ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

শীতের জেলায় নেই আবহাওয়া অফিস

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ছাড়া চার উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা। পাশে রয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাশাপাশি ও সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। আগেই শীত আসে এ জেলায়। আবার যায় শেষে। শীতের জেলা হলেও এ জেলার মানুষ জানতে পারেন না কোনদিন কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন কাটে তাদের। তাপমাত্রা না জানায় নানা ক্ষতির শিকার কৃষক ও পেশাজীবীসহ অন্যরা। জেলায় এ বছর শীতে সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে চারপাশ। হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারি রোববার (সকাল ৬ টায়) জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত পাঁচ মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এটি। আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক তাপমাত্রা জানেন না জেলার অনেক বাসিন্দা। আবহাওয়া অফিস না থাকার ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক তাপমাত্রার খবর প্রচার করতে পারছেন না। তাপমাত্রার তথ্য না পেয়ে আগাম কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে আলু ক্ষেতে পচনের পাশাপাশি বোরো বীজতলাও নষ্ট হচ্ছে। সারাদেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে তীব্র শীতেও শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে। ঠাকুরগাঁও জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি রেজাউল প্রধান বলেন, শীতের সময়ে তাপমাত্রা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের আপডেট দিতে হয়। অনেক সময় পার্শ্ববর্তী জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিতে হয়। আবার কখনো মুঠোফোনে দেখে তথ্য দিতে হয়। এতে করে আমরা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হই। ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রাখার কথা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস না থাকার কারণে এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে একেক সময় একেক রকম তাপমাত্রা দেখা যায়। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আবহাওয়া অফিস হলে আগে থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় আবহাওয়া অফিস হলে ভালো হয়। আমরা বিষয়টি অধিদপ্তরকে জানাব।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শীতের জেলায় নেই আবহাওয়া অফিস

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ছাড়া চার উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা। পাশে রয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাশাপাশি ও সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। আগেই শীত আসে এ জেলায়। আবার যায় শেষে। শীতের জেলা হলেও এ জেলার মানুষ জানতে পারেন না কোনদিন কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন কাটে তাদের। তাপমাত্রা না জানায় নানা ক্ষতির শিকার কৃষক ও পেশাজীবীসহ অন্যরা। জেলায় এ বছর শীতে সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে চারপাশ। হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারি রোববার (সকাল ৬ টায়) জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত পাঁচ মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এটি। আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক তাপমাত্রা জানেন না জেলার অনেক বাসিন্দা। আবহাওয়া অফিস না থাকার ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক তাপমাত্রার খবর প্রচার করতে পারছেন না। তাপমাত্রার তথ্য না পেয়ে আগাম কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে আলু ক্ষেতে পচনের পাশাপাশি বোরো বীজতলাও নষ্ট হচ্ছে। সারাদেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে তীব্র শীতেও শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে। ঠাকুরগাঁও জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি রেজাউল প্রধান বলেন, শীতের সময়ে তাপমাত্রা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের আপডেট দিতে হয়। অনেক সময় পার্শ্ববর্তী জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিতে হয়। আবার কখনো মুঠোফোনে দেখে তথ্য দিতে হয়। এতে করে আমরা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হই। ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রাখার কথা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস না থাকার কারণে এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে একেক সময় একেক রকম তাপমাত্রা দেখা যায়। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আবহাওয়া অফিস হলে আগে থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় আবহাওয়া অফিস হলে ভালো হয়। আমরা বিষয়টি অধিদপ্তরকে জানাব।