নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের একগুচ্ছ কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুনলাম আওয়ামী লীগ নাকি মাঠে নামার কর্মসূচি দিয়েছে। জানি না। হয়তো প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। তিনি (শেখ হাসিনা) আবার ক্ষমতা ফিরে পেতে চান। ছাই থেকে জন্ম নিতে চান। এতো সাহস পান কোথা থেকে? এগুলো সরকারকে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ‘প্রতিবন্ধী রিকশা চালক মামুন’র জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। ‘প্রতারক রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তার সন্তানেরাও প্রতারক হয়’- এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সায়মা ওয়াজেদের নামে ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ‘বিনিময়’র কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক। অথচ এই সংগঠনগুলোর নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছে তারা।
তিনি বলেন, যারা টার্গেট করে গুলি করে তাদের আত্মা মানুষের আত্মা নয়, তাদের আত্মার মধ্যে ছিল রক্তপিপাসু নেকড়ের কোনো আত্মা। তা না হলে এই ফুটফুটে শিশুদের গুলি করে মারতো না। শেখ হাসিনার কাছে মানবতার কোনো মূল্য নেই। তার কাছে মূল্যবান শুধু সিংহাসনটা। শেখ হাসিনা সিংহাসনটা রক্ষার জন্য ১৬ বছর ধরে তাণ্ডব চালিয়েছেন মন্তব্য করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, কত মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কত নারীকে বিধবা করা হয়েছে, কত পরিবারকে সন্তানহারা করা হয়েছে, তার কোনো হদিস নেই। শেখ হাসিনা বিরোধী পক্ষের লাশ আর রক্ত দেখলে খুব খুশি হতেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে আইনশঙ্খলা বাহিনীকে নিজের মতো সাজিয়েছিলেন। এখন তো সামাজিক সংঘাতে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তো কোনো ভূমিকা দেখি না। অপরাধীদের তো গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অথচ এই পার্টি অফিস (বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) থেকে একটা মিছিল বের হলে মৌমাছির মতো ঘিরে ফেলতো। বিরোধী নেতাকর্মীরা লুকিয়ে থেকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পায়নি।
অথচ আজ যারা সমাজের অপরাধী তাদের গ্রেফতার করে সামাজিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে না। রিজভী বলেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাকারীদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কারা এই অপরাধীদের রেহাই দিচ্ছে? আমরা কিন্তু তাদের চিহ্নিত করে রাখছি। আমরা এখন দেখছি, মামলার নামে যিনি বাদী বিএনপির আরেক কর্মীর নামে তিনিই মামলা করছেন। এ চক্রান্ত প্রায় সব জায়গায় হচ্ছে। কারা এ কাজগুলো করছেন, সেটাও আমরা জানি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।