শিশুদের ত্বক খুবই কোমল হয়। আর বেশি গরম বা শীতে অপরিষ্কার ত্বকে খুব সহজেই অ্যাকজিমা বা এটোপিক ডার্মাটাইটিস হতে পারে। তাই তাদের কোমল ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। শিশুর ত্বকের যত্নে যদি কোনো ভুল হয় তাহলেই তাদের ত্বক শুষ্ক-খসখসে হয়ে যাবে অথবা র্যাশ বেরিয়ে যাবে। তাই শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় কোনো ভুল করা যাবে না।
বড়দের ময়েশ্চারাইজার, তেল বা সাবান ভুলেও শিশুর ত্বকের মাখবেন না। যে সব ক্রিম বা তেলে এমন রাসায়নিক থাকে, যা শিশুর কোমল ত্বকের জন্য সঠিক নয়। শিশুর জন্য ময়েশ্চারাইজার বা তেল কেনার আগে নিশ্চিত ভাবে দেখে নিতে হবে যে তাতে প্যারাবেন, থ্যালেট ও রঞ্জকের মতো ক্ষতিকারক উপাদান আছে কি না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
সানস্ক্রিন শিশুর ত্বকের জন্যও জরুরি। বাইরে নিয়ে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন কেনা উচিত। তবে সানস্ক্রিন সবার ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে শিশুকে সানস্ক্রিন লাগানোর আগে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ছয় মাসের কম বয়সি শিশুদের কখনোই সানস্ক্রিন লাগানো উচিত নয়। তার চেয়ে বরং চড়া রোদে শিশুকে নিয়ে বেরোবেন না। অথবা বেরোতে হলে গা ঢাকা, হালকা, সুতির জামা পরিয়ে দিন।
দিনে একবার গোসল যথেষ্ট। বারবার গরম পানিতে শিশুকে গোসল করাবেন না, এতে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যাবে। প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করানোর দরকার নেই।
শিশুকে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। তবে বাজারচলতি সুগন্ধী তেল নয়। নারকেল তেল শিশুর ত্বকের জন্য নিরাপদ। অনেকেই সর্ষের তেল মালিশ করেন, তবে এখন খাঁটি সর্ষের তেল তেমন ভাবে পাওয়া যায় না। তাই সর্ষের তেল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অলিভ তেলও ব্যবহার করেন অনেকে। লোয়িক অ্যাসিডও কোনো কোনো শিশুর শরীরে অ্যালার্জি কিংবা র্যাশের কারণ হতে পারে।
শিশুকে কখনোই সুগন্ধী বা ডিয়োডরেন্ট মাখাবেন না। সুগন্ধীর রাসায়নিক যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে, তেমনই শিশুর ত্বকে র্যাশ, অ্যাকজিমা বা ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’-এর কারণও হতে পারে।