প্রত্যাশা ডেস্ক: ব্রিটিশ দম্পতি হেলেন ও মাইকেল গ্রিন ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন কানাডায়। ১০ দিনের রোড ট্রিপে গত ২১ মে তাঁরা টরন্টোর একটি নামী হোটেলে ওঠেন। রাত ১১টার দিকে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন হেলেন।
ঘণ্টা তিনেক পর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠেন ৪৫ বছরের হেলেন, পেট চেপে ধরে ছোটেন শৌচাগারে। সেখানেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শৌচাগার থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন হেলেনের স্বামী মাইকেল (৪৫)। শৌচাগারে ঢুকে তিনি যে দৃশ্য দেখেন, তার জন্য তিনি একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি নম্বরে ফোন করেন মাইকেল, ১০ মিনিটের মধ্যে একজন জরুরি সেবাকর্মী এসে তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন।
মাইকেল বলেন, ‘আমি বিভ্রান্ত ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী ঘটছে। শিশুটি ভালো আছে কি না, সে ছেলে নাকি মেয়ে, আমি কিছুই দেখিনি।’ হেলেনের এই গর্ভাবস্থাকে বলে ‘ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি’। এ ধরনের গর্ভাবস্থায় একেবারে শেষ সময়ের আগে নারীরা বুঝতেই পারেন না তাঁরা গর্ভধারণ করেছেন, কেউ কেউ সন্তান জন্মের পর জানতে পারেন। এমনকি এ ধরনের গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ঋতুস্রাবও হয়। হেলেন বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারিনি, আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমি দৈনন্দিন কাজ করেছি, ব্যায়াম করেছি। একই কাপড় পরেছি, একই খাবার খেয়েছি।’
হেলেনের ছয় বছর বয়সী মেয়ের নাম ডর্সি। হ্যারি নামে তাঁর ১৮ বছর বয়সী একটি ছেলেও আছেন। সদ্যোজাত মেয়ের নাম রেখেছেন অলিভার। ডর্সির জন্মের পর হেলেনের একাধিক গর্ভপাত হয়েছে। এবার তিনি গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ অনুভব করেননি; বরং তিনি ভেবেছিলেন, তিনি পেরিমেনোপজে (মেনোপজের আগের অবস্থা) রয়েছেন।