ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শুল্কফাঁকি দিয়ে জ্বালানি তেল সংগ্রহ, বিদেশি জাহাজ আটক করলো কোস্টগার্ড

  • আপডেট সময় : ০৭:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : শুল্ক ফাঁকি দিয়ে জ্বালানি তেল অবৈধভাবে সংগ্রহের সময় পানামার পতাকাবাহী বিদেশি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ক্রুসহ আটক জাহাজটি চট্টগ্রাম বহির্নোঙর সাগরে কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলবর্তী অদূর সাগরের বহির্নোঙর এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে জাহাজটি আটক করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক। তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগর এলাকায় কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’ নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বাংলাদেশি সন্দেহজনক ওয়েল ট্যাংকার ‘ওটি ইউনিয়ন’ এবং পানামার পতাকাবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমটি ডলফিন-১৯’ জ্বালানি তেল আদান-প্রদান করতে দেখেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা বাংলাদেশি ও বিদেশি জাহাজ দুইটির সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে উভয় জাহাজ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টরা কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগরে নোঙর করা এবং জ্বালানি তেল সংগ্রহ কিংবা প্রদানের স্বপক্ষে বৈধ কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক আরও বলেন, পানামার পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজটি মোংলা সমুদ্রবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল ৭টায় জাহাজটি সেখানে না গিয়ে কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগরে নোঙর করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিদেশি জাহাজটি অবৈধভাবে বাংলাদেশি ওয়েল ট্যাংকার থেকে দুপুর ২টায় জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছিল। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৫৬ মেট্রিক টন জ্বালানি সংগ্রহ করেছে। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশি জাহাজটিতে তেল সরবরাহ করা হচ্ছিল তথ্য দিয়ে সিয়াম উল হক বলেন, বাংলাদেশি ৯ জন ক্রুসহ জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেরিন কোর্টের মাধ্যমে জাহাজ দুটিকে জরিমানা আদায়সহ ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শুল্কফাঁকি দিয়ে জ্বালানি তেল সংগ্রহ, বিদেশি জাহাজ আটক করলো কোস্টগার্ড

আপডেট সময় : ০৭:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সংবাদদাতা : শুল্ক ফাঁকি দিয়ে জ্বালানি তেল অবৈধভাবে সংগ্রহের সময় পানামার পতাকাবাহী বিদেশি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ক্রুসহ আটক জাহাজটি চট্টগ্রাম বহির্নোঙর সাগরে কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলবর্তী অদূর সাগরের বহির্নোঙর এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে জাহাজটি আটক করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক। তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগর এলাকায় কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’ নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বাংলাদেশি সন্দেহজনক ওয়েল ট্যাংকার ‘ওটি ইউনিয়ন’ এবং পানামার পতাকাবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমটি ডলফিন-১৯’ জ্বালানি তেল আদান-প্রদান করতে দেখেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা বাংলাদেশি ও বিদেশি জাহাজ দুইটির সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে উভয় জাহাজ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টরা কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগরে নোঙর করা এবং জ্বালানি তেল সংগ্রহ কিংবা প্রদানের স্বপক্ষে বৈধ কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক আরও বলেন, পানামার পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজটি মোংলা সমুদ্রবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল ৭টায় জাহাজটি সেখানে না গিয়ে কুতুবদিয়া বহির্নোঙর সাগরে নোঙর করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিদেশি জাহাজটি অবৈধভাবে বাংলাদেশি ওয়েল ট্যাংকার থেকে দুপুর ২টায় জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছিল। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৫৬ মেট্রিক টন জ্বালানি সংগ্রহ করেছে। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশি জাহাজটিতে তেল সরবরাহ করা হচ্ছিল তথ্য দিয়ে সিয়াম উল হক বলেন, বাংলাদেশি ৯ জন ক্রুসহ জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেরিন কোর্টের মাধ্যমে জাহাজ দুটিকে জরিমানা আদায়সহ ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।