জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ৮ বছর বয়সী শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মেহেদি হাসান (৩০) নামে মসজিদের এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেল ৩টায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মেহেদি হাসান আক্কেলপুর পৌর এলাকার সরদারপাড়া মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি কেশবপুর মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের ইমাম। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানায়, মেহেদি হাসান মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল বেলা মসজিদের বারান্দায় দুই ব্যাচে ভাগ করে শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে ক্লাস শেষে সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। শুধু ওই শিশুকে বিশেষভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে থাকতে বলেন। এরপর তিনি ওই শিশুকে মসজিদের পাশে তার রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে মেহেদি তাকে দশ টাকা দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মাকে জানালে তার মা গ্রামের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই মাদ্রাসায় এসে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে মাদ্রাসার ভিতরে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিন সকালে আরবি পড়তে যায়। ওই হুজুর আমার মেয়ের সাথে যে খারাপ কাজ করেছে সেগুলো মেয়ে বাসায় এসে কান্না করতে করতে আমাকে জানায়। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।
গ্রেফতারের পর থানা চত্বরে ইমাম মেহেদি হাসান বলেন, বুধবার সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ বাচ্চার মা আর বাবা এসে আমাকে মারতে পায়ের জুতা তোলে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন আমি নাকি বাচ্চাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি সঠিক নয়।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয়রা আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসি/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫