ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিশু তাসিন হত্যা মামলায় কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমি নিয়ে বিরোধ ও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টার সময় শিশু তাসিন হত্যা মামলায় শহীদ মিয়া নামের একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ডও দেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা জজ আলী মনসুর এই আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নান্দাইলের মুসুল্লী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম ও স্ত্রী মোছাম্মৎ পলিনা খাতুনের সংসারে এক ছেলে তাসিন ও এক মেয়ে মিতু রয়েছে। বিদেশে থাকার কারণে অর্থলোভে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে আনন্দ স্কুলে যাওয়ার পথে প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া তাসিনকে তুলে নিয়ে যান প্রতিবেশি শহীদ মিয়া। পরে অভিযুক্তরা তাসিনের বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায় ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাসিনকে ফিরে পাবে। পরদিন তাসিনের কান্নাকাটিতে অভিযুক্তরা গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য পাশের বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

অনেক খোঁজাখুজির পর তাসিনকে না পেয়ে পুলিশের আশ্রয় নেন তাসিনের পরিবার। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে শহীদ মিয়াকে আটক করে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার দুইদিন পর তাসিনের মরদেহ টয়লেটের ট্যাক থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত শিশু তাসিনের মা পলিনা খাতুন নান্দাইল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্তে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। র্দীঘ ১৫ বছর পর মামালায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্ত শহীদ মিয়ার সঙ্গে ঘটনার সম্পৃক্ততায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকিদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাশ দেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. শমীম উল আজম খান লিসন ও আসামি পক্ষের মনোয়ার বেগম পারভীন মামলাটি পরিচালনা করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

শিশু তাসিন হত্যা মামলায় কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমি নিয়ে বিরোধ ও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টার সময় শিশু তাসিন হত্যা মামলায় শহীদ মিয়া নামের একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ডও দেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা জজ আলী মনসুর এই আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নান্দাইলের মুসুল্লী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম ও স্ত্রী মোছাম্মৎ পলিনা খাতুনের সংসারে এক ছেলে তাসিন ও এক মেয়ে মিতু রয়েছে। বিদেশে থাকার কারণে অর্থলোভে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে আনন্দ স্কুলে যাওয়ার পথে প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া তাসিনকে তুলে নিয়ে যান প্রতিবেশি শহীদ মিয়া। পরে অভিযুক্তরা তাসিনের বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায় ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাসিনকে ফিরে পাবে। পরদিন তাসিনের কান্নাকাটিতে অভিযুক্তরা গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য পাশের বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

অনেক খোঁজাখুজির পর তাসিনকে না পেয়ে পুলিশের আশ্রয় নেন তাসিনের পরিবার। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে শহীদ মিয়াকে আটক করে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার দুইদিন পর তাসিনের মরদেহ টয়লেটের ট্যাক থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত শিশু তাসিনের মা পলিনা খাতুন নান্দাইল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্তে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। র্দীঘ ১৫ বছর পর মামালায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্ত শহীদ মিয়ার সঙ্গে ঘটনার সম্পৃক্ততায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকিদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাশ দেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. শমীম উল আজম খান লিসন ও আসামি পক্ষের মনোয়ার বেগম পারভীন মামলাটি পরিচালনা করেন।