ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণ জরুরি: ড. ইউনূস

  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রোববার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। ছবি: পিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল ‘যথাযথ সংরক্ষণে’ গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ মার্চ) জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল যথাযথ সংরক্ষণ করা জরুরি। এটা করতে না পারলে সত্যটা জানা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাটা কঠিন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা যেসব নৃশংসতার কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে শাপলা চত্বরে আন্দোলনকারীদের দমন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বর্বরতা এবং বছরের পর বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও রয়েছে। গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ এই বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিতে ও বাংলাদেশের জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এটি হলো সুস্থতা ও সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

আমরা খুবই আনন্দিত যে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে; এটি যথাসময়ে এসেছে। এটি সহজ কাজ ছিল না।

প্রধান উপদেষ্টাকে লুইস বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক ৫ মার্চ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের আসন্ন বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা সংকটকে আবারও বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরবে, যখন ত্রাণ সহায়তা ক্রমাগত কমছে। তিনি বলেন, আমরা অর্থায়ন পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। প্রতি মাসে শুধু খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই দেড় কোটি ডলার প্রয়োজন। সঙ্গে যোগ হয় অন্যান্য মৌলিক চাহিদা ব্যয়। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্ঞান বিক্রির হাটে অগ্নিশঙ্কা

শেখ হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণ জরুরি: ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল ‘যথাযথ সংরক্ষণে’ গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ মার্চ) জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল যথাযথ সংরক্ষণ করা জরুরি। এটা করতে না পারলে সত্যটা জানা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাটা কঠিন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা যেসব নৃশংসতার কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে শাপলা চত্বরে আন্দোলনকারীদের দমন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বর্বরতা এবং বছরের পর বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও রয়েছে। গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ এই বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিতে ও বাংলাদেশের জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এটি হলো সুস্থতা ও সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

আমরা খুবই আনন্দিত যে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে; এটি যথাসময়ে এসেছে। এটি সহজ কাজ ছিল না।

প্রধান উপদেষ্টাকে লুইস বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক ৫ মার্চ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের আসন্ন বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা সংকটকে আবারও বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরবে, যখন ত্রাণ সহায়তা ক্রমাগত কমছে। তিনি বলেন, আমরা অর্থায়ন পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। প্রতি মাসে শুধু খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই দেড় কোটি ডলার প্রয়োজন। সঙ্গে যোগ হয় অন্যান্য মৌলিক চাহিদা ব্যয়। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন।