বরিশাল সংবাদদাতা : নিরাপত্তার অভাবে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চার ঘণ্টা সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করলে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়। এক্ষেত্রে বহির্বিভাগে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রোগীরা। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, গতকাল ‘সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়। এর চার ঘণ্টা পর থেকে জরুরি বিভাগের গেটের সামনে টেবিল বসিয়ে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।’ ইন্টার্ন চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে গতকাল রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধান্ত হয় সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ সকাল ৮টা থেকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের গেটের সামনে বসিয়ে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘণ্টাব্যাপী হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে ১২টা থেকে জরুরি বিভাগ খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বন্ধ রাখা হয় বহির্বিভাগ।’ ঢাকা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক মশিউর। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে তারা জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা খুলে দেন। এ ছাড়া আইসিইউ, স্ক্যান ও অপারেশনসহ জরুরি চিকিৎসাসেবা চলমান রয়েছে। চিকিৎসকরা ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। শুধু বহির্বিভাগ বন্ধ রয়েছে।’