ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

শুল্ক চুক্তি সফল, ঢাকার জন্য আলাদা শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: প্রেস সচিব

  • আপডেট সময় : ০৮:২০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ বর্ধিত শুল্ক হার নির্ধারিত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই স্বস্তির কথা জানান তিনি। এর আগে সকালে বেইলি রোডের বাসায় শুল্ক নিয়ে প্রতিক্রিয়াতেও তিনি সফলতার কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সফল হয়েছে। দেশটির বাজারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো। বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনও শর্ত আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র, বাকি দেশগুলোর মতো একই শর্ত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য, তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যও আনতে চায় বাংলাদেশ। এতে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউএসএ। শুল্ক কমাতে তাদের সাথে কোনও ধরনের সামরিক চুক্তি করি নাই। এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকবো। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’

তিনি আরো লেখেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। আজ চূড়ান্ত আলোচনা শেষে শুল্ক ২০ শতাংশের ঘোষণা এলো।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

শুল্ক চুক্তি সফল, ঢাকার জন্য আলাদা শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ০৮:২০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ বর্ধিত শুল্ক হার নির্ধারিত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই স্বস্তির কথা জানান তিনি। এর আগে সকালে বেইলি রোডের বাসায় শুল্ক নিয়ে প্রতিক্রিয়াতেও তিনি সফলতার কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সফল হয়েছে। দেশটির বাজারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো। বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনও শর্ত আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র, বাকি দেশগুলোর মতো একই শর্ত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য, তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যও আনতে চায় বাংলাদেশ। এতে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউএসএ। শুল্ক কমাতে তাদের সাথে কোনও ধরনের সামরিক চুক্তি করি নাই। এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকবো। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’

তিনি আরো লেখেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। আজ চূড়ান্ত আলোচনা শেষে শুল্ক ২০ শতাংশের ঘোষণা এলো।’