ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
শীত রঙিন হলেও মনকে অবসাদ করে

শীত রঙিন হলেও মনকে অবসাদ করে

  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: শীতের মধ্যে একটা বিষণ্নতার বোধ লুকিয়ে রয়েছে। এই সময় যে ধরনের মন খারাপ, বিষণ্নতা বা অবসাদ দেখা দেয়। এর আরও একটি গালভরা নাম আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তা ‘উইন্টার ব্লুজ’ বলেই পরিচিত। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘সিজন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার’ বা ‘স্যাড’ বলে।
মনোবিদেরা বলছেন, আপাতদৃষ্টিতে শীতকে রঙিন মনে হলেও এই ঋতুর প্রভাব অনেকের মনকে ধূসর করে তোলে। ভোরের কুয়াশা বা ধোঁয়াশার মতো কারণে-অকারণে মনের কোণেও মেঘ জমে। ঋতুকালীন মন খারাপের বিষয়টির জন্ম হয়েছিল মূলত শীতপ্রধান দেশে। সেখানে যখনই আলো কমে আসে, ঝিরঝিরে বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হয়, তখন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয়। ভারী তুষারপাত হলে ঘরের বাইরে বেরোনোও বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অবসাদ আসা স্বাভাবিক। আবার বহুদিন সূর্যের আলো না দেখলে মন খারাপ হতে পারে। এটা যে শুধু শীতপ্রধান দেশে সীমাবদ্ধ, তা নয়। শীত পড়লে মন খারাপ বাড়ে আরও অনেক ভূগোলেই। তবে এটি কিছতা কাটিয়ে ওঠা যায়। তা হলো

শীতের মেঘলা দিনে ঘরের মধ্যে জবুথবু হয়ে বসে থাকলে মনখারাপের মাত্রা কিন্তু লাগামছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প সময়ের জন্য হলেও বারান্দা বা ছাদ থেকে ঘুরে আসা যায়। নিদেনপক্ষে জানলার ধারে বসেও কিছতা সময় কাটানো যেতে পারে। দিনের আলোতে মন ভালো হয়ে যায়।
= এই সময় শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা বিশেষ প্রয়োজন। ঠান্ডার সময়ে শরীরচর্চা করতে অনীহা বোধ করেন অনেকে। যে কারণে হরমোনের ক্ষরণ ও কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। হরমোনের হেরফেরেও মন খারাপের তীব্রতা বাড়তে পারে।
= সোশ্যাল মিডিয়ায় না থেকে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার চেষ্টা করুন। পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গ মনখারাপকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। মন খারাপের ওষুধ হয়ে উঠতে পারে ‘টক থেরাপি’। ভরসা করে মনের কথা কাউকে বলতে না পারলে লিখেও রাখা যেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শীত রঙিন হলেও মনকে অবসাদ করে

শীত রঙিন হলেও মনকে অবসাদ করে

আপডেট সময় : ০৪:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: শীতের মধ্যে একটা বিষণ্নতার বোধ লুকিয়ে রয়েছে। এই সময় যে ধরনের মন খারাপ, বিষণ্নতা বা অবসাদ দেখা দেয়। এর আরও একটি গালভরা নাম আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তা ‘উইন্টার ব্লুজ’ বলেই পরিচিত। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘সিজন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার’ বা ‘স্যাড’ বলে।
মনোবিদেরা বলছেন, আপাতদৃষ্টিতে শীতকে রঙিন মনে হলেও এই ঋতুর প্রভাব অনেকের মনকে ধূসর করে তোলে। ভোরের কুয়াশা বা ধোঁয়াশার মতো কারণে-অকারণে মনের কোণেও মেঘ জমে। ঋতুকালীন মন খারাপের বিষয়টির জন্ম হয়েছিল মূলত শীতপ্রধান দেশে। সেখানে যখনই আলো কমে আসে, ঝিরঝিরে বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হয়, তখন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয়। ভারী তুষারপাত হলে ঘরের বাইরে বেরোনোও বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অবসাদ আসা স্বাভাবিক। আবার বহুদিন সূর্যের আলো না দেখলে মন খারাপ হতে পারে। এটা যে শুধু শীতপ্রধান দেশে সীমাবদ্ধ, তা নয়। শীত পড়লে মন খারাপ বাড়ে আরও অনেক ভূগোলেই। তবে এটি কিছতা কাটিয়ে ওঠা যায়। তা হলো

শীতের মেঘলা দিনে ঘরের মধ্যে জবুথবু হয়ে বসে থাকলে মনখারাপের মাত্রা কিন্তু লাগামছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প সময়ের জন্য হলেও বারান্দা বা ছাদ থেকে ঘুরে আসা যায়। নিদেনপক্ষে জানলার ধারে বসেও কিছতা সময় কাটানো যেতে পারে। দিনের আলোতে মন ভালো হয়ে যায়।
= এই সময় শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা বিশেষ প্রয়োজন। ঠান্ডার সময়ে শরীরচর্চা করতে অনীহা বোধ করেন অনেকে। যে কারণে হরমোনের ক্ষরণ ও কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। হরমোনের হেরফেরেও মন খারাপের তীব্রতা বাড়তে পারে।
= সোশ্যাল মিডিয়ায় না থেকে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার চেষ্টা করুন। পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গ মনখারাপকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। মন খারাপের ওষুধ হয়ে উঠতে পারে ‘টক থেরাপি’। ভরসা করে মনের কথা কাউকে বলতে না পারলে লিখেও রাখা যেতে পারে।