজ ১, সাব্বির ১৪, আদিল ৩২, তানভির ২৫, রাকিব ৮০*, আহরার ২২, জাওয়াদ ১৮, আলাউদ্দিন ০, মোহর ২, নাঈম ০, রনি ১*; রবিউল ১০-০-৪৩-১, মেহেদি ৬-০-৩২-১, আরিফ ১০-১-২৯-২, তাইবুর ১০-১-৪৬-১, নাঈম ৭-১-৪০-২, শুভাগত ৭-১-২৪-০)
ফল: পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ রাকিব

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেনাবাহিনী জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান

শেষের নাটকীয়তায় ইমরুলদের থামিয়ে নায়ক রাকিব

আপডেট সময় : ০৮:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ৬ বলে প্রয়োজন ১০ রান, উইকেট বাকি ১টি। দ্বিতীয় বলে চার মারলেন মোহাম্মদ রাকিব। পরের বলে লং অন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ ছেড়ে দিলেন নাঈম হাসান। জীবন পেয়ে পরের বলে আবার চার মারলেন রাকিব। সমীকরণ চলে এলো নাগালে। বাকি দুই বলে সিঙ্গেল নিয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের জয় নিশ্চিত করলেন দুই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শনিব্রা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে শেষ বলে হারায় পারটেক্স। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে এদিন বিকেএসপির দুই মাঠের একটিতেও টস করা যায়নি। তাই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল। পরে রান তাড়ায় শেষ দিকে শঙ্কায় পড়ে গেলেও রাকিবের বীরত্বে ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পারটেক্স। সাত ম্যাচে পারটেক্সের এটি দ্বিতীয় জয়। টানা চার ম্যাচ জেতার পর এবার হারের তেতো স্বাদ পেল অগ্রণী ব্যাংক। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে তারা। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ১০৩ বলে ৮০ রান করেন বাংলাদেশের হয়ে ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা রাকিব। ৫টি করে চার-ছক্কার ইনিংসে ম্যাচের সেরা ২৬ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান। মেঘাচ্ছন্ন গুমোট দিনে টস হেরে ব্যাটিং নেমে সুবিধা করতে পারেনি ইমরুলের দল। ইনিংস জুড়ে বড় কোনো জুটিও গড়তে পারেনি তারা। ভালো শুরু করলেও ৩১ রানে থেমে যান সাদমান ইসলাম।

ইমরুল, প্রিতম কুমার, অমিত হাসানরাও হতাশ করলে চাপে পড়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। পঞ্চম উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান। ১৯ রান করে ফেরেন তাইবুর। পরে শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৮৭ বলে ৬৪ রান করেন মার্শাল। শেষ দিকে ২২ রান করেন দলকে দুইশ পার করান মেহেদি হাসান। পারটেক্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
রান তাড়ায় পারটেক্সও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। হতাশার বৃত্তেই আছেন সাব্বির রহমান (১৪)। ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস বড় হয়নি আদিল বিন সিদ্দিকের। ৩২ রান করে ফেরেন তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন রাকিব ও আহরার আমিন। যেখানে আহরারের অবদান মাত্র ২২ রান। আহরারের বিদায়ের পর জাওয়াদ রোয়েনকে নিয়ে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে যান রাকিব। জয় থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থাকতে হঠাৎ ছন্দপতন। ৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় পারটেক্স। তবে শেষ ওভারের বীরত্বে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২১৮ (সাদমান ৩১, প্রিতম ১১, ইমরুল ১৯, অমিত ৪, মার্শাল ৬৪, তাইবুর ১৯, শুভাগত ২৭, নাঈম ০, রবিউল ৭, মেহেদি ২২*, আরিফ ৫; মোহর ১০-১-৪৬-২, আলাউদ্দিন ৭-০-৩৭-২, রনি ৬-০-৩৪-০, জাওয়াদ ৮-১-১৮-২, তানভির ৭-০-২২-১, নাঈম ১০-১-৪১-৩, আহরার ২-০-১৭-০)
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২১৯/৯ (জয়রাজ ১, সাব্বির ১৪, আদিল ৩২, তানভির ২৫, রাকিব ৮০*, আহরার ২২, জাওয়াদ ১৮, আলাউদ্দিন ০, মোহর ২, নাঈম ০, রনি ১*; রবিউল ১০-০-৪৩-১, মেহেদি ৬-০-৩২-১, আরিফ ১০-১-২৯-২, তাইবুর ১০-১-৪৬-১, নাঈম ৭-১-৪০-২, শুভাগত ৭-১-২৪-০)
ফল: পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ রাকিব