ওমর ফারুক :আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ তথা পরিবারগুলো জ্ঞান অর্জনের চেয়ে প্রতিযোগিতার দিকে বেশি মনোযোগী বলে আমার মনে হয়।
যার ফলস্বরূপ খুব কম শিক্ষার্থী নিজেদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পায়। শিশু নিজের প্রতিভা প্রকাশ করতে গেলে তাকে প্রথমত পড়াশোনার দোহাই দিয়ে বাধা দেয়া হয়। তারপরও যদি কেউ সে দোহাই এড়িয়ে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করতে যায় তখন তাকে ফেলে দেয়া হয় কঠিন প্রতিযোগিতার মাঝে। যেখানে শিশুরা নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার বদলে একে অন্যকে হারাতে ব্যস্ত থাকে। হয়ে যায় একে অন্যের শত্রু, প্রতিদ্বন্দী। যে সময়টাতে বন্ধুত্ব শেখার কথা সে সময়টায় শেখানো হয় প্রতিদ্বন্দীতা। আর এটিই একটি শিশুর প্রতিভার বিকাশে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে হয় আমার।
প্রতিযোগিতায় শিশুদের অংশগ্রহণের লক্ষ্য হওয়া উচিত তার প্রতিভার বিকাশ, অন্যদের হারানো নয়। কিন্তু আমাদের সমাজ শিশুদের প্রতিযোগিতায় জেতানোর জন্য অংশগ্রহণ করান। এর ফলে একটি শিশু যখন জয়ী হতে হতে এক সময় ভুলে যায় জীবন, শান্তি ও সরলতা। মরে যায় তার স্বপ্ন। তাই আমি বলব শিশুদের নিয়ে যেকোনো প্রতিযোগিতার আয়োজকদের উচিত প্রতিযোগিতা এমনভাবে আয়োজন করা যেন শিশুদের মনে না হয় যে অন্যকে হারাতে হবে। বরং যেন এটি মনে হয় যে নিজে কতটুকু জানি সেটি দেখাতে হবে এবং দিন দিন সেই জানাটার বিকাশ ঘটাতে হবে। সেই সাথে যেভাবেই হোক সকল শিশুদের জন্যে পুরষ্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন কোনো শিশু প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে না পারলেও তার মনে অন্য শিশুর প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি না হয়। অভিভাবকদেরও তার শিশুকে প্রতিযোগিতায় হারার পর বকা দেয়া যাবে না বরং তাকে সান্ত¡না দিতে হবে। এতে একটি শিশু তার মন থেকে প্রতিযোগিতায় হারার কষ্ট ভুলে যাবে এবং তার মনে অন্যের প্রতি হিংসা জমা হবে না। সে উল্টো নিজের প্রতিভা বিকাশে আরো বেশি চেষ্টা করবে। তবেই একটি শিশুর মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত হবে। -সৌজন্যে : বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।
শিশুর বিকাশে বাধা দেয় প্রতিযোগিতা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ