ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের টাকার জন্য হুমকি দিতেন তারা

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী এবং গাজীপুরের গাছা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. আব্দুল মান্নান দুলাল ওরফে জাহাঙ্গীর (৫৫), মো. নাসিম হাসান লাভলু (৪৪) এবং ইলিয়াস শিকদার ওরফে বেলায়েত (৫৪)।

শুক্রবার (৪ জুন) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইল ফোনে নিজেদের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রতারিত করে বিকাশ, নগদের মাধ্যমে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১ জুলাই ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মিরপুর মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো.আব্দুল মান্নান দুলাল ওরফে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামির দেওয়া তথ্যমতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে একই চক্রের মো. নাসিম হাসান লাভলুকে এবং গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে ইলিয়াস শিকদার ওরফে বেলায়েতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, ৫২টি মোবাইল ফোন সেট, ১৯০টি সিম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামীয় আটটি সীল, ছবি ও নাম ঠিকানাসহ ২০টি ডিরেক্টরি, পাঁচটি ভুয়া আইডি কার্ড এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিজেদের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কখনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফোন করে হুমকি প্রদান ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে বা কখনো প্রলুব্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা। ঐ কাজে তারা একাধিক সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করতেন। তাদের প্রতারণার শিকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের টাকার জন্য হুমকি দিতেন তারা

আপডেট সময় : ০৯:১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী এবং গাজীপুরের গাছা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. আব্দুল মান্নান দুলাল ওরফে জাহাঙ্গীর (৫৫), মো. নাসিম হাসান লাভলু (৪৪) এবং ইলিয়াস শিকদার ওরফে বেলায়েত (৫৪)।

শুক্রবার (৪ জুন) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইল ফোনে নিজেদের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রতারিত করে বিকাশ, নগদের মাধ্যমে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১ জুলাই ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মিরপুর মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো.আব্দুল মান্নান দুলাল ওরফে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামির দেওয়া তথ্যমতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে একই চক্রের মো. নাসিম হাসান লাভলুকে এবং গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে ইলিয়াস শিকদার ওরফে বেলায়েতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, ৫২টি মোবাইল ফোন সেট, ১৯০টি সিম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামীয় আটটি সীল, ছবি ও নাম ঠিকানাসহ ২০টি ডিরেক্টরি, পাঁচটি ভুয়া আইডি কার্ড এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিজেদের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কখনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফোন করে হুমকি প্রদান ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে বা কখনো প্রলুব্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা। ঐ কাজে তারা একাধিক সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করতেন। তাদের প্রতারণার শিকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন।