লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতের আগমনে ঘন ঘন ঠান্ডা পানি ও সাবানের সংস্পর্শে হাতের চামড়া খসখসে হয়ে যায়, কুঁচকে যায় এবং এগজিমার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শীতে হাতের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া বিশেষভাবে জরুরি।
জেনে নেওয়া যাক এ সময় কী কী করবেন এবং কোন কোন বিষয় এড়িয়ে চলবেন-
১. ঘন ঘন সাবান ব্যবহার না করা
শীতকালে হাতের যত্নের জন্য প্রথমেই মনে রাখতে হবে-ঘন ঘন সাবান ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান হাতের ত্বক শুষ্ক ও স্পর্শকাতর করে তোলে। এতে চামড়া খসখসে হয় এবং এগজিমার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
২. হাত ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার
হাত ধোয়ার পর অবশ্যই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার হাতের চামড়াকে কোমল ও সুরক্ষিত রাখে এবং ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যাতে শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে না হয়।
৩. স্ক্রাবিংয়ের অভ্যাস করা
সপ্তাহে একদিন হাতের চামড়াও এক্সফোলিয়েট করুন। সাধারণ বডি স্ক্রাব ব্যবহার করলেও চলবে। চাইলে কফি, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব বানিয়ে হাতের চামড়া কোমল ও মসৃণ করা যায়। এচাড়া ইচ্ছা করলে ঘরোয়া উপায়ে চিনি ও নারকেল তেল মিশিয়ে হালকা স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। এটি মৃত কোষ দূর করে ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
৪. কিউটিকল অয়েলের ব্যবহার
শুধু হাতের চামড়ার যত্ন নিলে হবে না, নখেরও সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। বারবার ঠান্ডা পানি হাত ধোলার ফলে নখের চারপাশের চামড়াও শুষ্ক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কিউটিকল অয়েল ব্যবহার করলে নখের চারপাশের চামড়া হাইড্রেটেড থাকে এবং নখও সহজে ভেঙে যায় না।
৫. নারিকেল তেলের ব্যবহার
হাতকে নরম রাখতে হ্যান্ড ক্রিমই সবচেয়ে সহজ উপায়। তবে খরচ বেশি হলে নারিকেল তেলের ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল হাতে নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। প্রতিদিন এই নিয়ম করলে হাতের চামড়া নরম থাকবে এবং কুঁচকে যাবে না। রাতে ঘুমানোর আগে এই নিয়ম মেনে হাতের যত্ন নিতে পারেন।
৬. গ্লাভস ব্যবহার করা
সারাদিন কাজের ফাঁকে হ্যান্ড ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মাখার সময় নাও থাকতে পারে। এমন অবস্থায় পানি ব্যবহার করার সময় রাবারের রিইউজেবল হ্যান্ড গ্লাভস পরে নিন। এতে হাত দুইটি ঠান্ডা পানি এবং সাবানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকে।
সূত্র: হেলথলাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসি/আপ্র/১৪/১২/২০২৫
























