ইয়াসমিন সুলতানা মিলি : বাংলাদেশের সংবিধান শিশুসহ সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিশুদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে আইনও। আর ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কর্মঘণ্টা এবং শিশুকে দিয়ে কী কী কাজ করানো যাবে বা যাবে না তাও বলা আছে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বই থেকে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ শিশুদের ন্যূনতম বয়স ১৪ আর কিশোরদের বয়স ১৪-১৮ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ১৪ বছরের কম বয়সীদের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। শিশুর অভিভাবক কাজ করানোর জন্য কারো সাথে কোনো প্রকার চুক্তি করতে পারবে না।
কিশোর শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কাজে নিয়োগ করতে হলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিটনেস সনদ নিতে হবে, যেটার খরচ বহন করতে হবে মালিককে। কিশোর শ্রমিকদের স্বাভাবিক কাজের সময় হবে ৫ ঘণ্টা। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত তাদের দিয়ে কোনো কাজ করানো যাবে না।
এই আইনে আরো বলা হয়েছে, ১২ বছর বয়সী শিশুদের দিয়ে সেই কাজগুলোই করানো যাবে যেগুলো তাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করবে না এবং শিক্ষা গ্রহণের অধিকার বিঘিœত করবে না। জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০১০-এ শিশুশ্রম বিলোপে কতগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে শিশুশ্রম সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই সনদে বলা হয়েছে, স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে সদস্য রাষ্ট্রগুলো শিশুশ্রমের জন্য বয়স, বিশেষ কর্মঘণ্টা ও নিয়োগে যথার্থ শর্তাবলী নির্ধারণ করবে। এছাড়াও শিশুর সুরক্ষা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে যা পরোক্ষভাবে শিশুশ্রম নিরসনে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এই সনদে ১৯৯০ সালে সাক্ষর করেছে।-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকদের বিভাগ ‘হ্যালো’।
শিশুশ্রম নিয়ে কী বলছে আইন?
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ