ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

শেখ হাসিনাকে বৃহস্পতিবার দুদকে তলব

  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ‘৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের’ অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যিনি এখন ভারতে রয়েছেন।

সাবেক সরকারপ্রধানকে বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই দিন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সাবেক সচিব মোকাম্মেল হোসেনকেও তলব করেছে দুদক।

বুধবার (৭ মে) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের সই করা চিঠিটি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির সুধাসদন ও গোপালগঞ্জের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

“পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালজালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত পনের বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুদক।”

দুদকের একজন উধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, “দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি না হলে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারাবেন।”

এ বছর ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করে দুদক।

এসব মামলার আসামির তালিকায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মুহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানের নামও এসেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও অধিকাংশই এখনো আত্মগোপনে।

এর মধ্যেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একাধিক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে ‘কূটনৈতিকপত্র’ পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ভারত এখনও কোনো জবাব দেয়নি।

৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন।

মার্চে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস জোর দিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তা তিনি সশরীরে বাংলাদেশে থাকুন বা না থাকুন। ভারতে থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনাকে বৃহস্পতিবার দুদকে তলব

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ‘৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের’ অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যিনি এখন ভারতে রয়েছেন।

সাবেক সরকারপ্রধানকে বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই দিন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সাবেক সচিব মোকাম্মেল হোসেনকেও তলব করেছে দুদক।

বুধবার (৭ মে) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের সই করা চিঠিটি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির সুধাসদন ও গোপালগঞ্জের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

“পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালজালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত পনের বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুদক।”

দুদকের একজন উধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, “দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি না হলে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারাবেন।”

এ বছর ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করে দুদক।

এসব মামলার আসামির তালিকায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মুহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানের নামও এসেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও অধিকাংশই এখনো আত্মগোপনে।

এর মধ্যেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একাধিক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে ‘কূটনৈতিকপত্র’ পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ভারত এখনও কোনো জবাব দেয়নি।

৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন।

মার্চে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস জোর দিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তা তিনি সশরীরে বাংলাদেশে থাকুন বা না থাকুন। ভারতে থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে।