মাসুদুল জারিফ : আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই শিশুদের জীবনই যখন শ্রমের অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন একটি দেশের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে তাতে কোনো দ্বিধা নেই। শিশুরা নানা কারণেই শ্রমে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে প্রধান হলো দারিদ্রতা। সংসারের খরচ জোগানোর পুরো দায়িত্বও কখনো কখনো শিশুদের কাঁধে দেখা যায়। ছোট একটি শিশু বয়ে বেড়ায় বড় দায়িত্ব। শিশুশ্রম কেন হয় এই বিষয়টি নিয়ে আমি দুজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তাদের কাছ থেকে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করেছি। একজন বলছিলেন, পরিবারের সচেতনতাও বড় একটি ব্যাপার। অনেক পরিবার চাইলেই পড়াশোনার খরচ দিতে পারে, কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে পড়াশোনা নিয়ে অসচেতনতা। তাই পরিবারের বড়দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা বলেন তিনি। আরেকজন শিক্ষক বলছিলেন, সরকার শিশুদের স্কুলমুখী করতে এবং ঝরে পড়া রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেওয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয় হচ্ছে। এখন শিশুশ্রম সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি, একটি শিশু অত সহজে কাজে নামে না। শিশু মন ঘুরে বেড়াতে চায় মুক্ত পাখির মতো। এই বয়স দায়িত্বের ভার বয়ে বেড়ানোর মতো নয়। কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েই কাজে যোগ দেয় একটি শিশু। শিশুশ্রমের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে তা আমাদের জন্য সুখকর কিছু হবে না। বরং শিশুদের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারলে দেশ হবে সুন্দর। শিশুরা যেহেতু পরবর্তী নেতৃত্বের কর্ণধার তাই তাদেরকে শিক্ষিত ও যোগ্য করা তোলা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: জামালপুর। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।