ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু

  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।

যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার বলেন, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যেসব চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে- তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না। মামলা যখন হয়ে গেলো, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি। এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়। এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। চুক্তি হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবো।

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।

যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার বলেন, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যেসব চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে- তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না। মামলা যখন হয়ে গেলো, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি। এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়। এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। চুক্তি হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবো।