নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থ এবং ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন।’
গতকাল সোমবার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে যারা দেশে একটিও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেনি, সেই বিএনপি যখন মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচার করে দেশবাসীর মনে তখন বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ আসলে বুঝে গিয়েছে ঈর্ষান্বিত বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না।’
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা শয়তানি কারবার- মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের সম্পদ কেউ যদি পাচার করে এবং পরবর্তীতে সেটা যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে তাতো ভালো উদ্যোগ। শয়তানি কারবার হবে কেন? বিএনপি মহাসচিবের কাছে তিনি জানতে চান, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা শুনে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরছে কেন? কিসের এতো ভয়?’ ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনার বক্তব্য শুনে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তবে কি আপনারা আপনাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরে আসার আতঙ্কে ভুগছেন?’
‘আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকলে নাকি বিএনপির ক্ষতি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ক্ষতির কথা বলেছেন সে ক্ষতির অঙ্কটা বলেননি’- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদিন যে পরিমাণ সম্পদ লুট করতে পারতো বিএনপি, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কারণে বিএনপির মন খারাপ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নানা কারণে মন খারাপ। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে, সেজন্যই তাদের মন খারাপ।’
সম্প্রতি মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের কাছে আসলে জনস্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কিভাবে টাকা লুটপাট করা যায়। লুটপাট আর লুণ্ঠন করতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাই জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা না করে শুধু টাকার গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।’
কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কমবেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেলের স্টেশন রয়েছে। বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সমীক্ষা এবং পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈর্ষান্বিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসব প্রকল্প সম্পর্কে না জেনে না বুঝে একেক সময় একেক রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।’