নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গণমাধ্যমে নেত্রীও বলেছেন, সরকার ও তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেভাবে গোপন ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, একইভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার জন্ম না হলে ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানে রূপ নিত। শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগ চারবার ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশ দরিদ্রতম দেশ থেকে মধ্যম সারির দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমরা যাঁরা আওয়ামী লীগ করি, তাঁদের ভেতরে চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচন ঘিরে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। ৭৫-এর পরে শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াত? জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। বহুদলীয় রাজনীতির নামে জামায়াতে ইসলামকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা করা হয়েছিল। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান ছিল না। আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, চক্রান্ত করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি ২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও ২৫ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাতের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবউদ্দিন ফরাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।