নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারী ও লকডাউনের ক্ষতি পোষাতে কয়েক বছরের জন্য ভ্যাট, ট্যাক্সসহ সব ধরনের শুল্ক ও লাইসেন্স ফি মওকুফ চান বিনোদন পার্ক মালিকরা। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সঙ্গে দেখা করে এসব দাবি উত্থাপান করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনস (বাপা) নেতারা এসব দাবি জানান। ১১ অগাস্ট থেকে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার এক সপ্তাহ পর বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলেছে। গত ২৫ অগাস্ট নতুন স্বাভাবিকতায় বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে জানাতে যান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। বাপার সভাপতি শাহরিয়ার কামাল বর্তমান প্রক্ষাপটে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের এসওপি ও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পার্ক পরিচালনা করা হচ্ছে যে ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে অবহিত করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে এবং অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে সেজন্য বর্তমান সরকার এই খাতটির ব্যাপারে খুবই আশাবাদী এবং যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করবে। বাপার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসময় অ্যাসোসিয়েশন নেতারা প্রতিমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেন। এর অন্যতম হচ্ছে- বিনোদন পার্ক/থিম পার্কগুলো পর্যটন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই খাতটিকে শিল্প হিসাবে ঘোষিত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। আগামী ৩ বছরের জন্য বিনোদন পার্ক এর উপর কর্পোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর মওকুপ করা যাতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদন সেবা দেওয়া। বিনোদন পার্কগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিনোদন পার্কগুলো অন্তর্ভুক্ত করা। আগামী ৩ বছর নতুন বিনোদন পার্ক নির্মাণ ও বর্তমান স্থাপনার সংযোজনার জন্য আমদানি করা বিভিন্ন রাইডসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে মূসক ও শুল্ক কর মুক্ত আমদানির সুযোগ প্রদান। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস রোধে অন্যান্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন স্থানের (যেমন: কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙামাটি) সাথে তুলনা করে বিনোদন পার্কগুলোকে বন্ধ না করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনোদন পার্কগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোভিড টিকার ব্যবস্থা করা। গত ২ বছরের ধরে বন্ধ থাকায় এই খাতের কর্মচারী-কর্মকর্তারা মানবেতর জীবন যাপন করেছে, তাই ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া। আগামী ৩ বছরের জন্য সমস্ত লাইসেন্স ফি মওকুফ করা। গত ২ বছরের যে সময়গুলো বিনোদন পার্কগুলো বন্ধ ছিল সেসব মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুপ করা। প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।