স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: শীতে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে এবং বাতাসে ধুলাবালির প্রকোপ বেশি থাকে। এ সময়ে মানুষ নানা রকম ফ্লুতে ভুগতে পারে। শীতে সুস্থতা রক্ষায় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। অধ্যাপক ডা. কে সি গাঙ্গুলী, ইউনিট প্রধান, রেসপিরেটরী মেডিসিন (বক্ষব্যাধি)- জাতীয় বক্ষব্যধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ‘‘শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে এই সময় চোখ ওঠা, চোখ চুলকানি, চোখের অ্যালার্জি এগুলো বেড়ে যায়। ধুলোবালি মানুষের মুখ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ফলে পেটের পীড়াও বেড়ে যেতে পারে।’’ শীতকালে ভালো থাকার উপায় সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, ‘‘শীতের সমস্যা বহুবিধ। এরমধ্যে একটি হচ্ছে তাপমাত্রা।
এই তাপমাত্রায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। এজন্য পর্যাপ্ত গরম পোশাক পরতে হবে। একজন অ্যাজমা রোগী যদি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক পরিধান না করেন তাহলেও তার রোগ বেড়ে যেতে পারে। এই যে ধুলাবালি উড়ছে এর মধ্যে অনেক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোর মধ্যে মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াও আছে। অর্থাৎ সবগুলো মাস্ক দিয়ে প্রতিরোধ করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। দেখা যায় যে, যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেখানে গেলে মানুসের সংক্রমিত হওয়ার হার বেড়ে যায়।
কারণ একজন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগী যখন হাঁচি দেয়, একটি হাঁচি থেকে ১০ থেকে ১৫ বা তারচেয়েও বেশি লোক আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে জন সমাগম যতটা সম্ভব এড়িযে চলতে হবে। ’’ ‘‘শীতকালে ফ্লু জাতীয় রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া এই সময়ে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ তাদের ইমিউনিটি প্রাপ্ত বয়ষ্কদের তুলনায় কম থাকে। শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ধুলাবালির প্রকোপ থেকে রক্ষা করা জরুরি।’’— যোগ করেন ডা. কে সি গাঙ্গুলী।