ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

শুটিং শেষ, চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ‘নয়া মানুষ’

  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : আ.মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ উপন্যাস অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে ভিন্ন ধারার সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। সুপার সাইক্লোন সিত্রাং (২০২২) তা-বে ল-ভ- হয়েছিলো সিনেমাটির শুটিং সেট। কাজ শেষ না করে মাঝপথেই জান নিয়ে ফিরতে হয়েছিল নির্মাতা-শিল্পী-কুশলীদের। ঘটনাটি ২০২২ সালের অক্টোবরে চাঁদপুরের কানুদির চরে ঘটে। অবশেষে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফের একই চরে গিয়ে নতুন সেট তৈরি করেন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। ৬ এপ্রিল থেকে টানা শুটিংয়ে অংশ নেন ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরমধ্যে শেষ হয় সিনেমাটির পুরো শুটিং। ‘নয়া মানুষ’ নির্মাতা বয়াতি বলেন, প্রান্তিক মানুষদের যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাঁচতে হয়, আমাদেরও এই সিনেমাটি বানাতে গিয়ে তাই করতে হলো। প্রথমবার সিত্রাং ঝড়-বৃষ্টি, এবার তীব্র তাপদাহ মোকাবেলা করে কাজ করতে হয়েছে। আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে কোনো বাধাই আমাদের মনোবল নষ্ট করতে পারেনি। সুন্দরভাবে শুটিং শেষ করতে পেরেছি। আমি ভাগ্যবান প্রথম চলচ্চিত্রে সবার এতোটা সহযোগিতা পেয়েছি।
সিনেমার অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী হামিদ। এই অভিনেত্রী বলেন, আগের লটে আমরা সিত্রাংয়ের মুখে পড়ি। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেই ঝড় মুখে নিয়ে আমরা মাইক্রোতে করে ঢাকায় ফিরি, প্রাণে বাঁচি। যদিও আমাদের পুরো সেট উড়ে যায়। এবারও কষ্ট কম করিনি। রোজ সেহরির সময় আমাদের কাজ শেষ হতো। চাঁদপুর শহরের একটা হোটেলে থাকতাম। কাজ শেষ করে চর থেকে হোটেলে যেতে ২ ঘণ্টা সময় লাগতো। হোটেলে গিয়ে ২-৩ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার চরে ফিরতে হতো। প্রতিদিন ১৮-১৯ ঘণ্টা এই তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি একটা ভালো গল্পে প্রাণ দিতে। কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করছেন রওনক হাসান, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী উষশী। সিনেমাটি মুক্তি প্রসঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নান্দনিক ফিল্মস জানায়, চলতি বছরেই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শুটিং শেষ, চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ‘নয়া মানুষ’

আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : আ.মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ উপন্যাস অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে ভিন্ন ধারার সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। সুপার সাইক্লোন সিত্রাং (২০২২) তা-বে ল-ভ- হয়েছিলো সিনেমাটির শুটিং সেট। কাজ শেষ না করে মাঝপথেই জান নিয়ে ফিরতে হয়েছিল নির্মাতা-শিল্পী-কুশলীদের। ঘটনাটি ২০২২ সালের অক্টোবরে চাঁদপুরের কানুদির চরে ঘটে। অবশেষে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফের একই চরে গিয়ে নতুন সেট তৈরি করেন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। ৬ এপ্রিল থেকে টানা শুটিংয়ে অংশ নেন ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরমধ্যে শেষ হয় সিনেমাটির পুরো শুটিং। ‘নয়া মানুষ’ নির্মাতা বয়াতি বলেন, প্রান্তিক মানুষদের যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাঁচতে হয়, আমাদেরও এই সিনেমাটি বানাতে গিয়ে তাই করতে হলো। প্রথমবার সিত্রাং ঝড়-বৃষ্টি, এবার তীব্র তাপদাহ মোকাবেলা করে কাজ করতে হয়েছে। আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে কোনো বাধাই আমাদের মনোবল নষ্ট করতে পারেনি। সুন্দরভাবে শুটিং শেষ করতে পেরেছি। আমি ভাগ্যবান প্রথম চলচ্চিত্রে সবার এতোটা সহযোগিতা পেয়েছি।
সিনেমার অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী হামিদ। এই অভিনেত্রী বলেন, আগের লটে আমরা সিত্রাংয়ের মুখে পড়ি। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেই ঝড় মুখে নিয়ে আমরা মাইক্রোতে করে ঢাকায় ফিরি, প্রাণে বাঁচি। যদিও আমাদের পুরো সেট উড়ে যায়। এবারও কষ্ট কম করিনি। রোজ সেহরির সময় আমাদের কাজ শেষ হতো। চাঁদপুর শহরের একটা হোটেলে থাকতাম। কাজ শেষ করে চর থেকে হোটেলে যেতে ২ ঘণ্টা সময় লাগতো। হোটেলে গিয়ে ২-৩ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার চরে ফিরতে হতো। প্রতিদিন ১৮-১৯ ঘণ্টা এই তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি একটা ভালো গল্পে প্রাণ দিতে। কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করছেন রওনক হাসান, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী উষশী। সিনেমাটি মুক্তি প্রসঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নান্দনিক ফিল্মস জানায়, চলতি বছরেই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।