ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনের নামে দুটি হত্যা মামলার আবেদন

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নাটোর সংবাদদাতা : নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলছাত্র মিকদাদ হোসাইন খান আকিব ও শরিফুল ইসলাম মোহন নামের একজনকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ৪৭ জনের নামে পৃথক দুটি হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত মিকদাদ হোসাইন খান আকিবের বাবা দেলোয়ার হোসেন এবং নিহত শরিফুল ইসলাম মোহনের ভাই এস এম সেলিম মাসুম বাদী হয়ে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। দুটি এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকিব সরকার পতনের দিন দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করে। কোনো এক পর্যায়ে বিকেলে সে মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ২নং আসামি মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ (৪৮) অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আকিবকে শহরের ছায়াবানী মোড় থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশ্যে এমপি শিমুলের জান্নাতি প্যালেসে আটকে রাখেন। সরকার পতনের খবরে ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে বাহির থেকে ঘরে আগুন দিয়ে আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুল অন্য সকল আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে ছাত্র আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে বাদী জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে ২৮ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এস এম সেলিম মাসুমের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট এস এম সেলিম মাসুমের ভাতিজা ফারহান ফুয়াদ ও ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম মোহন সরকার পতনের দিন দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। কোনো এক পর্যায়ে সে মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আসামিরা মো. শরিফুল ইসলাম মোহনকে জিম্মি করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশ্যে এম. পি শিমুলের জান্নাতী প্যালেসে আটকে রাখেন। ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে সরকার পতনের খবরে বাহির থেকে ঘরে আগুন দিয়ে আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুল অন্য সকল আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। পরের দিন আমরা, আমার ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম মোহনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসা (জান্নাতি প্যালেস) থেকে উদ্ধার করি। নাটোর সদর থানা পুলিশের (ওসি) তদন্ত শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে দুটি হত্যা মামলার এজাহার বাদীরা থানায় দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনের নামে দুটি হত্যা মামলার আবেদন

আপডেট সময় : ১২:২৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাটোর সংবাদদাতা : নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলছাত্র মিকদাদ হোসাইন খান আকিব ও শরিফুল ইসলাম মোহন নামের একজনকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ৪৭ জনের নামে পৃথক দুটি হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত মিকদাদ হোসাইন খান আকিবের বাবা দেলোয়ার হোসেন এবং নিহত শরিফুল ইসলাম মোহনের ভাই এস এম সেলিম মাসুম বাদী হয়ে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। দুটি এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকিব সরকার পতনের দিন দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করে। কোনো এক পর্যায়ে বিকেলে সে মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ২নং আসামি মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ (৪৮) অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আকিবকে শহরের ছায়াবানী মোড় থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশ্যে এমপি শিমুলের জান্নাতি প্যালেসে আটকে রাখেন। সরকার পতনের খবরে ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে বাহির থেকে ঘরে আগুন দিয়ে আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুল অন্য সকল আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে ছাত্র আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে বাদী জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে ২৮ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এস এম সেলিম মাসুমের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট এস এম সেলিম মাসুমের ভাতিজা ফারহান ফুয়াদ ও ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম মোহন সরকার পতনের দিন দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। কোনো এক পর্যায়ে সে মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আসামিরা মো. শরিফুল ইসলাম মোহনকে জিম্মি করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশ্যে এম. পি শিমুলের জান্নাতী প্যালেসে আটকে রাখেন। ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে সরকার পতনের খবরে বাহির থেকে ঘরে আগুন দিয়ে আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুল অন্য সকল আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। পরের দিন আমরা, আমার ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম মোহনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসা (জান্নাতি প্যালেস) থেকে উদ্ধার করি। নাটোর সদর থানা পুলিশের (ওসি) তদন্ত শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে দুটি হত্যা মামলার এজাহার বাদীরা থানায় দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।