ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

শেখ হাসিনা পঁচাত্তর-পরবর্তী সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা: কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তর–পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান। বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন, মানুষ সাড়া দেয় না কেন? এর কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তা কার বেশি, তা সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয়, প্রমাণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের মানুষ কী চায়, প্রমাণ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা জনপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে আছে বাংলাদেশের মানুষ। তাঁর উন্নয়ন-অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।’
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পল্টনে আর প্রেসক্লাবে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেশ করে তলানিতে নিয়েছেন আপনাদের জনপ্রিয়তা। আমি বলব, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পঁচাত্তর–পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সত্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব আজ স্বীকার করে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড, একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ডও তারা। মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেছেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে তাঁরা অপারেশন শুরু করেছিলেন। এ সত্য কি তারা অস্বীকার করতে পারবে? বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাছে জবাব চেয়ে পাননি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্কের এই দেয়াল একুশে আগস্টে এসে আরও উঁচুতে গেছে। এর সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তারপরও শেখ হাসিনা তাঁদের গণভবনে ডাকেন, সংলাপ করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছেলে মারা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে (খালেদা জিয়া) সান্ত¡না দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে আপনারাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্পর্কের দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলেছেন। আপনারাই সেদিন প্রকারান্তরে সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেদিন ৫০০–এর বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। আজকে এখানে অনেকেই এসেছেন। যাঁরা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁদের অনেকেই এসেছেন এখানে। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা না থাকলে আজকে কী হতো বাংলাদেশের! কোথায় হতো পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট! বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? করোনাকালে পাওয়া গেল ষষ্ঠ জন্মদিন। যে দলের নেতার এতগুলো জন্মদিবস, তাঁকে কি বিশ্বাস করা যায়?

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনা পঁচাত্তর-পরবর্তী সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা: কাদের

আপডেট সময় : ০২:১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তর–পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান। বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন, মানুষ সাড়া দেয় না কেন? এর কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তা কার বেশি, তা সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয়, প্রমাণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের মানুষ কী চায়, প্রমাণ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা জনপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে আছে বাংলাদেশের মানুষ। তাঁর উন্নয়ন-অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।’
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পল্টনে আর প্রেসক্লাবে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেশ করে তলানিতে নিয়েছেন আপনাদের জনপ্রিয়তা। আমি বলব, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পঁচাত্তর–পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সত্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব আজ স্বীকার করে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড, একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ডও তারা। মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেছেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে তাঁরা অপারেশন শুরু করেছিলেন। এ সত্য কি তারা অস্বীকার করতে পারবে? বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাছে জবাব চেয়ে পাননি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্কের এই দেয়াল একুশে আগস্টে এসে আরও উঁচুতে গেছে। এর সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তারপরও শেখ হাসিনা তাঁদের গণভবনে ডাকেন, সংলাপ করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছেলে মারা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে (খালেদা জিয়া) সান্ত¡না দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে আপনারাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্পর্কের দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলেছেন। আপনারাই সেদিন প্রকারান্তরে সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেদিন ৫০০–এর বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। আজকে এখানে অনেকেই এসেছেন। যাঁরা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁদের অনেকেই এসেছেন এখানে। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা না থাকলে আজকে কী হতো বাংলাদেশের! কোথায় হতো পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট! বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? করোনাকালে পাওয়া গেল ষষ্ঠ জন্মদিন। যে দলের নেতার এতগুলো জন্মদিবস, তাঁকে কি বিশ্বাস করা যায়?