ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই জানালেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে- এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর- ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।
অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন-এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।

গত (৭ এপ্রিল) সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, গত আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই জানালেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে- এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর- ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।
অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন-এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।

গত (৭ এপ্রিল) সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, গত আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি