ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

শিশুদের পড়ালেখা ঠিক রাখতে ভারতের যে গ্রাম প্রতিদিন চলে যায় অফলাইনে

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : প্রতিদিন সন্ধা ৭ টায় বিশেষ সাইরেন বেজে ওঠে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সাংলি জেলার ভাদগাও গ্রামে। ওই আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন সময় হয়েছে টেলিভিশন আর মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার। রাত সাড়ে ৮টায় ফের সাইরেন বাজিয়ে গ্রাম সভা জানান দেয়, ‘প্রযুক্তি আসক্তি’র মূল দুই মাধ্যমকে আবার চালু করা যেতে পারে এখন।
আধুনিক সভ্যতায় পৃথিবীর অপরপ্রান্তের মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হলেও দূরত্ব যেন বেড়েছে পাশে থাকা মানুষটির সঙ্গে। সেই দূরত্ব ঘোচাতে দিনের নির্দিষ্ট সময় টেলিভিশন আর মোবাইল ইন্টারনেটকে দৈনন্দিন জীবন থেকে দূরে রাখার পথ বেছে নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের এই গ্রামটি। “ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় আমরা গ্রাম সভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই আসক্তি বন্ধ করতে হবে আমাদের,” বিবিসিকে বলেছেন গ্রাম সভার প্রধান ভিজয় মোহিতে। “পরের দিন থেকেই সাইরেন বাজানো হলেই টেলিভিশন সেট এবং মোবাইল বন্ধ রাখা হচ্ছে।”
বিবিসি জানিয়েছে, তিন হাজার মানুষের বাস ভাদগাওয়ে, তাদের বেশিরভাগই হয় কৃষক না হয় চিনির কলে কাজ করেন। মোহিতের ভাষ্যে, গ্রামের শিশুরা টেলিভিশন এবং মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল মহামারির সময়ে। কিন্তু, এ বছরে স্কুল খোলার পর শিশুরা স্কুলে ফিরলেও তাদের টিভি আর মোবাইল ফোন আসক্তি এখনও কাটেনি। “ওরা স্কুল থেকে ফিরে হয় মোবাইল ফোনে গেইম খেলতে লেগে যায়, না হয় টেলিভিশন দেখতে বসে যায়।”
এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও অনেকেই এক অন্যের সঙ্গে কথা বলার বদলে ডিজিটাল ডিভাইসেই বেশি সময় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মোহিতে। গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভান্দানা মোহিতে (ভিজয় মোহিতের আত্মীয় নন) বিবিসিকে বলেছেন, নিজের দুই সন্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাকে। কারণ, “মোবাইলে গেইম খেলা অথবা টেলিভিশন দেখাতেই সবটুকু মনোযোগ দিয়ে রাখে তারা।”
গ্রাম সভায় সাইরেন বাজিয়ে প্রযুক্তিকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। “যখন থেকে এটা শুরু হয়েছে, আমার স্বামীর জন্য কাজ শেষে বাড়ি ফিরে বাচ্চাদের বাড়ির কাজ করতে সহযোগিতা করা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর আমিও শান্তিতে আমার রান্নার কাজ করতে পারছি।”
কিন্তু গ্রামের সবাইকে এই ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এ রাজি করানো সহজ ছিল না বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গ্রাম প্রধান মোহিতে জানিয়েছেন, গ্রাম সভায় বিষয়টি আলোচনার পর গ্রামের বাসীন্দাদের সামনে প্রস্তাব তোলার পর বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। এরপর গ্রামের নারীদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রাম সভার মুরুব্বীরা; টিভি সিরিয়াল দেখতে বসে যে দৈনন্দিন জীবনের খেই হারিয়ে ফেলছেন, সেই স্বীকারোক্তি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন গ্রামটির নারীরাই। তারাই প্রথমে রাজি হয়েছিলেন প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার প্রস্তাবে। এরপর গ্রাম সভার পরের বৈঠকে গ্রামের মন্দিরের ওপর সাইরেন বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। প্রথম অবস্থায় প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমগুলো থেকে সবাইকে দূরে রাখাও সহজ ছিল না বলে জানিয়েছে বিবিসি। সাইরেন বাজার পর বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলতেন গ্রাম সভার কর্মী আর স্বেচ্ছাসেবকরা। “এখন সিদ্ধান্তটি গ্রামের সবখানেই বাস্তবায়ন হচ্ছে” বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন মোহিতে। কিন্তু এতে কি আদৌ কোনো লাভ আছে? ভাদগাওয়ের অভিনব সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এ উদ্যোগের কার্যকারীতা নিয়ে। ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস’-এর ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মানোজ কুমার শার্মার মতে, “এটি কার্যকর হতেই পারে”। কোভিড মহামারীর কারণে অনলাইনে সময়ক্ষেপণ আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানালেন এই মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞও। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৬৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অংশগ্রহণে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন ড. শার্মা এবং তার সহকর্মীরা। কিশোর বয়সী ও তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতার নেতিবাচক দিকটি উঠে এসেছে তাদের সে গবেষণাতেই। গবেষণার ফল বলছে, “অত্যধিক সময় ধরে ইন্টারনেটের অনুৎপাদনশীল ব্যবহার মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিশোরবয়সীদের জীবনের নানা দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এটি।” এ পরিস্থিতিতে ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধন জোরদার করা যেতে পারে। এর ফলে অনলাইনের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ড. শার্মা।
“আপনাদের বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে যে অফলাইনে অবসর কাটানোর মতো কিছু করার আছে তাদের এবং তারা যথেষ্ট ঘুমাচ্ছে এবং খাবার খাচ্ছে।” চিনি কলের শ্রমিক দিলিপ মোহিতের তিন সন্তান স্কুলে পড়ে। গ্রাম সভার সাইরেন বাজিয়ে টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ করতে বলার সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। “আগে বাচ্চারা পড়ায় মনোযোগই দিচ্ছিল না। আর এখন বাড়িতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও স্বাভাবিক আলাপচারিতা চলছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিশুদের পড়ালেখা ঠিক রাখতে ভারতের যে গ্রাম প্রতিদিন চলে যায় অফলাইনে

আপডেট সময় : ১২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

নারী ও শিশু ডেস্ক : প্রতিদিন সন্ধা ৭ টায় বিশেষ সাইরেন বেজে ওঠে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সাংলি জেলার ভাদগাও গ্রামে। ওই আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন সময় হয়েছে টেলিভিশন আর মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার। রাত সাড়ে ৮টায় ফের সাইরেন বাজিয়ে গ্রাম সভা জানান দেয়, ‘প্রযুক্তি আসক্তি’র মূল দুই মাধ্যমকে আবার চালু করা যেতে পারে এখন।
আধুনিক সভ্যতায় পৃথিবীর অপরপ্রান্তের মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হলেও দূরত্ব যেন বেড়েছে পাশে থাকা মানুষটির সঙ্গে। সেই দূরত্ব ঘোচাতে দিনের নির্দিষ্ট সময় টেলিভিশন আর মোবাইল ইন্টারনেটকে দৈনন্দিন জীবন থেকে দূরে রাখার পথ বেছে নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের এই গ্রামটি। “ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় আমরা গ্রাম সভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই আসক্তি বন্ধ করতে হবে আমাদের,” বিবিসিকে বলেছেন গ্রাম সভার প্রধান ভিজয় মোহিতে। “পরের দিন থেকেই সাইরেন বাজানো হলেই টেলিভিশন সেট এবং মোবাইল বন্ধ রাখা হচ্ছে।”
বিবিসি জানিয়েছে, তিন হাজার মানুষের বাস ভাদগাওয়ে, তাদের বেশিরভাগই হয় কৃষক না হয় চিনির কলে কাজ করেন। মোহিতের ভাষ্যে, গ্রামের শিশুরা টেলিভিশন এবং মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল মহামারির সময়ে। কিন্তু, এ বছরে স্কুল খোলার পর শিশুরা স্কুলে ফিরলেও তাদের টিভি আর মোবাইল ফোন আসক্তি এখনও কাটেনি। “ওরা স্কুল থেকে ফিরে হয় মোবাইল ফোনে গেইম খেলতে লেগে যায়, না হয় টেলিভিশন দেখতে বসে যায়।”
এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও অনেকেই এক অন্যের সঙ্গে কথা বলার বদলে ডিজিটাল ডিভাইসেই বেশি সময় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মোহিতে। গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভান্দানা মোহিতে (ভিজয় মোহিতের আত্মীয় নন) বিবিসিকে বলেছেন, নিজের দুই সন্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাকে। কারণ, “মোবাইলে গেইম খেলা অথবা টেলিভিশন দেখাতেই সবটুকু মনোযোগ দিয়ে রাখে তারা।”
গ্রাম সভায় সাইরেন বাজিয়ে প্রযুক্তিকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। “যখন থেকে এটা শুরু হয়েছে, আমার স্বামীর জন্য কাজ শেষে বাড়ি ফিরে বাচ্চাদের বাড়ির কাজ করতে সহযোগিতা করা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর আমিও শান্তিতে আমার রান্নার কাজ করতে পারছি।”
কিন্তু গ্রামের সবাইকে এই ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এ রাজি করানো সহজ ছিল না বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গ্রাম প্রধান মোহিতে জানিয়েছেন, গ্রাম সভায় বিষয়টি আলোচনার পর গ্রামের বাসীন্দাদের সামনে প্রস্তাব তোলার পর বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। এরপর গ্রামের নারীদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রাম সভার মুরুব্বীরা; টিভি সিরিয়াল দেখতে বসে যে দৈনন্দিন জীবনের খেই হারিয়ে ফেলছেন, সেই স্বীকারোক্তি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন গ্রামটির নারীরাই। তারাই প্রথমে রাজি হয়েছিলেন প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার প্রস্তাবে। এরপর গ্রাম সভার পরের বৈঠকে গ্রামের মন্দিরের ওপর সাইরেন বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। প্রথম অবস্থায় প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমগুলো থেকে সবাইকে দূরে রাখাও সহজ ছিল না বলে জানিয়েছে বিবিসি। সাইরেন বাজার পর বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলতেন গ্রাম সভার কর্মী আর স্বেচ্ছাসেবকরা। “এখন সিদ্ধান্তটি গ্রামের সবখানেই বাস্তবায়ন হচ্ছে” বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন মোহিতে। কিন্তু এতে কি আদৌ কোনো লাভ আছে? ভাদগাওয়ের অভিনব সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এ উদ্যোগের কার্যকারীতা নিয়ে। ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস’-এর ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মানোজ কুমার শার্মার মতে, “এটি কার্যকর হতেই পারে”। কোভিড মহামারীর কারণে অনলাইনে সময়ক্ষেপণ আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানালেন এই মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞও। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৬৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অংশগ্রহণে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন ড. শার্মা এবং তার সহকর্মীরা। কিশোর বয়সী ও তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতার নেতিবাচক দিকটি উঠে এসেছে তাদের সে গবেষণাতেই। গবেষণার ফল বলছে, “অত্যধিক সময় ধরে ইন্টারনেটের অনুৎপাদনশীল ব্যবহার মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিশোরবয়সীদের জীবনের নানা দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এটি।” এ পরিস্থিতিতে ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধন জোরদার করা যেতে পারে। এর ফলে অনলাইনের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ড. শার্মা।
“আপনাদের বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে যে অফলাইনে অবসর কাটানোর মতো কিছু করার আছে তাদের এবং তারা যথেষ্ট ঘুমাচ্ছে এবং খাবার খাচ্ছে।” চিনি কলের শ্রমিক দিলিপ মোহিতের তিন সন্তান স্কুলে পড়ে। গ্রাম সভার সাইরেন বাজিয়ে টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন বন্ধ করতে বলার সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। “আগে বাচ্চারা পড়ায় মনোযোগই দিচ্ছিল না। আর এখন বাড়িতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও স্বাভাবিক আলাপচারিতা চলছে।”