সাহিত্য ডেস্ক: অকালে হারিয়ে যাওয়া বিস্ময়শিশু রাইদাহ গালিবা অনন্য প্রতিভার জন্য শিশুসাহিত্যে পেলো মরণোত্তর পুরস্কার। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ১৭ মে তাকে ‘একান্নবর্তী রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা ২০২৫’ দেওয়া হয়।
রাইদাহ গালিবার মা কবি ও গল্পকার কানিজ পারিজাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় এ সম্মাননা। রাইদাহ গালিবাসহ এবার চারজন গুণী ও কৃতিজন পেয়েছেন এ সম্মাননা।
সাহিত্যের ছোটকাগজ একান্নবর্তীর সম্পাদক শেলী সেনগুপ্তার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান এবং সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও রফিকুর রশীদ তাদের বক্তব্যে অবিস্মরণীয় প্রতিভাধর রাইদাহ গালিবা সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন। সৃজনশীল প্রতিভা ও অনন্য সৃষ্টিকর্মের ভেতর দিয়ে রাইদাহ পাঠকের অন্তরে বেঁচে থাকবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
রাইদাহ গালিবার মা কবি ও গল্পকার কানিজ পারিজাত অশ্রুভেজা চোখে বলেন, ‘রাইদাহর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে যখন কোথাও কাজ বা সম্মানিত করা হয়; তখন মনে হয় আমার এই অনবদ্য সন্তান হারিয়ে যায়নি, পৃথিবীতেই আছে।’
রাইদাহ গালিবার ডাকনাম কুইন। ১২ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে সে লিখেছে বেশকিছু রূপকথার গল্প ও কবিতা। প্রকাশ হয়েছে ছয়টি গল্প। যেগুলো ছাপা হয়েছিল ‘ধানশালিকের দেশ’ ও ‘শিশু’সহ ছোটদের পত্রিকায়।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষদিকে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে দুর্লভ এ শিশুসাহিত্যিক! শিশু-কিশোরদের জন্য রেখে গেছে ৬টি বই।
রাইদাহ গালিবার শিশুতোষ রূপকথাগুলো হলো- ‘পিটুর জাদু জুতা’, ‘এক যে ছিল মুচি’, ‘ইমা ও দৈত্য’, ‘ভয়ংকর গাছ’, ‘আন্ডোরে রাজ্যের কাহিনি’, ‘বাঘ ও দৈত্য’।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ