ধী অরণি পাল : অনেক দরিদ্র শিশু আছে যারা ঈদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে পারে না। তাদের কাছে ঈদ তেমন আনন্দ নিয়ে আসে না। এমনই তিনজন শিশুর সঙ্গে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কথা বলেছিলাম। তাদের নাম ইয়াসিন, রাসেল ও জীবন। একজনের বাড়ি জামালপুর, একজনের কিশোরগঞ্জ, আরেকজনের রংপুর। ইয়াসিন রাজধানীর পুলপার, রাসেল আগারগাঁও, আর জীবন তেজগাঁও রেলস্টেশনের এক বস্তিতে থাকে। ইয়াসিন পুলিশ, রাসেল অফিসার, আর জীবন বড় হয়ে মন্ত্রী হতে চায়। সবকিছু ভিন্ন হলেও পেশা তাদের এক। তারা ভিক্ষা করে বা কাগজ, বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে। তারা কেউই স্কুলে যায় না। ঈদের আগের দিন তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম কীভাবে কাটবে কোরবানির ঈদ। তিনজনই বলছিল, আমাদের তো গরু নাই। অর্থাৎ কথার মধ্যেই কেমন অসহায়ত্ব দেখতে পাচ্ছিলাম। তারা অন্যের গরুকে হাত দিয়ে আদর করছিল তখন। তাদের কারোরই ঈদের জন্য নতুন পোশাক কেনা হয়নি। তারা বলছিল মাংস সংগ্রহ করেই ঈদ কেটে যাবে। সব মাংস যে তারা খাবে বিষয়টি এমন নয়, তারা মাংস বিক্রি করে টাকাও আয় করবে। এভাবেই যে কত শিশুর ঈদ কেটে যায় তার পরিসংখ্যান হয়ত নেই। তারাও যদি নতুন পোশাক পেত, ঈদ উপলক্ষ্যে ভালো খাবার খেতে পেত, খেলতে ও ঘুরতে যেতে পারত তাহলে হয়ত তাদের ঈদটাও আনন্দের হতো। কষ্ট করতে দেখলে তা আমাকেও আঘাত করে। সকল শিশুর জীবন হবে সহজ ও সুন্দর এটাই তো চাই আমরা। অথচ এই অল্প বয়সেই কত কঠিন দায়িত্ব নিতে হয় এই শিশুদের!-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’