ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

শিশুটির চিঠির জবাব এলো ৩১ বছর পর

  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের এক ছোট্ট গ্রাম পোর্টনকি। সেখানেই থাকতেন আলাইনা স্টিফেন। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একটি স্কুল প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন একটি বোতল। বোতলের ভেতরে ছিল তাঁর হাতে লেখা এক ছোট্ট চিঠি।

চিঠিতে আলাইনা নিজের নাম, বয়স, কোথা থেকে লিখেছেন ইত্যাদি লিখেছিলেন। বলেছিলেন, যদি কেউ চিঠিটি পান, তাহলে যেন উত্তর দেন।

চিঠিটি স্কটল্যান্ডে তৈরি ‘মোরে কাপ’ নামের একটি পানীয়র ফাঁকা বোতলে রাখা হয়েছিল। বোতলটি শিশু আলাইনা তাঁর শিক্ষকের হাতে তুলে দেন। ওই শিক্ষকের স্বামী পেশায় ছিলেন মাছশিকারি। তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এটি মাঝসমুদ্রে ছুড়ে দেন। এরই মধ্যে কেটে যায় ৩১ বছর। হঠাৎ একদিন নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের একটি ছোট দ্বীপ লিসশেলয়ায় সেই চিঠি খুঁজে পান পিয়া ব্রড্টমান নামের এক তরুণী। তিনি জার্মানির নাগরিক এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেই দ্বীপে সৈকত পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। চিঠিটি পেয়ে পিয়া রীতিমতো বিস্মিত হন। এরপর তিনি আলাইনাকে একটি পোস্টকার্ড পাঠান, সেখানে চিঠি পাওয়ার খবর জানানো হয়। পিয়াও চিঠিতে নিজের পরিচয়, বয়স, আগ্রহ আর চিঠি কোথায় পেয়েছেন, তা লেখেন।

আলাইনার বয়স এখন ৪২ বছর। তিনি বলেন, পোস্টকার্ড পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। এখনো একই ঠিকানায় থাকায় তিনি সরাসরি চিঠিটি হাতে পান। পরে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাইনা জানান, চিঠিটি এত বছর পরও অক্ষত দেখে তিনি হতবাক। আর পিয়া জানান, এই ঘটনা তাঁকে খুব আবেগতাড়িত করেছে। এক শিশুর ছোট্ট কৌতূহল আর একটি বোতল কত শত মাইল পাড়ি দিয়ে, কত বছর পর নতুন ঠিকানায় পৌঁছাল। সম্পূর্ণ অপরিচিত ভিন্ন দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করল। এই ঘটনা সত্যিই আমাদের অনুভূতিকে ছুঁয়ে যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিশুটির চিঠির জবাব এলো ৩১ বছর পর

আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের এক ছোট্ট গ্রাম পোর্টনকি। সেখানেই থাকতেন আলাইনা স্টিফেন। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একটি স্কুল প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন একটি বোতল। বোতলের ভেতরে ছিল তাঁর হাতে লেখা এক ছোট্ট চিঠি।

চিঠিতে আলাইনা নিজের নাম, বয়স, কোথা থেকে লিখেছেন ইত্যাদি লিখেছিলেন। বলেছিলেন, যদি কেউ চিঠিটি পান, তাহলে যেন উত্তর দেন।

চিঠিটি স্কটল্যান্ডে তৈরি ‘মোরে কাপ’ নামের একটি পানীয়র ফাঁকা বোতলে রাখা হয়েছিল। বোতলটি শিশু আলাইনা তাঁর শিক্ষকের হাতে তুলে দেন। ওই শিক্ষকের স্বামী পেশায় ছিলেন মাছশিকারি। তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এটি মাঝসমুদ্রে ছুড়ে দেন। এরই মধ্যে কেটে যায় ৩১ বছর। হঠাৎ একদিন নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের একটি ছোট দ্বীপ লিসশেলয়ায় সেই চিঠি খুঁজে পান পিয়া ব্রড্টমান নামের এক তরুণী। তিনি জার্মানির নাগরিক এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেই দ্বীপে সৈকত পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। চিঠিটি পেয়ে পিয়া রীতিমতো বিস্মিত হন। এরপর তিনি আলাইনাকে একটি পোস্টকার্ড পাঠান, সেখানে চিঠি পাওয়ার খবর জানানো হয়। পিয়াও চিঠিতে নিজের পরিচয়, বয়স, আগ্রহ আর চিঠি কোথায় পেয়েছেন, তা লেখেন।

আলাইনার বয়স এখন ৪২ বছর। তিনি বলেন, পোস্টকার্ড পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। এখনো একই ঠিকানায় থাকায় তিনি সরাসরি চিঠিটি হাতে পান। পরে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাইনা জানান, চিঠিটি এত বছর পরও অক্ষত দেখে তিনি হতবাক। আর পিয়া জানান, এই ঘটনা তাঁকে খুব আবেগতাড়িত করেছে। এক শিশুর ছোট্ট কৌতূহল আর একটি বোতল কত শত মাইল পাড়ি দিয়ে, কত বছর পর নতুন ঠিকানায় পৌঁছাল। সম্পূর্ণ অপরিচিত ভিন্ন দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করল। এই ঘটনা সত্যিই আমাদের অনুভূতিকে ছুঁয়ে যায়।