ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :ভয়াবহ দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গতকাল মঙ্গলবারও (১১ জুন) শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ৪২ মাস বা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। পতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর এখনো পর্যন্ত লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি, বরং লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বরের পর সূচকটি এখন সর্বেনিম্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক পাঁচ হাজার ৬৯ পয়েন্ট ছিল।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় আট পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচক ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে গেলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কর্যদিবসে লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

 

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

আপডেট সময় : ০২:০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :ভয়াবহ দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গতকাল মঙ্গলবারও (১১ জুন) শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ৪২ মাস বা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। পতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর এখনো পর্যন্ত লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি, বরং লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বরের পর সূচকটি এখন সর্বেনিম্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক পাঁচ হাজার ৬৯ পয়েন্ট ছিল।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় আট পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচক ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে গেলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কর্যদিবসে লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।