ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শুধু পরিষ্কার নয়, যেসব জিনিসের ক্ষতি করবে বেকিং সোডা

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: রান্নাঘরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সস্তা ক্লিনিং এজেন্টগুলোর একটি হলো বেকিং সোডা। বেকিং সোডা দাগ-গন্ধ তোলার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সব কিছুতে ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সংবেদনশীল ধাতু, কাচ, মার্বেল বা চামড়ার মতো জিনিসে এটি ব্যবহার করলে বরং ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিষ্কার করার আগে জেনে নিন কোন জায়গায় বেকিং সোডা ব্যবহার করা নিরাপদ আর কোনটিতে নয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন জিনিস পরিষ্কার করতে কখনোই বেকিং সোডা ব্যবহার করা উচিত নয়।

১. অ্যালুমিনিয়াম
অনেকের রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়ামের প্যান, হাড়ি বা ট্রে ব্যবহৃত হয়। এগুলো বেকিং সোডার সঙ্গে সহজেই প্রতিক্রিয়া করতে পারে। ফলে বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করলে পাত্রের রঙ ফিকে হয়ে যায় বা কালচে দাগ পড়ে। বিশেষ করে ভিজিয়ে রাখলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই অ্যালুমিনিয়াম পরিষ্কারের জন্য ডিসওয়াশিং বার বা লিকুইড ব্যবহার করাই ভালো।

২. তামার পাত্র
তামার পাত্রে রান্না করলে খাবারের স্বাদ আলাদা হয়। তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা এতে দ্রুত দাগ ফেলতে পারে এবং রঙ নষ্ট করে ফেলে। অনেক সময় কালচে হয়ে যায় পুরো পাত্র। তাই তামা পরিষ্কার করতে লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করা ভালো।

৩. অ্যান্টিক সিলভার বা পুরোনো রুপা
বংশপরম্পরায় পাওয়া রুপার গয়নাগুলো অনেকেই যত্ন করে রাখেন। কিন্তু এসবের গায়ে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ক্র্যাচ পড়ে এবং চকচকে ভাব কমে যায়। পুরনো সিলভারের প্রোটেকটিভ লেয়ারও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ সিলভার পলিশ ব্যবহার করা নিরাপদ।

৪. ফাইবারগ্লাস বাথটব
বাথটব পরিষ্কার করতে অনেকে বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। কিন্তু ফাইবারগ্লাসের পৃষ্ঠ খুব সংবেদনশীল। বেকিং সোডার দানাদার ভাব এগুলোতে সূক্ষ্ম দাগ বা স্ক্র্যাচ তৈরি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী দাগে পরিণত হয়। তাই ফাইবারগ্লাস পরিষ্কার করতে হালকা লিকুইড ক্লিনার বা সাবান ব্যবহার করাই ভালো।

৫. চামড়ার জিনিস
সোফা, জ্যাকেট, ব্যাগ — যেকোনো চামড়ার জিনিসপত্রে কখনোই বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। এটি চামড়ার প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, ফলে চামড়া শক্ত হয়ে যায়, এমনকি ফেটে যেতে পারে বা রঙ উঠে যায়। তাই চামড়ার জিনিসের যত্ন নিতে লেদার কন্ডিশনার বা বিশেষ লেদার ক্লিনার ব্যবহার করুন।

৬. কাঁচ
জানালার কাঁচ, গ্লাস টেবিল, শাওয়ার ডোর বা কাচের টপ — এসব জায়গায় বেকিং সোডা ব্যবহার করলে দাগ পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। দানাদার পাউডার ঘষাঘষিতে স্ক্র্যাচ ফেলে দেয়, আর পরে সেখানে আরও ময়লা জমে যায়। ফলে কাচ সবসময় মলিন দেখায়। তাই গ্লাস ক্লিনার বা ভিনেগার-পানির মিশ্রণই সঠিক বিকল্প।

৭. মার্বেল
বর্তমানে আনেক বাড়িতেই মার্বেল বা শ্বেতপাথরের টেবিল টপ বা ফ্লোর আছে। কিন্তু এসিডিক উপাদান ও বেকিং সোডা এর প্রাকৃতিক শাইন ও টেক্সচার খুব সহজেই নষ্ট করতে পারে। ঘষা লাগলে এর উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং স্থায়ী দাগ পড়ে যায়। তাই মার্বেল পরিষ্কার করতে বিশেষ মার্বেল ক্লিনার বা শুধু সাবান-পানি ব্যবহার করাই নিরাপদ।

৮. রঙ করা পৃষ্ঠ
পেইন্ট করা আসবাব বা শো-পিসে বেকিং সোডা লাগালে রঙ উঠে যেতে পারে বা জায়গায় জায়গায় ফিকে হয়ে যেতে পারে। এতে পুরো লুক নষ্ট হয়ে যায়। তাই এগুলো পরিষ্কার করতে হালকা ভেজা কাপড় বা মাইল্ড ক্লিনার ব্যবহার করা ভালো।

৯. কাঠের আসবাব
কাঠের আসবাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে সূক্ষ্ম স্ক্র্যাচ পড়ে এবং ফিনিশিং লেয়ার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কাঠের সৌন্দর্য হারায়। তাই কাঠের জন্য বিশেষ উড-ক্লিনার বা সাধারণ ভেজা কাপড়ই যথেষ্ট।

সূত্র: সাউদার্ন লিভিং

এসি/আপ্র/১০/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শুধু পরিষ্কার নয়, যেসব জিনিসের ক্ষতি করবে বেকিং সোডা

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: রান্নাঘরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সস্তা ক্লিনিং এজেন্টগুলোর একটি হলো বেকিং সোডা। বেকিং সোডা দাগ-গন্ধ তোলার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সব কিছুতে ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সংবেদনশীল ধাতু, কাচ, মার্বেল বা চামড়ার মতো জিনিসে এটি ব্যবহার করলে বরং ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিষ্কার করার আগে জেনে নিন কোন জায়গায় বেকিং সোডা ব্যবহার করা নিরাপদ আর কোনটিতে নয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন জিনিস পরিষ্কার করতে কখনোই বেকিং সোডা ব্যবহার করা উচিত নয়।

১. অ্যালুমিনিয়াম
অনেকের রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়ামের প্যান, হাড়ি বা ট্রে ব্যবহৃত হয়। এগুলো বেকিং সোডার সঙ্গে সহজেই প্রতিক্রিয়া করতে পারে। ফলে বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করলে পাত্রের রঙ ফিকে হয়ে যায় বা কালচে দাগ পড়ে। বিশেষ করে ভিজিয়ে রাখলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই অ্যালুমিনিয়াম পরিষ্কারের জন্য ডিসওয়াশিং বার বা লিকুইড ব্যবহার করাই ভালো।

২. তামার পাত্র
তামার পাত্রে রান্না করলে খাবারের স্বাদ আলাদা হয়। তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা এতে দ্রুত দাগ ফেলতে পারে এবং রঙ নষ্ট করে ফেলে। অনেক সময় কালচে হয়ে যায় পুরো পাত্র। তাই তামা পরিষ্কার করতে লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করা ভালো।

৩. অ্যান্টিক সিলভার বা পুরোনো রুপা
বংশপরম্পরায় পাওয়া রুপার গয়নাগুলো অনেকেই যত্ন করে রাখেন। কিন্তু এসবের গায়ে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ক্র্যাচ পড়ে এবং চকচকে ভাব কমে যায়। পুরনো সিলভারের প্রোটেকটিভ লেয়ারও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ সিলভার পলিশ ব্যবহার করা নিরাপদ।

৪. ফাইবারগ্লাস বাথটব
বাথটব পরিষ্কার করতে অনেকে বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। কিন্তু ফাইবারগ্লাসের পৃষ্ঠ খুব সংবেদনশীল। বেকিং সোডার দানাদার ভাব এগুলোতে সূক্ষ্ম দাগ বা স্ক্র্যাচ তৈরি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী দাগে পরিণত হয়। তাই ফাইবারগ্লাস পরিষ্কার করতে হালকা লিকুইড ক্লিনার বা সাবান ব্যবহার করাই ভালো।

৫. চামড়ার জিনিস
সোফা, জ্যাকেট, ব্যাগ — যেকোনো চামড়ার জিনিসপত্রে কখনোই বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। এটি চামড়ার প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, ফলে চামড়া শক্ত হয়ে যায়, এমনকি ফেটে যেতে পারে বা রঙ উঠে যায়। তাই চামড়ার জিনিসের যত্ন নিতে লেদার কন্ডিশনার বা বিশেষ লেদার ক্লিনার ব্যবহার করুন।

৬. কাঁচ
জানালার কাঁচ, গ্লাস টেবিল, শাওয়ার ডোর বা কাচের টপ — এসব জায়গায় বেকিং সোডা ব্যবহার করলে দাগ পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। দানাদার পাউডার ঘষাঘষিতে স্ক্র্যাচ ফেলে দেয়, আর পরে সেখানে আরও ময়লা জমে যায়। ফলে কাচ সবসময় মলিন দেখায়। তাই গ্লাস ক্লিনার বা ভিনেগার-পানির মিশ্রণই সঠিক বিকল্প।

৭. মার্বেল
বর্তমানে আনেক বাড়িতেই মার্বেল বা শ্বেতপাথরের টেবিল টপ বা ফ্লোর আছে। কিন্তু এসিডিক উপাদান ও বেকিং সোডা এর প্রাকৃতিক শাইন ও টেক্সচার খুব সহজেই নষ্ট করতে পারে। ঘষা লাগলে এর উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং স্থায়ী দাগ পড়ে যায়। তাই মার্বেল পরিষ্কার করতে বিশেষ মার্বেল ক্লিনার বা শুধু সাবান-পানি ব্যবহার করাই নিরাপদ।

৮. রঙ করা পৃষ্ঠ
পেইন্ট করা আসবাব বা শো-পিসে বেকিং সোডা লাগালে রঙ উঠে যেতে পারে বা জায়গায় জায়গায় ফিকে হয়ে যেতে পারে। এতে পুরো লুক নষ্ট হয়ে যায়। তাই এগুলো পরিষ্কার করতে হালকা ভেজা কাপড় বা মাইল্ড ক্লিনার ব্যবহার করা ভালো।

৯. কাঠের আসবাব
কাঠের আসবাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে সূক্ষ্ম স্ক্র্যাচ পড়ে এবং ফিনিশিং লেয়ার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কাঠের সৌন্দর্য হারায়। তাই কাঠের জন্য বিশেষ উড-ক্লিনার বা সাধারণ ভেজা কাপড়ই যথেষ্ট।

সূত্র: সাউদার্ন লিভিং

এসি/আপ্র/১০/০৯/২০২৫