ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

শিশু নিরাপত্তায় গেইম নির্মাতাদের জন্য নতুন প্রস্তাব যুক্তরাজ্যে

  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ভিডিও গেইম নির্মাতাদের অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে তাদের গেইমে অংশ নেওয়া গেইমারদের বয়স ১৮’র কম কি না, আর সে ক্ষেত্রে তাদের গেইম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সব বাধ্যবাধকতা উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যে ডেটা নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রস্তাব করা গেইমবিষয়ক নতুন নীতিমালায়।
বিভিন্ন গেইম নির্মাতা ও সরবরাহকারীরা যেন যুক্তরাজ্যের ডেটা বিষয়ক আইন মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু নতুন পরামর্শ দিয়েছে দেশটির ‘ইনফর্মেশন কমিশনার’স অফিস (আইসিও)’।
আইসিও বলেছে, এই নির্দেশিকা নিশ্চিত করবে, ভিডিও গেইমগুলো যুক্তরাজ্যের শিশু বিষয়ক আইন ‘চিলড্রেন’স কোড’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন ডিজিটাল সেবায় শিশুদের জন্য যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা কীভাবে প্রযোজ্য, সেটির রূপরেখা সম্পর্কে জানা যায় এই আইনের মাধ্যমে। প্রস্তাবনা অনুসারে, গেইম নির্মাতাদের কেবল ১৮ বছরের কম বয়সী গেইমার শনাক্ত করাই সবকিছু নয়, বরং বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, গেইমারদের গেইম থেকে বিরতি নিতে আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে গেইমে বিভিন্ন ‘চেকপয়েন্ট’ রাখার পাশাপাশি গেইমগুলো শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার বেলায় যেন ক্ষতির কারণ না হয়, সেটিও নিশ্চিত করা উচিৎ। আর গেইমগুলোর বাণিজ্যিক প্রচারণার উদ্দেশ্যে ‘আচরণভিত্তিক প্রোফাইলিং’ ব্যবস্থা ডিফল্ট হিসেবেই বন্ধ করতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও উঠে এসেছে, বিভিন্ন এমন তথাকথিত ‘কৌশল’, যেগুলো শিশুদের প্রাইভেসি কমিয়ে আনতে উৎসাহ দেয় অথবা পুরস্কারের বিনিময়ে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরির বিষয়ে চাপ দেয়, সেগুলোও নিরুৎসাহিত করা উচিৎ।
“অনেক কিশোর-কিশোরীর জীবনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে গেইমিং। আর কমিউনিটি ও গেইমের ভিত্তিতে বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল জগতে শিশুর প্রথম পদচারণা হতে পারে।” –বলেন আইসিও’র ‘গ্রুপ ম্যানেজার’ লিয়ান ডোহার্টি।
“আমরা চাই শিশুদের এই প্রথম পদচারণার বিষয়টি যেন পজিটিভ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। আর সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রস্তাবগুলো গেইম ডেভেলপারদের সাহায্যের জন্যই তৈরি।” – বলেন তিনি। “শিশুরা যে অনলাইনে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো নয় ও তাদের ডেটায় তুলনামূলক বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন, ওই বিষয়টি নিশ্চিত করে চিলড্রেন’স কোড।”
আইসিও’র তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ৯৩ শতাংশ শিশুই বিভিন্ন ভিডিও গেইম খেলে থাকে। আর তুলনামূলক কম বয়সী শিশুরা গড়ে দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা গেইম খেললেও, এদের চেয়ে বেশি বয়সীরা দৈনিক তিন ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় গেইম খেলেন বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিশু নিরাপত্তায় গেইম নির্মাতাদের জন্য নতুন প্রস্তাব যুক্তরাজ্যে

আপডেট সময় : ১০:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : ভিডিও গেইম নির্মাতাদের অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে তাদের গেইমে অংশ নেওয়া গেইমারদের বয়স ১৮’র কম কি না, আর সে ক্ষেত্রে তাদের গেইম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সব বাধ্যবাধকতা উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যে ডেটা নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রস্তাব করা গেইমবিষয়ক নতুন নীতিমালায়।
বিভিন্ন গেইম নির্মাতা ও সরবরাহকারীরা যেন যুক্তরাজ্যের ডেটা বিষয়ক আইন মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু নতুন পরামর্শ দিয়েছে দেশটির ‘ইনফর্মেশন কমিশনার’স অফিস (আইসিও)’।
আইসিও বলেছে, এই নির্দেশিকা নিশ্চিত করবে, ভিডিও গেইমগুলো যুক্তরাজ্যের শিশু বিষয়ক আইন ‘চিলড্রেন’স কোড’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন ডিজিটাল সেবায় শিশুদের জন্য যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা কীভাবে প্রযোজ্য, সেটির রূপরেখা সম্পর্কে জানা যায় এই আইনের মাধ্যমে। প্রস্তাবনা অনুসারে, গেইম নির্মাতাদের কেবল ১৮ বছরের কম বয়সী গেইমার শনাক্ত করাই সবকিছু নয়, বরং বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, গেইমারদের গেইম থেকে বিরতি নিতে আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে গেইমে বিভিন্ন ‘চেকপয়েন্ট’ রাখার পাশাপাশি গেইমগুলো শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার বেলায় যেন ক্ষতির কারণ না হয়, সেটিও নিশ্চিত করা উচিৎ। আর গেইমগুলোর বাণিজ্যিক প্রচারণার উদ্দেশ্যে ‘আচরণভিত্তিক প্রোফাইলিং’ ব্যবস্থা ডিফল্ট হিসেবেই বন্ধ করতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও উঠে এসেছে, বিভিন্ন এমন তথাকথিত ‘কৌশল’, যেগুলো শিশুদের প্রাইভেসি কমিয়ে আনতে উৎসাহ দেয় অথবা পুরস্কারের বিনিময়ে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরির বিষয়ে চাপ দেয়, সেগুলোও নিরুৎসাহিত করা উচিৎ।
“অনেক কিশোর-কিশোরীর জীবনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে গেইমিং। আর কমিউনিটি ও গেইমের ভিত্তিতে বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল জগতে শিশুর প্রথম পদচারণা হতে পারে।” –বলেন আইসিও’র ‘গ্রুপ ম্যানেজার’ লিয়ান ডোহার্টি।
“আমরা চাই শিশুদের এই প্রথম পদচারণার বিষয়টি যেন পজিটিভ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। আর সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রস্তাবগুলো গেইম ডেভেলপারদের সাহায্যের জন্যই তৈরি।” – বলেন তিনি। “শিশুরা যে অনলাইনে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো নয় ও তাদের ডেটায় তুলনামূলক বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন, ওই বিষয়টি নিশ্চিত করে চিলড্রেন’স কোড।”
আইসিও’র তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ৯৩ শতাংশ শিশুই বিভিন্ন ভিডিও গেইম খেলে থাকে। আর তুলনামূলক কম বয়সী শিশুরা গড়ে দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা গেইম খেললেও, এদের চেয়ে বেশি বয়সীরা দৈনিক তিন ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় গেইম খেলেন বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।