ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড়ে প্রায় ১১ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও। চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়নি কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সেশনজট, উন্নতমানের ল্যাবের অভাব, শিটভিত্তিক মুখস্থ পড়াশোনা, ব্যাবহারিক কার্যক্রম কম হওয়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভর্তি কার্যক্রম তুলনামূলক পড়ে শুরু হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। তবে এদের সবাই কৃষি ও এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থী। এরমধ্যে বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন ৩৯ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীর তালিকা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৬ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছরে ভর্তি হয় নয়জন, ২০১৭ সালে ১১ জন, ২০১৮ সালে ১৭ জন, ২০১৯ সালে ১৪ জন, ২০২০ সালে মাত্র দুইজন এবং সর্বশেষ শিক্ষাবর্ষ ২০২১-এ স্নাতকে ভর্তি হননি কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী। একাডেমিক অ্যান্ড স্কলারশিপ বিভাগের সহকারী রেজিস্টার কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী বলতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত নেপালি শিক্ষার্থী স্নাতকে ভর্তি হয়। করোনার পর নেপাল থেকে আর শিক্ষার্থী আসছে না। উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভারতের একাডেমিক কারিকুলামের সঙ্গে আমাদের কারিকুলামের মিল না থাকায় ভারত থেকে তেমন শিক্ষার্থী আসে না। ইদানীং কেন কম আসছে এ ব্যাপারে নেপালি ছাত্ররা বলতে পারবে তাদের লেখাপড়া বা থাকার কোনো প্রকার সমস্যা হচ্ছে কিনা। বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণেও কম আসতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, আমাদের দিক থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো অবহেলা নেই। শিক্ষার্থীরা দরখাস্ত করলেই ভর্তির নিয়মানুযায়ী ভর্তি হতে পারে। আশা করি এবছর কোনো সমস্যা ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা

আপডেট সময় : ১১:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড়ে প্রায় ১১ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও। চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়নি কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সেশনজট, উন্নতমানের ল্যাবের অভাব, শিটভিত্তিক মুখস্থ পড়াশোনা, ব্যাবহারিক কার্যক্রম কম হওয়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভর্তি কার্যক্রম তুলনামূলক পড়ে শুরু হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। তবে এদের সবাই কৃষি ও এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থী। এরমধ্যে বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন ৩৯ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীর তালিকা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৬ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছরে ভর্তি হয় নয়জন, ২০১৭ সালে ১১ জন, ২০১৮ সালে ১৭ জন, ২০১৯ সালে ১৪ জন, ২০২০ সালে মাত্র দুইজন এবং সর্বশেষ শিক্ষাবর্ষ ২০২১-এ স্নাতকে ভর্তি হননি কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী। একাডেমিক অ্যান্ড স্কলারশিপ বিভাগের সহকারী রেজিস্টার কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী বলতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত নেপালি শিক্ষার্থী স্নাতকে ভর্তি হয়। করোনার পর নেপাল থেকে আর শিক্ষার্থী আসছে না। উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভারতের একাডেমিক কারিকুলামের সঙ্গে আমাদের কারিকুলামের মিল না থাকায় ভারত থেকে তেমন শিক্ষার্থী আসে না। ইদানীং কেন কম আসছে এ ব্যাপারে নেপালি ছাত্ররা বলতে পারবে তাদের লেখাপড়া বা থাকার কোনো প্রকার সমস্যা হচ্ছে কিনা। বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণেও কম আসতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, আমাদের দিক থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো অবহেলা নেই। শিক্ষার্থীরা দরখাস্ত করলেই ভর্তির নিয়মানুযায়ী ভর্তি হতে পারে। আশা করি এবছর কোনো সমস্যা ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।