ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস
ভবিষ্যতের সানজিদা-ইমরানুরের খোঁজে

  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে দেখানো হলো ভিডিও চিত্র। সেখানে শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমস নিয়ে আশাবাদী কথা শুনিয়েছেন নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তার, স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও শুটার কামরুন্নাহার কলি। উদ্বুদ্ধ করতে দেখা গেছে উদীয়মানদেরও। তৃণমূল থেকে ক্রীড়াবিদ তুলে আনার জন্যই যে এত আয়োজন। এবার গেমসের চূড়ান্ত পর্ব মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। গত ২ জানুয়ারি প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়েছিল। চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। তার পর ৩ মার্চ পর্যন্ত আট বিভাগের চার হাজার ক্রীড়াবিদ ১৯৩টি সোনার পদকের জন্য লড়বে। সোনার পদক ছাড়াও রুপা থাকছে ১৯৩টি ও ব্রোঞ্জ ২৮৭টি।
আগামী রোববার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এই গেমসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিওর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সালে যুব গেমসের প্রথম আসরে ২১ ডিসিপ্লিনে খেলা হয়েছে। এবার ডিসিপ্লিন সংখ্যা বেড়ে ২৪-এ উন্নীত হয়েছে। এবারের আসরের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে প্রায় ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করছেন প্রায় ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ।’
এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্ব থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া গেছে বলে বিওএর সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ জানিয়েছেন, ‘নিজস্ব তহবিল থেকে আমরা গেমসে প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছি। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা অনুশীলনের আওতায় রয়েছে। এরইমধ্যে তৃনমূলে আমরা একঝাঁক প্রতিভাবান অ্যাথলেটের সন্ধান পেয়েছি।’
অবশ্য এত বড় আয়োজন হলেও উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যয় কমানো হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানালেন, ‘আয়োজনের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করা হচ্ছে। স্বল্প ব্যয়ে জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
২০১৮ সালে প্রথম শেখ কামাল যুব গেমস হয়েছিল। সেখান থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের বিভিন্নভাবে সার্ভিসেস ছাড়াও সংস্থায় যুক্ত করা হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানালেন শাহেদ রেজা, ‘২০১৮ সালের গেমসে যারা ভালো করেছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা ও বিকেএসপিতে যুক্ত আছেন। এমন ক্রীড়াবিদের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ জন। প্রথম যুব গেমস থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদদের অনেককে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে নিজেদের সেরা অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবারের আসরে যেসব ক্রীড়াবিদ ভালো করবেন, তাদের আগামী দিনের অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
গেমস আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘বিকেএসপির অ্যাথলেটরা নিজ জেলা ও বিভাগের হয়ে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত করতে পারি না। বিভিন্ন ইভেন্টে বিকেএসপির অ্যাথলেটদের পরের স্থানগুলোতে থাকা অ্যাথলেটদের মনিটরিং করছে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো। সেখানে প্রতিভাবান অ্যাথলেট থাকলে তাদের অবশ্যই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাখা হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস
ভবিষ্যতের সানজিদা-ইমরানুরের খোঁজে

আপডেট সময় : ১০:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে দেখানো হলো ভিডিও চিত্র। সেখানে শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমস নিয়ে আশাবাদী কথা শুনিয়েছেন নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তার, স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও শুটার কামরুন্নাহার কলি। উদ্বুদ্ধ করতে দেখা গেছে উদীয়মানদেরও। তৃণমূল থেকে ক্রীড়াবিদ তুলে আনার জন্যই যে এত আয়োজন। এবার গেমসের চূড়ান্ত পর্ব মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। গত ২ জানুয়ারি প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়েছিল। চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। তার পর ৩ মার্চ পর্যন্ত আট বিভাগের চার হাজার ক্রীড়াবিদ ১৯৩টি সোনার পদকের জন্য লড়বে। সোনার পদক ছাড়াও রুপা থাকছে ১৯৩টি ও ব্রোঞ্জ ২৮৭টি।
আগামী রোববার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এই গেমসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিওর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সালে যুব গেমসের প্রথম আসরে ২১ ডিসিপ্লিনে খেলা হয়েছে। এবার ডিসিপ্লিন সংখ্যা বেড়ে ২৪-এ উন্নীত হয়েছে। এবারের আসরের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে প্রায় ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করছেন প্রায় ৪ হাজার ক্রীড়াবিদ।’
এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্ব থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া গেছে বলে বিওএর সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ জানিয়েছেন, ‘নিজস্ব তহবিল থেকে আমরা গেমসে প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছি। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা অনুশীলনের আওতায় রয়েছে। এরইমধ্যে তৃনমূলে আমরা একঝাঁক প্রতিভাবান অ্যাথলেটের সন্ধান পেয়েছি।’
অবশ্য এত বড় আয়োজন হলেও উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যয় কমানো হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানালেন, ‘আয়োজনের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করা হচ্ছে। স্বল্প ব্যয়ে জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
২০১৮ সালে প্রথম শেখ কামাল যুব গেমস হয়েছিল। সেখান থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের বিভিন্নভাবে সার্ভিসেস ছাড়াও সংস্থায় যুক্ত করা হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানালেন শাহেদ রেজা, ‘২০১৮ সালের গেমসে যারা ভালো করেছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা ও বিকেএসপিতে যুক্ত আছেন। এমন ক্রীড়াবিদের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ জন। প্রথম যুব গেমস থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদদের অনেককে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে নিজেদের সেরা অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবারের আসরে যেসব ক্রীড়াবিদ ভালো করবেন, তাদের আগামী দিনের অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
গেমস আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘বিকেএসপির অ্যাথলেটরা নিজ জেলা ও বিভাগের হয়ে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত করতে পারি না। বিভিন্ন ইভেন্টে বিকেএসপির অ্যাথলেটদের পরের স্থানগুলোতে থাকা অ্যাথলেটদের মনিটরিং করছে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো। সেখানে প্রতিভাবান অ্যাথলেট থাকলে তাদের অবশ্যই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাখা হবে।’