ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

শীতে প্রতিদিন গোসল না করাই ভালো

  • আপডেট সময় : ১২:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে প্রতিদিন কাজে বের হওয়ার সময়ে ঠান্ডা পানির ভয়ে সাহস করে অনেকেই গোসলটা করতে পারেন না। সাধারণত নোংরা থাকার হাত থেকে রক্ষার জন্য নয় বরং সামাজিক আচার থেকেই মানুষ প্রতিদিন গোসল করে। ঠান্ডা বা গরম পানিতে শীতকালে গোসল করাই কঠিন একদল মানুষের কাছে। কিন্তু দিনের পর দিন এমন চললে কি কোনও সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলে কী হয়? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময়ে প্রতিদিন গোসল করা আসলে শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। অন্যরা তা নিয়ে যতই ঠাট্টা করুন না কেন!
আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গোসল করার অভ্যাস শৌচের জন্য তত জরুরি নয়। বরং বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের গোসলের নিয়মে অনেকটাই রয়েছে সামাজিক ছুতমার্গ। অর্থাৎ, নিয়মিত গোসল করেন না মানেই অপরিচ্ছন্ন, এমন নয়। গরম পানিতে বেশ অনেক ক্ষণ ধরে গোসল করা অভ্যাস? এতে কী ক্ষতি হয় জানেন? ত্বক আর্দ্র হওয়ার বদলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে প্রতিদিন গোসল করলেও ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না করাই ভাল। গোসল না করলে কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় শরীরে। এ সময়ে ত্বক ভাল রাখতে সেই সব ব্যাকটেরিয়া খুব জরুরি। গোসল করলে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়। তাতে সমস্যা হতে পারে। তাই শীতকালে সপ্তাহে দুইতিন বারের বেশি গোসল না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকরা।
প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার নখগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে নখগুলো সম্প্রসারিত হয়, ছিলে যায় এবং কুচি কুচি হয়ে যায়। গোসল করার সময় নখ প্রচুর পরিমাণ পানি শুষে নেয়। আর এর ফলেই নখগুলো তাদের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং তেল হারায়। পরিণতিতে নখগুলো শুকিয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
গবেষকদের মতে, শীতে প্রতিদিদন গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক তার আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এছাড়া প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করার কারণে হজমের ও নানান সমস্যা হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা। সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার গোসল করলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা নেই- এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শীতে প্রতিদিন গোসল না করাই ভালো

আপডেট সময় : ১২:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে প্রতিদিন কাজে বের হওয়ার সময়ে ঠান্ডা পানির ভয়ে সাহস করে অনেকেই গোসলটা করতে পারেন না। সাধারণত নোংরা থাকার হাত থেকে রক্ষার জন্য নয় বরং সামাজিক আচার থেকেই মানুষ প্রতিদিন গোসল করে। ঠান্ডা বা গরম পানিতে শীতকালে গোসল করাই কঠিন একদল মানুষের কাছে। কিন্তু দিনের পর দিন এমন চললে কি কোনও সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলে কী হয়? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময়ে প্রতিদিন গোসল করা আসলে শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। অন্যরা তা নিয়ে যতই ঠাট্টা করুন না কেন!
আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গোসল করার অভ্যাস শৌচের জন্য তত জরুরি নয়। বরং বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের গোসলের নিয়মে অনেকটাই রয়েছে সামাজিক ছুতমার্গ। অর্থাৎ, নিয়মিত গোসল করেন না মানেই অপরিচ্ছন্ন, এমন নয়। গরম পানিতে বেশ অনেক ক্ষণ ধরে গোসল করা অভ্যাস? এতে কী ক্ষতি হয় জানেন? ত্বক আর্দ্র হওয়ার বদলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে প্রতিদিন গোসল করলেও ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না করাই ভাল। গোসল না করলে কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় শরীরে। এ সময়ে ত্বক ভাল রাখতে সেই সব ব্যাকটেরিয়া খুব জরুরি। গোসল করলে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়। তাতে সমস্যা হতে পারে। তাই শীতকালে সপ্তাহে দুইতিন বারের বেশি গোসল না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকরা।
প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার নখগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে নখগুলো সম্প্রসারিত হয়, ছিলে যায় এবং কুচি কুচি হয়ে যায়। গোসল করার সময় নখ প্রচুর পরিমাণ পানি শুষে নেয়। আর এর ফলেই নখগুলো তাদের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং তেল হারায়। পরিণতিতে নখগুলো শুকিয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
গবেষকদের মতে, শীতে প্রতিদিদন গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক তার আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এছাড়া প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করার কারণে হজমের ও নানান সমস্যা হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা। সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার গোসল করলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা নেই- এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।