ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা পড়াশোনায় চাপ প্রয়োগ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: শিশুরা স্বভাবতই কোমলমতি ও সংবেদনশীল। তারা ভালোবাসা, আদর আর নিরাপত্তার মাঝে বেড়ে উঠতে চায়। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, কৌতূহল জাগে, খেলাধুলায় তারা আনন্দ পায় এবং সেই আনন্দের মধ্যে তারা শিখতেও চায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে চায় না। তাদের মনে পড়ালেখা নিয়ে আগ্রহ জন্মায় না। তখন অনেক অভিভাবক শিশুর ওপর রূঢ় আচরণ করেন বা নানা চাপ প্রয়োগ করে পড়াশোনায় বসাতে চান। অথচ এমন আচরণ শিশুদের মনে দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে; যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

একটি শিশুর মনোযোগ তৈরি হয় ধাপে ধাপে। প্রথমেই তাকে বোঝাতে হয় পড়ালেখা কেবল একটি বাধ্যতামূলক কাজ নয়। এটি মজারও হতে পারে। পড়ালেখার প্রতি শিশুর আগ্রহ তৈরি করতে হলে অভিভাবক বা শিক্ষকের কোমল ব্যবহার, ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য। তাই কিছু কার্যকর উপায় আছে- যেগুলো অনুসরণ করলে শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগী করে তোলা সম্ভব। তা হলো-

বিনয়ী আচরণ করা: শিশুরা তাদের অভিভাবকের আচরণ খুব সহজেই অনুকরণ করে এবং মনের ভেতরে ধারণ করে। আপনি যদি একজন শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, সে সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করবে এবং আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে। তাই পড়াতে গিয়ে কখনোই রূঢ় ব্যবহার করা উচিত নয়। শিশুকে ভালোভাবে বোঝান কেন পড়ালেখা জরুরি। তার কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি সে না বুঝে, তবে বিরক্ত না হয়ে আবার ব্যাখ্যা করুন। শিশু বুঝবে, পড়ালেখা মানেই শাস্তি নয়; বরং এটি একটি আনন্দের বিষয়।

ধৈর্য ধরে পড়ানো: শিশুরা সবাই সমান নয়। একজন দ্রুত বুঝে ফেলে, অন্যজন একটু ধীরগতিতে শেখে। কিন্তু ধৈর্যই এখানে মূল চাবিকাঠি। শিশুকে সময় দিন, তার শেখার গতি বুঝে তাকে পড়ান। ভুল করলে রাগ না করে শান্তভাবে তাকে সংশোধন করে দিন। বারবার বললেও যদি সে ভুল করে, তখনো ধৈর্য হারাবেন না। আপনার ধৈর্যই তাকে সাহস জোগাবে এবং পড়ালেখা নিয়ে তার মনে ভয় বা চাপ তৈরি হবে না।

খেলার মাধ্যমে পড়ালেখায় আগ্রহী করে তোলা: শিশুরা খেলতে ভালোবাসে। তাই যদি তাদের পড়াশোনাকে খেলাধুলার সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিখতে আগ্রহী হবে। যেমন, অক্ষর শেখানোর জন্য রঙিন চার্ট, বর্ণনা শেখাতে গল্প বলা, অঙ্ক শেখাতে চকলেট বা মার্বেল দিয়ে গেম খেলা ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এতে শিশুর মনে পড়ালেখা বিষয়ে এক ধরনের আনন্দ তৈরি হয়।

শিশুদের চাপ প্রয়োগ না করা: অনেক অভিভাবক মনে করেন, চাপ দিলে শিশু ভালোভাবে পড়বে। তারা জোর করে পড়তে বসান, পরীক্ষার ভয় দেখান, অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করেন। এর ফলে শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সে মনে করে, সে কিছুই পারে না। এর চেয়ে বরং শিশুকে তার নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ দিন। উৎসাহ দিন ছোট ছোট অর্জনের জন্য। ভুল করলে পাশে দাঁড়ান। মনে রাখবেন, চাপ নয় বরং ভালোবাসাই শিশুকে শেখাতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।

পড়ালেখা বিষয়ে খেলনা রাখা: বাজারে এখন এমন অনেক শিক্ষামূলক খেলনা পাওয়া যায়, যেগুলো শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক। যেমন, অক্ষর-পাজল, গাণিতিক ব্লক, শব্দ গঠনের গেম, চুম্বক বর্ণমালা, শিক্ষামূলক গল্পের বই ইত্যাদি। এই ধরনের খেলনা শিশুদের কৌতূহল জাগায় এবং শেখার আগ্রহ বাড়ায়। এসব খেলনার মাধ্যমে শিশুরা খেলতে খেলতেই শেখে, ফলে পড়ালেখা তাদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে না।
পজিটিভ রিওয়ার্ড পদ্ধতি চালু করা: শিশুদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পুরস্কার একটি কার্যকর উপায়। আপনি ছোট ছোট পুরস্কারের মাধ্যমে শিশুকে পড়ালেখায় আগ্রহী করে তুলতে পারেন। যেমন, নির্দিষ্ট সময়ে পড়া শেষ করতে পারলে পছন্দের খাবার খেতে দেয়া, বা একটি স্টিকার দেয়া, অথবা তার পছন্দের একটি গল্প শোনানো। এতে শিশুরা পড়ালেখাকে একটি মজার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে।

রুটিন করে দেওয়া: শিশুদের পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিবেশ তৈরি করে দিন। প্রতিদিন একই সময়ে পড়তে বসার অভ্যাস তৈরি করলে তারা ধীরে ধীরে ওই সময়টাকে পড়াশোনার জন্য মানিয়ে নিতে শেখে। এই রুটিনে অবশ্যই বিশ্রাম, খেলা, খাওয়া, ঘুম ইত্যাদির সময়ও নির্ধারিত থাকতে হবে। এতে শিশুর দিন সুশৃঙ্খল হবে এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে।

শিশুর আগ্রহের বিষয় খুঁজে বের করুন: প্রত্যেক শিশুরই নিজস্ব আগ্রহ বা পছন্দ থাকে। কেউ ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কেউ গল্প শুনতে, কেউ গান বা কবিতা পছন্দ করে। শিশুর এই আগ্রহের দিকটা চিহ্নিত করে সেদিক দিয়ে তাকে পড়ালেখার সঙ্গে যুক্ত করুন। যেমন, যে শিশু ছবি আঁকতে ভালোবাসে, তাকে বলুন কোনো গল্প পড়ে তার ছবি আঁকতে। এতে সে পড়াও করলো আবার ছবি আঁকার আগ্রহও মেটানো হলো।

সন্তানের প্রতি বিশ্বাস রাখুন: শিশুকে বারবার বলুন ‘তুমি পারবে’, ‘চেষ্টা করো’, ‘আমি তোমার পাশে আছি’- এমন ইতিবাচক বাক্য শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। সে মনে করে, তার ওপর মা-বাবার আস্থা আছে। ফলে সে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

শিশুরা হলো একটি কচি চারা গাছের মতো। যত্ন, ভালোবাসা, এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সে একদিন একটি বড়, ফলদায়ী বৃক্ষে পরিণত হয়। তেমনি একজন শিশুকে পড়ালেখায় মনোযোগী করে তুলতেও প্রয়োজন সহনশীলতা, ধৈর্য, ভালোবাসা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। পড়ালেখা কেবল পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য নয়; বরং জ্ঞানার্জন, চরিত্র গঠন ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য। তাই শিশুর মনে যদি ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যায়, তবে সে ভবিষ্যতে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শিশুদের সেই আনন্দময় শেখার যাত্রায় পাশে থাকা।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা পড়াশোনায় চাপ প্রয়োগ

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: শিশুরা স্বভাবতই কোমলমতি ও সংবেদনশীল। তারা ভালোবাসা, আদর আর নিরাপত্তার মাঝে বেড়ে উঠতে চায়। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, কৌতূহল জাগে, খেলাধুলায় তারা আনন্দ পায় এবং সেই আনন্দের মধ্যে তারা শিখতেও চায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে চায় না। তাদের মনে পড়ালেখা নিয়ে আগ্রহ জন্মায় না। তখন অনেক অভিভাবক শিশুর ওপর রূঢ় আচরণ করেন বা নানা চাপ প্রয়োগ করে পড়াশোনায় বসাতে চান। অথচ এমন আচরণ শিশুদের মনে দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে; যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

একটি শিশুর মনোযোগ তৈরি হয় ধাপে ধাপে। প্রথমেই তাকে বোঝাতে হয় পড়ালেখা কেবল একটি বাধ্যতামূলক কাজ নয়। এটি মজারও হতে পারে। পড়ালেখার প্রতি শিশুর আগ্রহ তৈরি করতে হলে অভিভাবক বা শিক্ষকের কোমল ব্যবহার, ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য। তাই কিছু কার্যকর উপায় আছে- যেগুলো অনুসরণ করলে শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগী করে তোলা সম্ভব। তা হলো-

বিনয়ী আচরণ করা: শিশুরা তাদের অভিভাবকের আচরণ খুব সহজেই অনুকরণ করে এবং মনের ভেতরে ধারণ করে। আপনি যদি একজন শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, সে সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করবে এবং আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে। তাই পড়াতে গিয়ে কখনোই রূঢ় ব্যবহার করা উচিত নয়। শিশুকে ভালোভাবে বোঝান কেন পড়ালেখা জরুরি। তার কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি সে না বুঝে, তবে বিরক্ত না হয়ে আবার ব্যাখ্যা করুন। শিশু বুঝবে, পড়ালেখা মানেই শাস্তি নয়; বরং এটি একটি আনন্দের বিষয়।

ধৈর্য ধরে পড়ানো: শিশুরা সবাই সমান নয়। একজন দ্রুত বুঝে ফেলে, অন্যজন একটু ধীরগতিতে শেখে। কিন্তু ধৈর্যই এখানে মূল চাবিকাঠি। শিশুকে সময় দিন, তার শেখার গতি বুঝে তাকে পড়ান। ভুল করলে রাগ না করে শান্তভাবে তাকে সংশোধন করে দিন। বারবার বললেও যদি সে ভুল করে, তখনো ধৈর্য হারাবেন না। আপনার ধৈর্যই তাকে সাহস জোগাবে এবং পড়ালেখা নিয়ে তার মনে ভয় বা চাপ তৈরি হবে না।

খেলার মাধ্যমে পড়ালেখায় আগ্রহী করে তোলা: শিশুরা খেলতে ভালোবাসে। তাই যদি তাদের পড়াশোনাকে খেলাধুলার সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিখতে আগ্রহী হবে। যেমন, অক্ষর শেখানোর জন্য রঙিন চার্ট, বর্ণনা শেখাতে গল্প বলা, অঙ্ক শেখাতে চকলেট বা মার্বেল দিয়ে গেম খেলা ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এতে শিশুর মনে পড়ালেখা বিষয়ে এক ধরনের আনন্দ তৈরি হয়।

শিশুদের চাপ প্রয়োগ না করা: অনেক অভিভাবক মনে করেন, চাপ দিলে শিশু ভালোভাবে পড়বে। তারা জোর করে পড়তে বসান, পরীক্ষার ভয় দেখান, অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করেন। এর ফলে শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সে মনে করে, সে কিছুই পারে না। এর চেয়ে বরং শিশুকে তার নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ দিন। উৎসাহ দিন ছোট ছোট অর্জনের জন্য। ভুল করলে পাশে দাঁড়ান। মনে রাখবেন, চাপ নয় বরং ভালোবাসাই শিশুকে শেখাতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।

পড়ালেখা বিষয়ে খেলনা রাখা: বাজারে এখন এমন অনেক শিক্ষামূলক খেলনা পাওয়া যায়, যেগুলো শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক। যেমন, অক্ষর-পাজল, গাণিতিক ব্লক, শব্দ গঠনের গেম, চুম্বক বর্ণমালা, শিক্ষামূলক গল্পের বই ইত্যাদি। এই ধরনের খেলনা শিশুদের কৌতূহল জাগায় এবং শেখার আগ্রহ বাড়ায়। এসব খেলনার মাধ্যমে শিশুরা খেলতে খেলতেই শেখে, ফলে পড়ালেখা তাদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে না।
পজিটিভ রিওয়ার্ড পদ্ধতি চালু করা: শিশুদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পুরস্কার একটি কার্যকর উপায়। আপনি ছোট ছোট পুরস্কারের মাধ্যমে শিশুকে পড়ালেখায় আগ্রহী করে তুলতে পারেন। যেমন, নির্দিষ্ট সময়ে পড়া শেষ করতে পারলে পছন্দের খাবার খেতে দেয়া, বা একটি স্টিকার দেয়া, অথবা তার পছন্দের একটি গল্প শোনানো। এতে শিশুরা পড়ালেখাকে একটি মজার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে।

রুটিন করে দেওয়া: শিশুদের পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিবেশ তৈরি করে দিন। প্রতিদিন একই সময়ে পড়তে বসার অভ্যাস তৈরি করলে তারা ধীরে ধীরে ওই সময়টাকে পড়াশোনার জন্য মানিয়ে নিতে শেখে। এই রুটিনে অবশ্যই বিশ্রাম, খেলা, খাওয়া, ঘুম ইত্যাদির সময়ও নির্ধারিত থাকতে হবে। এতে শিশুর দিন সুশৃঙ্খল হবে এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে।

শিশুর আগ্রহের বিষয় খুঁজে বের করুন: প্রত্যেক শিশুরই নিজস্ব আগ্রহ বা পছন্দ থাকে। কেউ ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কেউ গল্প শুনতে, কেউ গান বা কবিতা পছন্দ করে। শিশুর এই আগ্রহের দিকটা চিহ্নিত করে সেদিক দিয়ে তাকে পড়ালেখার সঙ্গে যুক্ত করুন। যেমন, যে শিশু ছবি আঁকতে ভালোবাসে, তাকে বলুন কোনো গল্প পড়ে তার ছবি আঁকতে। এতে সে পড়াও করলো আবার ছবি আঁকার আগ্রহও মেটানো হলো।

সন্তানের প্রতি বিশ্বাস রাখুন: শিশুকে বারবার বলুন ‘তুমি পারবে’, ‘চেষ্টা করো’, ‘আমি তোমার পাশে আছি’- এমন ইতিবাচক বাক্য শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। সে মনে করে, তার ওপর মা-বাবার আস্থা আছে। ফলে সে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

শিশুরা হলো একটি কচি চারা গাছের মতো। যত্ন, ভালোবাসা, এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সে একদিন একটি বড়, ফলদায়ী বৃক্ষে পরিণত হয়। তেমনি একজন শিশুকে পড়ালেখায় মনোযোগী করে তুলতেও প্রয়োজন সহনশীলতা, ধৈর্য, ভালোবাসা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। পড়ালেখা কেবল পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য নয়; বরং জ্ঞানার্জন, চরিত্র গঠন ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য। তাই শিশুর মনে যদি ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যায়, তবে সে ভবিষ্যতে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শিশুদের সেই আনন্দময় শেখার যাত্রায় পাশে থাকা।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ